ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে বিটিসিএলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৩ জানুয়ারি ২০১৮

রংপুরে বিটিসিএলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ২ জানুয়ারি ॥ বিটিসিএল ক্যাবল আত্মসাতের অভিযোগে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল গফুরকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার সকালে রংপুর নগরীর ধাপ কাকলী লেনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিটিসিএলের ৬৮ লাখ ১৩ হাজার ১ শত ৪৬ টাকা মূল্যের টিঅ্যান্ডটির ক্যাবল আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর দুদক রংপুরের সহকারী পরিচালক সমর কুমার ঝাঁসহ ৬ জনকে আসামি করে রংপুর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। জানা গেছে, রংপুর নগরীর কাচারী বাজার এলাকায় অবস্থিত রংপুর বিভাগীয় বিটিসিএল অফিসের ৬৮ লাখ ১৩ হাজার ১ শত ৪৬ টাকা সমমূল্যের টিঅ্যান্ডটির ক্যাবল আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ক্যাবলের মজুদ সমন্বয়ের জন্য পরস্পরের যোগসাজশে জালিয়াতি করে ভূয়া ভাউচার ইস্যু ও পূর্বে অনুমোদিত ভাউচার ঘষা মাজার মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে রংপুর সমন্বিত জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক সমর কুমার ঝাঁ বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামি করে রংপুর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় দুদক রংপুরের উপ-সহকারী পরিচালক নুর আলমকে। মামলায় আসামিরা হলেন, রংপুর বিভাগীয় বিটিসিএলের সাবেক পরিচালক (টেলিকম) ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রধান কর্মাধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া, বিটিসিএলের সাবেক বিভাগীয় প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও ইমারত) মোস্তাফি মাহমুদ শাহ, সাবেক এসআই উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল গফুর, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম, এসআই চলতি দায়িত্ব (বিদ্যুত ও ইমারত) প্রফুল্ল কুমার বর্মণ ও টিসিটি মতিউর রহমান। বর্তমানে তারা প্রত্যেকে ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন। গ্রেফতার হওয়া আব্দুল গফুরের সঙ্গে দুদক অফিসে কথা হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ক্যাবলের দায়িত্ব আমার ছিল না। সাবেক পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তিনি দুদকের কাছে দাবি করেছেন। দুদক সমন্বিত জেলা উপ-পরিচালক মোজাহার আলী জানান, বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চলছে। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
×