ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তৎপরতায় লিপ্ত স্বার্থান্বেষী মহল

ময়মনসিংহ মেডিক্যালে চালু ওয়ানস্টপ সার্ভিস বন্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২ জানুয়ারি ২০১৮

ময়মনসিংহ মেডিক্যালে চালু ওয়ানস্টপ সার্ভিস বন্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে

নিখিল মানখিন, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল ঘুরে এসে ॥ দেশের সরকারী হাসপাতালে প্রথম গড়ে ওঠা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চালু হওয়া ওয়ানস্টপ সার্ভিস বন্ধ করতে ছক কষছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। কমিশনভোগী কতিপয় অসাধু চিকিৎসক ও কর্মকর্তাসহ হাসপাতালের চারপাশে গড়ে ওঠা বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলোর মালিক এবং হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ও হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিগুলোর মালিক এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ সার্ভিস ইতোমধ্যে ময়মনসিংহসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার রোগীদের আস্থা ও সুনাম অর্জন করেছে। সেই সঙ্গে কমে গেছে ওঁৎ পেতে থাকা দালালদের দৌরাত্ম্য এবং রোগীদের ভোগান্তি। এই সার্ভিস চালু হওয়ায় সরকারী হাসপাতালের চারপাশে গড়ে ওঠা বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। ফলে এই সার্ভিস বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি স্বার্থান্বেষী চক্র। অথচ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের তিন কোটিরও বেশি মানুষ ওয়ানস্টপ সার্ভিসের সুবিধা নেবেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সরেজমিন ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই সার্ভিস সফলতার মুখ দেখলে দেশের সর্বত্র তা চালু করার বিষয়টি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সারাদেশে সরকারী হাসপাতালে ওয়ানস্টপ চালুর প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জনকণ্ঠকে জানান, সরকারী বরাদ্দের শতভাগ ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহসহ নামমাত্র ফি’তে সব পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকায় এখানে রোগীর চাপ বাড়ছে দিন দিন। এছাড়া প্রয়োজন নেই এমন রোগীরাও ভর্তি হয়ে সরাসরি ওয়ার্ডে চলে আসায় চাপ বাড়ছে। ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু হলে এসব রোগী ভর্তি হওয়ার চাপ কমে আসবে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু থাকলে কর্তব্যরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যেসব রোগী ভর্তির প্রয়োজন মনে করবেন কেবল তাদেরই ওয়ার্ডে পাঠাবেন। আর যাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন কিংবা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া যায় তাদের আর ওয়ার্ডে পাঠানো হবে না। এতে রোগীদের ভোগান্তিসহ চিকিৎসা ব্যয় যেমন সাশ্রয় হবে, তেমনই ব্যয়সহ চাপ কমে আসবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। অনিয়ম প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার মান এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত। মানসম্পন্ন সেবার মান ধরে রাখতে কোন অনিয়ম ও অবহেলা সহ্য করা হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের বিদ্যমান অবকাঠামো ও সেবাদানের বিষয়টি বিদেশী অত্যাধুনিক হাসপাতালের সঙ্গে তুলনা করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জনকণ্ঠকে জানান, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের ওয়ানস্টপ সার্ভিস ও অবকাঠামোসহ চিকিৎসাদানের বিভিন্ন পদ্ধতি দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। আমি অন্যান্য সরকারী হাসপাতালের পরিচালকদের ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অবকাঠামো ও চিকিৎসাসেবা দেখে আসার পরামর্শ দিয়েছি। এই হাসপাতালের ওয়ানস্টপ সার্ভিস বন্ধ করে দিতে যেকোন চক্রের অপচেষ্টা প্রতিরোধ করা হবে। এই সেবা অব্যাহত রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রথম ওয়ানস্টপ সার্ভিস ॥ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৯ নবেম্বর থেকে চালু হওয়া এই ওয়ানস্টপ সার্ভিসে অর্থো সার্জারি, গাইনি, মেডিসিন, কার্ডিওলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ইকো কার্ডিওগ্রাম-ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফি, ডিজিটাল এক্সরে, প্যাথলজি টেস্ট, ডে কেয়ার সেন্টার ও পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডের ২৪ ঘণ্টার চিকিৎসাসেবা প্রদানের সুবিধা রয়েছে। এসবের বাইরে জরুরি প্রসব সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের নরম্যাল ও সিজার প্রসবের ব্যবস্থাসহ সড়ক দুর্ঘটনায় কিংবা মারামারি সংঘর্ষে আহতদের অপারেশন করার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এই ওয়ানস্টপ সার্ভিসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দেশের কোন সরকারী হাসপাতালে প্রথমবারের মত এই সার্ভিস চালু হওয়ায় হাসপাতালের অন্ত বিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির চাপ কমে আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১শ’ থেকে ২শ’ রোগী ভর্তির চাপ কমে গেছে। দিন দিন রোগী ভর্তির এই চাপ আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত এক মাসে ২ হাজারের বেশি রোগীকে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের জরুরী চিকিৎসা সেবা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর এই সময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে ৪ হাজারের বেশি রোগীকে। ওয়ানস্টপ সার্ভিসে অপারেশন করা হয়েছে ২ হাজারের বেশি রোগীকে। বিদ্যমান টেস্টের সুবিধা পেয়েছেন ৪ হাজারের বেশি রোগী। সরেজমিন ॥ সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অবকাঠামো ও চিকিৎসেবায় আমূল পরিবর্তন এসেছে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের একটি অংশকে আলাদা করে চালু করা হয়েছে এই ওয়ানস্টপ সার্ভিস। জরুরী বিভাগে আসা রোগীদের কর্তব্যরত ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার (ইএমও) দেখার পর গুরুতর রোগীদের ভর্তি করে সরাসরি ওয়ার্ডে পাঠাচ্ছেন। বাকিদের কাউকে ডে কেয়ার সেন্টার ও কাউকে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে পাঠাচ্ছেন। এই সময়ে রোগীদের জরুরী পরীক্ষার প্রয়োজনে এক্সরে, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফি ও প্যাথলজি ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় ধরে থাকার পর ডে কেয়ার সেন্টার ও পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড থেকে রোগীদের ছুটিও হচ্ছে, আবার ওয়ার্ডেও পাঠানো হচ্ছে। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা থেকে মারামারি ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসেন কিশোর জহিরুল। পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে আছেন গত ৩ দিন ধরে। এসময় তাকে সেলাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের ওয়ানস্টপ সার্ভিসের এমন ব্যবস্থাপনায় খুশি জহিরুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা জনকণ্ঠকে জানান, মাত্র ১২০ টাকায় ডিজিটাল এক্সরে আর ৪০০ টাকায় মিলেছে পুরো পেটের আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা। ঝামেলাও কম। অথচ হাসপাতালের বাইরে এক্সরের জন্য ৩০০ টাকা আর আলট্রাসনোগ্রাফির জন্য গুনতে হত ১২০০ টাকা। ত্রিশাল উপজেলার চকরামপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী শারমিন (১৪) প্রচ- বুকের ব্যথা নিয়ে আসেন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ডে কেয়ারে পাঠানোর পর সঙ্গে সঙ্গেই করা হয় ইসিজি। সমস্যা না থাকায় ৩ ঘণ্টা পরই তাকে ছুটি দেয়ায় স্বস্তি ফিরে পায় শারমিন ও তার পরিবার। শারমিনের পিতা সুফি আহমেদ জানান , মাত্র ১২০ টাকার ইসিজি পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট দেখেই চিকিৎসকরা তাকে জানায় সমস্যা নেই। চাইলে এবার বাসায় ফিরে যেতে পারেন। এমন তাৎক্ষণিক ও ঝামেলামুক্ত সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সুফি আহমেদ। ফলোআপ করাতে আসা ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানাধীন পুরানপাড়ার বাসিন্দা সেলিম মিয়া (৪২) জনকণ্ঠকে জানান, কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে তিন মাস আগে তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এক চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি কয়েকটি পরীক্ষা বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করাতে বাধ্য হন। তাকে বাইরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালানো হয়। কিন্তু তিনি সরকারী হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু হওয়ার পর ফলোআপ করানো অনেক সহজ হয়ে গেছে। বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোর প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে দেয়ায় রোগীরা অহেতুক হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে জানান সেলিম মিয়া। হাসপাতালের মূল গেটের বাইরে রাস্তার পাশে সাজানো চা দোকানদার মোঃ গিয়াসউদ্দিন (৪৭) জনকণ্ঠকে জানান, তিনি এখানে ১২ বছর ধরে চা দোকান চালাচ্ছেন। হাসপাতালে আসা অনেক রোগীর লোকজন প্রতিদিন আমার দোকানে চা খেয়ে যান। তাদের মুখে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের প্রশংসা শুনি। আমার পরিচিতজনদের অনেকে সেবা নিয়েছেন। এই সার্ভিস চালু হওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া কোনো রোগীকে আর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না বলে জানান মোঃ গিয়াসউদ্দিন। এ বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এমএ আজিজ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, এর সুফল পাচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে হতদরিদ্র মানুষ। অথচ চিহ্নিত একটি মহল এই সুফল বন্ধের চক্রান্ত করায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সচেতন মহলকে সতর্ক থেকে ওয়ানস্টপ সার্ভিস সচল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে রোগীরা এই সার্ভিস থেকে দৃশ্যমান সুবিধা পাওয়ায় খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এক পত্রে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাছিরউদ্দিন আহমদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যালের এই ওয়ানস্টপ সার্ভিসের রোল মডেল দেশের সবকটি বড় সরকারী হাসপাতালে চালু করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছেন। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাছির উদ্দিন আহমদ জনকণ্ঠকে জানান, ঢাকার বাইরে দেশের কোন সরকারী হাসপাতালে এই প্রথম প্রাথমিক পর্যায়ের সকল সুবিধা নিয়ে চালু হয়েছে ওয়ানস্টপ সার্ভিস। পূর্ণাঙ্গ সুবিধার এই ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু হওয়ায় গত প্রায় এক মাসে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চাপ কমার পাশাপাশি রোগীদের ভোগান্তিও অনেকটা কমে আসতে শুরু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন অনুকরণীয় উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন, বিএমএ ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মতিউর রহমান ভুঁইয়া জানান, ওয়ানস্টপ সার্ভিসে মারামারি, দুর্ঘটনায় আহত ও প্রসূতিসহ যে কোন সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজন মনে করলেই কেবল কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীকে ভর্তির জন্য হাসপাতালের ওয়ার্ডে পাঠাচ্ছেন। এতে করে ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর চাপ কমার পাশাপাশি রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তিও কমতে শুরু করছে বলে দাবি করেন এই চিকিৎসক নেতা। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরাও রোগীদের স্বস্তির সাথে সেবা দিতে পারছেন। ওয়ানস্টপ চালু হওয়ার আগে ॥ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এক হাজার শয্যার ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গড়পরতা প্রতিদিন ২৬০০ থেকে ২৮০০ রোগী ভর্তি থাকত। এছাড়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রতিদিন গড়ে পাঁচশ’ এবং হাসপাতালের বহির্বিভাগে আরও প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসত। এক হাজার শয্যার বিপরীতে চিকিৎসক ও নার্সসহ বিদ্যমান জনবল দিয়ে এত বিপুলসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
×