ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এবার ফিলিস্তিনকে সাহায্য বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৪ জানুয়ারি ২০১৮

এবার ফিলিস্তিনকে সাহায্য বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কোন ধরনের শান্তিচুক্তির আলোচনায় অনিচ্ছুক ফিলিস্তিনীদের সাহায্য বন্ধের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, সাহায্যের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনীদের কাছ থেকে কোন ধরনের কৃতজ্ঞতা বা সম্মান পাচ্ছে না। অন্যদিকে ট্রাম্পের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হানান আশরাভি নামে ফিলিস্তিন সরকারের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, সাহায্য বন্ধের হুমকি দিয়ে ট্রাম্প আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে পারবে না। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার কিম জং উনকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, উত্তর কোরীয় নেতার চেয়ে অনেক বড় এবং আরও শক্তিশালী পারমাণবিক বোতাম যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে। এএফপি, বিবিসি। দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতি পাল্টে ডিসেম্বরে এক বিতর্কিত ঘোষণায় জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর তেল আবিব থেকে তার দেশের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ারও ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ফিলিস্তিন। অঞ্চলজুড়ে নতুন করে শুরু হয় সহিংসতা। শান্তি প্রক্রিয়ায় মার্কিনীদের আর নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিবেচনা করা হবে না বলেও জানায় তারা। নির্বাচনী প্রচারে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জাতিসংঘেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় একঘরে করে ফেলেন ট্রাম্প। নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র বাদে সবাই ট্রাম্পের নতুন স্বীকৃতির বিরোধিতা করে। সাহায্য বন্ধের হুমকির মধ্যেই সাধারণ পরিষদে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের ঘনিষ্ঠ মিত্রসহ ১২৮ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিপক্ষে ভোট দেয়। এরপরই জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় মার্কিন সাহায্য কমানোর ঘোষণা আসে। নতুন বছরের শুরুতে পাকিস্তানে সাহায্য বন্ধের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শত শত কোটি ডলার সাহায্যের বিনিময়ে আফগানিস্তানে সন্ত্রাস দমন প্রশ্নে এদেশটির কাছ থেকে মিথ্যা ও প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই মেলেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। ফিলিস্তিন সংক্রান্ত ওই টুইটের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেয়া অপর এক টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আলোচনার সবচেয়ে জটিল অংশ জেরুজালেমকে আমরা টেবিল থেকে সরিয়ে নিয়েছি। এজন্য ইসরাইলকে আরও ছাড় দিতে হবে। কিন্তু যেখানে ফিলিস্তিনীরা শান্তিচুক্তি নিয়ে কথা বলতেই আগ্রহী নয়, সেখানে কেন আমরা তাদের পেছনে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালবো? এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি ফিলিস্তিনী শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থায় মার্কিন সাহায্য বন্ধ হতে পারে বলে জানান।
×