ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আফসান সামি অর্ণব

উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৪ জানুয়ারি ২০১৮

উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ

নিরাপত্তা নিয়ে সবাই এখন কম-বেশি উদ্বিগ্ন। যে ভাবে ঢাকাসহ সারা দেশে গুম-খুন, ছিনতাই, ডাকাতিসহ সন্ত্রাসীকাণ্ড ঘটছে তাতে জনমনে গভীর আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরকার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত অতি দ্রুত জনমনের এ আতঙ্ক, ভীতি দূর করা। নিরাপত্তাহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠলে সমাজ-রাষ্ট্রে এর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। যা সুষ্ঠ সমাজের অন্তরায়। সুষ্ঠ স্বাভাবিক জীবনের জন্য নাগরিক নিরাপত্তা সর্বাগ্রে জরুরী। মানুষ নির্বিঘ্নে, নিরুদ্বেগে কাজ করবে এমন পরিবেশই নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের দায়িত্ব জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এর ব্যত্যয় ঘটছে খুব স্বাভাবিকভাবেই। প্রশ্ন একটি দায়িত্বশীল সরকারের আসলে ভূমিকা কি হওয়া উচিত? রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারকে অনেক ক্ষেত্রে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে সরকারের আপোষকামী মনোভাব ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট হতে হবে যাতে মানুষের আস্তা বৃদ্ধি পায়। নিরাপত্তা বিঘœকারীদের ব্যাপারে ব্যাপক সাড়াষি অভিযান চালানোর বর্তমানে আর কোন বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে কোন শৈথিল্য কাম্য নয়। সব সম্ভাবনা উন্নয়ন ব্যাহত হতে যাচ্ছে সন্ত্রাসের কারণে। তাই এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক প্রায়াস চালানো জরুরী। অপরাধ সংঘটনে কে বা কারা জড়িত তা খুঁজে বের করা এমন কোন কঠিন কাজ নয়। প্রয়োজন শুধু আন্তরিকতা। দলীয় সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকদের ব্যাপারেও হতে হবে কঠিন। সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই, পৃষ্ঠপোষক নেই। এ বিষয়টি জনমনে নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসনের প্রথম শর্ত জননিরাপত্তা, এর অন্যথা ভাবাই অন্যায়। পল্লবী, ঢাকা থেকে
×