ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৩ জানুয়ারি ২০১৮

গোপালগঞ্জে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে  যুবক নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ২ জানুয়ারি ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ফায়েক মিয়া (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। সংঘর্ষ চলাকালে সেখানকার কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে মুকসুদপুর উপজেলার বাহারা গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে। নিহত ফায়েক মিয়া ওই গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে। জানা গেছে, বাহারা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবু তৈয়ব মিয়া ও সরোয়ার মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে সরোয়ার গ্রুপের সমর্থক ফায়েক মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয় এবং উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয় ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদেরকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাগেরহাটে আহত ১০ স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, পূর্ববিরোধের জের ধরে সোমবার রাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের চিতলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, সোমবার রাত ১০টার দিকে চিতলমারী সদর ইউনিয়নের খিলিগাতীর করাতদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওয়াজ মাহফিল চলাকালে পূর্ববিরোধের জের ধরে ফারুখ ফকির ও ওসমান হাওলাদারের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষে ফারুখ ফকির গ্রুপের জুয়েল ফকির (৩২), ইমান ফকির (২৮), মিলন ফকির (২৫), জনি মোল্যা (২৪), রাজ্জাক মোল্যা (৪০), হোসেন শেখ এবং ওসমান হাওলাদার গ্রুপের তাজুল ইসলাম (৩২), ইমরান হাওলাদারসহ (৩০) ১০ জন আহত হয়। এ বিষয়ে ফারুখ ফকির বলেন, ‘জামায়াত নেতা ওসমান হাওলাদারের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। এরই রেশ ধরে সোমবার রাতে আমার লোকজনের উপর ওসমান হাওলাদারের বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুটি চিংড়ি ঘেরের টহলঘরে অগ্নিসংযোগ ও তিনটি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায় তারা।’ এ বিষয়ে ওসমান হাওলাদার অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ফারুখের লোকের হামলায় আমার লোকেরা আহত হয়েছে।
×