ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার মন্ত্রি হওয়ায় নেত্রকোনায় আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩ জানুয়ারি ২০১৮

মোস্তাফা জব্বার মন্ত্রি হওয়ায় নেত্রকোনায় আনন্দের বন্যা

নিজস্ব সংবাদদাতাদ, নেত্রকোনা, ২ জানুয়ারি ॥ হাওড়-বাংলার মানুষ মোস্তাফা জব্বারকে মন্ত্রিসভার সদস্য নিযুক্ত করায় নেত্রকোনার হাওড়াঞ্চলসহ গোটা জেলার মানুষ আনন্দিত হয়েছেন। বিশেষ করে মোস্তাফা জব্বারের নিজ উপজেলা খালিয়াজুরিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে আনন্দের বন্যা বইছে। মোস্তাফা জব্বারের মন্ত্রিত্ব পাওয়ার বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রীর নতুন বছরের উপহার হিসেবে দেখছেন সেখানকার মানুষ। প্রসঙ্গত, মোস্তাফা জব্বারের বাড়ি নেত্রকোনার প্রত্যন্ত হাওড়াঞ্চল খ্যাত খালিয়াজুরি উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে। খালিয়াজুরি উপজেলাটি নেত্রকোনা-৪ সংসদীয় আসনের অন্তর্গত। এ আসনের আর বাকি দু’টি উপজেলা হচ্ছে মদন ও মোহনগঞ্জ। খালিয়াজুরির পাশাপাশি ওই দুই উপজেলাতেও চলছে আনন্দ-উল্লাস। মোহনগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মমিন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার খাদ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এছাড়া খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন মদনের বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর। খালিয়াজুরি থেকে ইতিপূর্বে কেউ মন্ত্রী তো দূরের কথা, এমপিও হননি। খালিয়াজুরির সন্তান হিসেবে মোস্তাফা জব্বারই প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য হলেন। তবে বর্তমান মন্ত্রিসভায় নেত্রকোনার আরও একজন প্রতিনিধি রয়েছেন। তিনি হচ্ছেন নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসন থেকে নির্বাচিত যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। লক্ষ্মীপুর ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) একেএম শাহজাহান কামাল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হওয়ায় জেলাবাসী আনন্দিত, উদ্বেলিত। এ জন্য তারা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টিভি পর্দায় শাহজাহান কামালের মন্ত্রী হওয়ার খবর দেখার পর গোটা জেলাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। এ সময় এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেন অনেকে। এর মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকার মাঝে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি আরও মজবুত হবে বলে এলাকার লোকেরা মনে করেন। দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, এখন থেকে আরও নতুন উদ্যমে বেশি বেশি করে দলের জন্য কাজ করতে হবে। নেতাকর্মীরা বলেন, তৃতীয়বার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে গোটা জেলাবাসী ঋণী হয়ে গেল। এর আগে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে মন্ত্রিপরিষদের সচিব ফোন করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গভবনে উপস্থিত থাকার জন্য বলেছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া জনপদ লক্ষ্মীপুরে উৎসবের আমেজ শুরু হয়। একেএম শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য। প্রবীণ এ রাজনীতিবীদ দু’বারের এমপি। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এমপি একেএম শাহজাহান কামাল। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১-এর স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ তথা নেতৃত্ব দানের মধ্য দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের ভয়াল দিনগুলোতে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধ করেন তিনি। স্বাধীনতার পর লক্ষ্মীপুর এলাকার পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন।
×