ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হোয়াইট হাউসের অভিযোগ

সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তান ডবল গেম খেলে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৪ জানুয়ারি ২০১৮

সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তান ডবল গেম খেলে যাচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ‘ডবল গেমের’ অভিযোগ এনেছে। এছাড়া পাকিস্তানকে হুঁশিয়ার করে বলেছে মার্কিন সাহায্য অব্যাহত রাখতে হলে সন্ত্রাস দমনের জন্য আরও অনেক কাজ করতে হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া। সন্ত্রাস দমনের জন্য পাকিস্তান আরও কিছু করুক, এটি যুক্তরাষ্ট্র আশা করে বলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স সাংবাদিকদের বলেছেন। হোয়াইট হাউস বলেছে, পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়াশিংটন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। পাকিস্তানকে ২৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্র স্থগিত করেছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যলি একথা জানানোর কয়েকদিনের মধ্যে হোয়াইট হাউসের ঘোষণাটি এলে। হ্যালি বলেছিলেন. এটি স্পষ্ট যে পাকিস্তান অনেকদিন ধরেই এই ইস্যুতে ডাবল গেম খেলে এসেছে। তারা আমাদের সঙ্গে সময় সময় কাজ করেছে। আবার যেসব সন্ত্রাসী আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা করে থাকে তাদের তারা আশ্রয় দিয়েছে। বর্তমান প্রশাসনের কাছে এমন খেলা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের কাছে আরও সহযোগিতা আশা করি। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান যতদিন সন্স্রাসীদের সহযোগিতা করে যাবে ততদিন দেশটির উদ্দেশ্যে আর্থিক সহায়তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এরপর ১ জানুয়ারি ট্রাম্প টুইট বার্তায় লেখেন যে, য়ুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছর ধরে বেহাকার মতো পাকিস্তানকে তিন হাজার ৩শ’ কোটি ডলার দিয়েছে, বিনিময়ে কিছুই পায়নি। বরং তারা আমাদের নেতৃবৃন্দকে বোকা ভবে দেশটি মিথ্যা বলে ও প্রতারণা করে। তিনি আরও লেখেন যে, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনারা যাদের খুঁজছে, পাকিস্তান তাদের নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে। যথেষ্ট হয়েছে, আর না। পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করার কথা ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তান জানে এই ইস্যুতে দেশটির কি করা প্রয়োজন। তাদের হাক্কানি নেটওয়ার্কসহ অন্যান্য জঙ্গী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই নেটওয়ার্কটি নিয়ে দুদেশের মধ্যে অনেক দিন ধরেই সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। ট্রাম্পের ওই টুইট পাক-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি করে। পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড হেইলকে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক উভয় কর্তৃপক্ষই ট্রাম্পের এ দাবি প্রত্যাখান করে। পাক প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসী মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরী বৈঠক ডাকেন। সামরিক ও বেসামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিন ঘন্টার ওই বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ’গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যেসব বক্তব্য এসেছে তা খুবই হতাশা ব্যঞ্জক। বিশেষ করে অতি সম্প্রতি তারা যেসব বক্তৃতা দিয়েছেন তা খুবই দুঃখজনক এবং অসংবেদনশীল।এটি দুদেশের মধ্যে কয়েক প্রজন্মের গড়ে ওঠা সম্পর্কের জন্য হানিকর। পাকিস্তানের জনগণের কয়েক দশকের ত্যাগ স্বীকারকে এখানে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।’ বিবৃতিতে অবশ্য ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
×