ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত সিরিজ, নিউল্যান্ডসের পিচ ঘিরে রহস্য

চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ভুবনেশ্বর

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২ জানুয়ারি ২০১৮

চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ভুবনেশ্বর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুক্রবার কেপটাউন টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে বিরাট কোহলিদের বহুল আলোচিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে মাঠের লড়াই। দীর্ঘ প্রায় আড়াই দশকে প্রোটিয়াদের মাটিতে সাদা পোষাকের ক্রিকেটে কখনোই সিরিজ জিততে পারেনি ভারত। উড়তে থাকা ‘নাম্বার ওয়ান’ মোড়লদের সামনে এবার ইতিহাস বদলে দেয়ার সেরা সুযোগ। দুদিন আগে সাদাকালোর দেশে পা রেখে অধিনায়ক অবশ্য বলেছেন, অতীত পরিসংখ্যান নয় নিজেদের সেরাটাই দিতে চান তারা। দলের পেস বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা ভুবনেশ্বর কুমার জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জ নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত তিনি। ওদিকে কেপটাউনের নিউল্যান্ডসের পিচ স্বভাবসূলভ বাউন্সি, না কিছুটা শুকনো হবে সেটি নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুদল তিন ম্যাচের টেস্ট, ছয় ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ খেলবে। ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে এলেই সবার আগে যা নিয়ে আলোচনা করা হয় সেটা বাউন্সি উইকেট। কিন্তু সব ম্যাচে যে এমন পিচ হবে, তার নিশ্চয়তা কী?’ কেপটাউনে রবিবার অনুশীলনের সময় স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন ভুবনেশ্বর। তবে যেসব পিচে বাউন্স থাকবে সেটা সামলানো ব্যাটসম্যানদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, মানছেন তিনি। পাশাপাশি এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রতিটা টেস্টে বোলারদের কিন্তু একটা চ্যালেঞ্জ সামলাতেই হবে ও ‘ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে বাউন্সটা একটা পরীক্ষা মানছি। কিন্তু সেটা সব পিচে নাও থাকতে পারে। কিন্তু সবাই মনে রাখে না যে বোলারদের জন্যও একটা চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে, সেটা কী তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ভুবি, ‘কুকাবুরা বলে বল করাটা সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। ২৫-৩০ ওভার পরে বল খুব একটা মুভ করে না। এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমরা এখন তৈরি হচ্ছি। আশা করছি সামলে নিতে পারব।’ উল্লেখ্য কোন প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলেই সরাসরি ময়দানী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে কোহলি বাহিনী। ভুবনেশ্বর মনে করেন, দল যেভাবে খেলছে এবার ভাল সম্ভাবনা আছে ‘আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী।’ আমরাজানি এবার টেস্ট সিরিজ জিতে ফেরার একটা ভাল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও জানি, সেটা করতে গেলে আমাদের সেরাটা দিতে হবে। পেস বোলিং নিয়ে ভুবি আরও বলেন, ‘আমাদের দলের বোলারদের মধ্যে অনেক বৈচিত্র আছে। তাই আমরা একে অন্যের থেকে শিখতে পারি। যেমন উমেশ যাদব, মোহাম্মদ শামি বা ইশান্ত শর্মার কাছে আমি রিভার্স সুইং নিয়ে প্রশ্ন করতে পারি। আবার আমার থেকে ওরা সুইংয়ের ব্যাপারে পরামর্শ নিতে পারে।’ দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ নিয়ে তার ধারণা এমন, ‘এখানে এসে সবচেয়ে বড় যেটা দেখব সেটা হল বাউন্স। খুব যে সুইং হবে, এমনটা বলব না। কিন্তু বাউন্সটা পাওয়া যাবে বলে মনে হয়। আর প্রত্যেক ফাস্ট বোলারের মত আমিও পিচে বাউন্সটা বেশ উপভোগ করি।’ কেপটাউনে দীর্ঘদিন ধরে চলা খড়ার কারণে নিউল্যান্ডসে এবার প্রত্যাশিত বাউন্সি উইকেট করা যাবে কি না, সেটি নিয়ে দ্বিধান্বিত খোদ স্থানীয় কিউরেটরও। আর সেটি যদি না হয় সেক্ষেত্রে রবিচন্দ্রন আশ্বিন ও রবিন্দ্র জাদেজার মত তুখোড় ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণিবিষের ফাঁদে পড়তে হবে ডিন এলগার, ফ্যাফ ডুপ্লেসিস ও এবি ডি ভিলিয়ার্সদের। তবে ম্যানেজমেন্ট কিন্তু বাউন্সি পিচের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
×