ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রুমেল খান

খেলোয়াড়ই যখন খেলোয়াড় তৈরির কারিগর

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ৩ জানুয়ারি ২০১৮

খেলোয়াড়ই যখন খেলোয়াড় তৈরির কারিগর

কদিন আগেই রমনা জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে শেষ হলো ‘বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতা।’ এতে পুরুষ বিভাগে দ্বি-মুকুট জেতেন অমল রায়, আর মহিলা বিভাগে বিকেএসপির জেরিন সুলতানা জলি। অ-১৪ বালিকা এককে চ্যাম্পিয়ন হন জলি। এছাড়া মহিলা দ্বৈতেও শিরোপা জেতেন তিনি। তার পার্টনার ছিলেন একই দলের ঈষিতা আফরোজ রিতু। ফাইনালে তারা হারান নরসিংদী টেনিস ক্লাবের আফরানা ইসলাম প্রীতি এবং বিকেএসপির শাহ্ সাফিনা লাক্সমি জুটিকে। আজকের এই লেখার প্রধান চরিত্র কিন্তু জলি, প্রীতি বা লাক্সমি নন, রিতু। কিন্তু প্রথম তিনজনের নাম বলার কারণ অবশ্যই একটা আছে। সেটা হলো বিজয় দিবস টেনিসের ঠিক আগের আসরেও মহিলা দ্বৈতে খেলেছিলেন এই চারজন। মজার ব্যাপার, জলি সেবার জুটি বেঁধেছিলেন প্রীতির সঙ্গে। লাক্সমি ছুটিতে চলে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে জলির সঙ্গে জুটি বাঁধতে হয়েছিল প্রীতিকে। জলি-প্রীতি জুটিকে হারান রিতু এবং পপি আক্তার। সর্বশেষ আসরে মহিলা এককে রিতু হারেন প্রীতির কাছে। এর আগের আসরেও ঠিক তাই হয়েছিল! এবারের আসরে এককে (সকালে অনুষ্ঠিত) হেরে যাওয়ার পর রিতুকে দেখা গেছে ড্রেসিংরুমে না গিয়ে টেনিস কমপ্লেক্সের বাইরে পার্ক করা বিকেএসপির একটি বাসের ভেতরে চলে যেতে। সেখানে অনেক কেঁদেছেন। তার এই কান্না ওইদিন বিকেলেই পরিণত হয়েছিল প্রাণখোলা হাসিতে। জলিকে নিয়ে দ্বৈতে তিনি হারিয়ে দেন প্রীতি-লাক্সমি জুটিকে। প্রীতির বিপক্ষে রিতুর প্রীতিকর প্রতিশোধ! অনেক খেলোয়াড়ই অবসর নেয়ার পর কোচ হয়ে থাকেন। কিন্তু রিতুর ব্যাপারটি ব্যতিক্রম। খেলা ছাড়ার আগেই তিনি হয়ে গেছেন কোচ! আপনি আগে কোনটা কোচ, নাকি খেলোয়াড়? এমন প্রশ্নের জবাবে লাজুক স্বরে রিতুর উত্তর, ‘অবশ্যই আগে আমি খেলোয়াড়, তারপর কোচ।’ লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার মেয়ে রিতু এই সুন্দর ধরণীয় আলোয় আসেন ১৯৯৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। বাবা রমজান আলী। মা লাভলী বেগম। তিন বোন, এক ভাই। ভাই-বোনদের মধ্যে রিতু সবার বড়। একমাত্র ছোট ভাই রিদম ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট দুঃখজনকভাবে পানিতে ডুবে মারা যায়। বিকেএসপিতে ২০০৮ সালে ভর্তি হয়ে টেনিস ক্যারিয়ার শুরু করা রিতুর টেনিসে আদর্শ খেলোয়াড় রাশিয়ার মারিয়া শারাপোভা, যুক্তরাষ্ট্রের সেরেনা উইলিয়ামস এবং বাংলাদেশের অমল রায়। তারকা খেলোয়াড় রিতুর ফাইনাল-ভাগ্যটা তেমন ভাল নয়। বর্তমান নাম্বার ওয়ান আফরানা ইসলাম প্রীতির সঙ্গে ৪টি ফাইনালে মুখোমুখি হয়ে মাত্র ১টিতে এবং সাবেক নাম্বার ওয়ান শারমিন আলম সারদার বিপক্ষে ৭টি ফাইনালে মুখোমুখি হয়ে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছেন তিনি। তারপরও সাফল্যের খেরো খাতায় প্রাপ্তিটা কম নয় তার। সব ধরনের আসর ও ইভেন্ট মিলিয়ে এ পর্যন্ত জিতেছেন ২০টিরও বেশি শিরোপা। এর মধ্যে ১২টিই একক ইভেন্টে। ক্যারিয়ারের স্মরণীয় অর্জন বলতে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসে মহিলা টেনিসের এককে স্বর্ণ জয়। ‘ওই আসরে অনেক অসুস্থ ও দুর্বল ছিলাম। ছিলাম আন্ডারডগও। কেননা শারদা আপু ছিলেন টপ ফর্মে। তারপরও আমিই জিতে চ্যাম্পিয়ন হই। ২০১৪ সালে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত আইটিএফ অ-১৮ আসরে অংশ নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলি। হেরে যাই যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিযোগীর কাছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত এটাই হচ্ছে আমার সেরা সাফল্য।’ রিতুর স্মৃতিচারণ। এছাড়া জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১৬ আসরে এককে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্মৃতি রিতুর কাছে এখনও জ¦লজ¦লে। সেবার ফাইনালে হারিয়েছিলেন বিকেএসপির আফরানা ইসলাম প্রীতিকে। বিকেএসপির হ্যাটট্রিক সেরা ও বিনা বেতনে অধ্যয়নের বিরল কীর্তিও গড়েছেন রিতু। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিকেএসপির সেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। প্রতিবারই আর্থিক পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পেয়েছিলেন। নিজের ক্যারিয়ারগ্রাফ নিয়ে পর্যালোচনা করতে বলা হলে রিতুর মূল্যায়ন, ‘পেছনে ফিরে তাকালে মনে হয় প্রায় দশ বছরের ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত যা অর্জন করেছি, তা আশাব্যঞ্জকই। যদিও আরও কিছু পেতে পারতাম। তবে তা নিয়ে আক্ষেপ নেই। বরং যা অর্জিত হয়েছে, তা নিয়ে আমি খুশিই।’ এছাড়া খেলাধুলা-পড়াশোনা দুটোতেই ভাল করার সুবাদে বিকেএসপির নিয়ম অনুযায়ী রিতুর বেতন ফ্রি করে দেয়া হয়েছিল। ‘সুবিধাটা ভোগ করেছিলাম টানা চার বছর! গর্বিত উচ্চারণ রিতুর। স্মরণীয় চোট প্রসঙ্গে নষ্টালজিক হয়ে পড়েন রিতু, ‘শারদা আপুর বিপক্ষে খেলতে গিয়ে (আসর মনে নেই, সাল সম্ভবত ২০১১ বা ১২ সালে) পায়ে ক্র্যাম্প হওয়ার কারণে জেতা ম্যাচ হারি। প্রায় সপ্তাহ খানেক শয্যাশায়ী ছিলাম, হাঁটাচলাই বন্ধ ছিল।’ রিতুর বহুল আলোচিত কোচিং-অধ্যায়ের শুরু ২০১৫ সালের জুন থেকে। তৃণমূল পর্যায় থেকে বিকেএসপি টেনিস খেলোয়াড় সংগ্রহ ও বাছাই করে। তারপর সেই খেলোয়াড়দের (বালক-বালিকা উভয়ই) প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন রিতু। কোচিং করাতে গিয়ে নিজের খেলোয়াড়ি স্বত্বাও কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রিতুর। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘বিকেএসপির কোচ হিসেবে কাজ করছি। অন্যদের খেলা শেখাতে গিয়ে নিজেই খেলার সময় পাই না! ফিটনেসেও ঘাটতি হয়ে গেছে, মূলত এ কারণেই এবারের বিজয় দিবস টেনিসের এককের ফাইনালে জিততে পারিনি।’ কিভাবে কোচ হলেন? ‘প্রথমে প্রি-লেভেল কোচেস কোর্স, তারপর বিকেএসপিতে সার্টিফিকেট কোর্স (২১ দিনের) সম্পন্ন করি। এটা এত সহজ ছিল না। রীতিমতো লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে সেগুলোতে উত্তীর্ণ হতে হয়েছে আমাকে।’ এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করা দরকার। বিকেএসপির ইতিহাসে রিতুই হচ্ছেন প্রথম মহিলা টেনিস কোচ! ‘এটা আমার জন্য অনেক গর্বের, অনেক রোমাঞ্চের!’ আবেগী কণ্ঠ রিতুর। রিতুর কোচ হওয়ার পেছনে যার অবদান, তিনি বিকেএসপির টেনিস কোচ রোকন উদ্দিন আহমেদ। ‘তার অবদান অনস্বীকার্য। আমি জানতামই না যে এভাবে টেনিস কোচ হওয়ার সুযোগ আছে। কল্পনাও করিনি কোচ হওয়া যায়। বিষয়টি প্রথমে আমার মাথায় ঢোকান রোকন স্যার। আমাকে উৎসাহিত করেন কোচ হতে। তিনি আমাকে সব ধরনের সাহায্য করেছেন। এমনকি আমার ফরম ফিলাপ পর্যন্তও নিজ হাতে করে দিয়েছেন তিনি। তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। এই ঋণ কোনদিনও শোধ হওয়ার নয়। তিনিই আমার আদর্শ টেনিস কোচ। এছাড়া আমার পরিবারেরও সমর্থন ছিল আমার টেনিস কোচ হওয়ার পেছনে।’ চাকরি স্থায়ী হওয়ার অপেক্ষায় আছেন রিতু, ‘আড়াই বছর ধরে টেনিস কোচ হিসেবে কাজ করছি। ১৮ হাজার টাকার বেতন দিয়ে শুরু। প্রায় চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছি ৩৫ হাজার টাকা করে। এটা আমাদের তিন বছরের প্রজেক্ট।’ শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল, সেটা পূরণ হয়েছে রিতুর। তিনি বলেন, ‘আমার আজন্ম স্বপ্নসাধ ছিল একজন শিক্ষক হওয়ার। আমি শুরুতে যে স্কুলে পড়তাম, আমার বাবা ছিলেন সেই স্কুলেরই শিক্ষক। শুধু তাই নই, আমার চাচা, বড় ফুপি এবং মেজো ফুপিও ছিলেন শিক্ষক। তাদের দেখেই ইচ্ছে জাগত আমিও একদিন শিক্ষক হব। অবশেষে আমি শিক্ষক ঠিকই হয়েছি, টেনিস খেলা শেখানোর শিক্ষক। আসলে টেনিস খেলা মিশে আছে আমার রক্তে-মাংসে।’ এ্যাথলেট না হয়ে টেনিস খেলোয়াড় হওয়ার গল্পটাও শোনান রিতু, ‘বাবার ইচ্ছেতেই বিকেএসপিতে ভর্তি হই। প্রথমে এ্যাথলেট হওয়ার জন্য আবেদন করি। কিন্তু কপাল মন্দ, টিকলাম না। ওই সময় রোকন উদ্দিন আহমেদ স্যারের চোখে পড়ি। ট্রায়ালের সময় তিনি হয় তো আমার মধ্যে কিছু দেখেছিলেন। আমাকে তিনি পরামর্শ দিলেন, টেনিস কোটায় আবেদন করতে। বাবাকে জানালাম বিষয়টা। তিনিও সায় দিলেন। জোগালেন সাহসও। তাই করি। এবং সুযোগও পেয়ে যাই টেনিস কোটায়! এভাবেই আসলে বদলে গেল জীবনের গতিপথটা।’ বিকেএসপিতে আসার পর কেমন অনুভূতি হয়েছিল রিতুর? ‘পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিকেএসপিতে এসে প্রথম একটু খারাপ লেগেছিল। কিন্তু সেটা অচিরেই দূর হয়ে যায়। কারণ বিকেএসপির মাথা খারাপ করা সুন্দর পারিবেশ, খেলাধুলা করার সুযোগ-সুবিধা এবং আমার রুমমেটদের উৎসাহ এবং আদর। বাবা বলতেন, ‘তুমিই পারবে, তোমাকেই দিয়েই সম্ভব।’ টেনিসে সাফল্য আসতে শুরুর সময় বাবা অনেক খুশি হতেন। সেই সঙ্গে উপদেশও দিতেন, ‘সব সময় মাথা ঠা-া করে খেলবে।’ বিকেএসপি নিয়ে গর্ব করেন রিতু, ‘বিকেএসপি আসলে আমার জীবনটাই বদলে দেয়। পাল্টে দেয় দৃষ্টিভঙ্গি। এখানে এসে অনেক কিছু শিখেছি। এখানকার নিয়ম-শৃঙ্খলা, সবার আচার-আচরণ ... এসব কিছুই দারুণ লাগে আমার কাছে। বিকেএসপি হচ্ছে অন্য সব ক্যাডেট কলেজের মতোই। কিন্তু আমার ধারণা- বিকেএসপির খাবারের মানই সবচেয়ে ভাল।’ টেনিস খেলোয়াড় হতে গেলে কি দরকার, একজন টেনিস কোচ হিসেবে রিতুর দৃষ্টিতে, ‘মাঠে ও মাঠের বাইরে সবসময়ই ঠা-া মাথার অধিকারী হতে হবে। কোচ এবং সিনিয়র খেলোয়াদের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল মনোভাবের হতে হবে, অনুশীলনে সবসময় শতভাগ মনোযোগী ও পরিশ্রম করতে হবে।’ খেলোয়াড় হিসেবে আর কতদিন কোর্টে দেখা যাবে রিতুকে? ‘বেশিদিন নয়, আর মাত্র ২-৩ বছর খেলব। তারপরই পূর্ণ মনোযোগী হয়ে কোচিং ক্যারিয়ারটা চালিয়ে যাব।’ কোচ হিসেবে লক্ষ্য-স্বপ্ন-আকাক্সক্ষাগুলো কী? ‘নিজে যেটা করতে পারিনি, যেটা হতে পারিনি; কোচ হিসেবে সেটাই করতে চাই। ফেড কাপে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা দল গঠন করতে চাই, যেখানে থাকবে ৪ থেকে ৬ ভালমানের খেলোয়াড়। আমার স্বপ্ন, আমার স্টুডেন্টরা হবে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়। আরেকটা লক্ষ্য হচ্ছে কোচিং কোর্স লেভেল ১ ও ২ কমপ্লিট করা। প্রথমটা এ বছরই করার ইচ্ছে।’ পড়াশোনা নিয়ে পরিকল্পনার কথাও জানান টেনিস খেলার সুবাদে ভারত ও মিয়ানামার সফর করা রিতু, ‘এখন বিএ দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি সাভার জিরানির মান্নান ডিগ্রী কলেজে। ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে মাস্টার্সটা সম্পন্ন করার।’ শৈশবে কেমন ছিলেন রিতু? প্রথমে বেশ লজ্জাই পান তিনি এ প্রশ্ন শুনে। বলেন, ‘কি হবে এসব লিখে? থাক না!’ পরে একটু জোরাজুরি করতেই খুলে দিলেন স্মৃতির ঝাঁপি, ‘ছোটবেলায় ছিলাম সাংঘাতিক দুষ্ট ও দুরন্ত। সুপারি গাছে উঠতাম, চালাতাম সাইকেল। এছাড়া ছিলাম খেলাপাগল। অতিরিক্ত খেলাধুলা করতাম। বউচি, গোল্লাছুট তো খেলতামই, সেই সঙ্গে এ্যাথলেটিক্সেও ছিলাম পারদর্শী। স্কুলের (হাতিবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, লালমনিরহাট) ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিয়মিতই প্রথম স্থান অধিকার করতাম ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং লং জাম্পে। চ্যাম্পিয়ন হয়েছি স্কুল, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়েও।’ একটু দম নিয়েই আবারও ফিরে যান মধুর মেয়েবেলাায়, ‘পড়াশুনায় ভাল হলেও (প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত ক্লাসে রোল সবসময়ই ছিল ১০-এর মধ্যে) সুযোগ পেলেই ফাঁকি দিতে চেষ্টা করতাম। এজন্য প্রচুর বকা খেয়েছি বাবার কাছ থেকে। দুপুরে আমাকে ঘুমাতে বলতেন। করতাম কি, প্রতিদিনই ঘুমিয়ে থাকার ভান করে পরে লুকিয়ে লুকিয়ে ঘরে ছেড়ে পালাতাম। একদিন তো ধরাই পড়ে গেলাম। সেদিনও ববরাবরের মতো না ঘুমিয়ে ঘর থেকে পালাই। পাশেই খেলার মাঠ। সেখানে গিয়ে মহানন্দে খেলছি। একটু পর বাবার ঘুম ভাঙলে আমাকে ঘরে খুঁজে না পেয়ে যা বোঝার বুঝে ফেললেন। সোজা গিয়ে হাজির হলেন খেলার মাঠে। দাঁত কিড়মিড় করে এগিয়ে আসছেন। তার অমন রাগী চেহারা দেখে আমার তো আক্কেলগুরুম। বুঝে ফেললাম ধরা পড়লে আজ আমার খবর আছে। প্যাঁদাানি খাবার ভয়ে জান বাঁচাতে প্রাণপণে দৌড়ে পগারপার হলাম! হা হা হা!’ এখন দেখার বিষয়, রিতু খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেয়ার আগে আর কতদূর এগুতে পারেন এবং কোচ হিসেবে তার সব সুনীল স্বপ্ন কতটা সত্যি হয়।
×