ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২ জানুয়ারি ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

প্রিয় পাঠক, নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই। ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা গত বছরের মতো এ বছরও ঢাকা শহরের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বিদায়ী বছরে ঢাকাবাসী সবচেয়ে বেশি ভুগেছে চিকুনগুনিয়ায়। তাই বছরের শুরুতে এ ব্যাপারে আগাম সতর্কতার কথা আমরা জোরেশোরে বলে রাখতে চাই। অবশেষে হলো বেঙ্গল ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক ফেস্ট এবার বেঙ্গল আয়োজিত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবটি হচ্ছে না- এমন খবরে ঢাকাবাসী সংগীতপ্রেমীরা কষ্ট পেয়েছিলেন। আয়োজকরা সংবাদ সম্মেলন করে নির্ধারিত ভেন্যু বরাদ্দ না পাওয়ার কথা জানান। বিগত পাঁচ বছর বেশ সফলতার সঙ্গেই এই উৎসবটি হয়েছে, একথা বলতেই হবে। ঢাকায় রাতভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেশ একটা প্রাণবন্ত উৎসব করার রেওয়াজ গড়ে উঠেছে, এটা সত্যি। শতভাগ দর্শক-শ্রোতাই যে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের রস উপভোগে সমর্থ, এমনটা হয়তো সঠিক নয়। তবে তাতেও ক্ষতি নেই। ঢাকার তারুণ্যশক্তি সুরের ধারায় অবগাহনের চাইতে পরস্পর আড্ডা-গল্প আর আনন্দেও যদি রাত পার করে থাকে, তারপরও এটিকে স্বাভাবিক প্রাণোচ্ছলতা হিসেবে দেখতে হবে। সেটুকু উদারতা নিশ্চয়ই সংস্কৃতিবান ঢাকাবাসীর রয়েছে। এবার উৎসব না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় আমরা এই কলামে বলেছিলাম: ‘আয়োজকরা চাইলে উদ্যোগ নিতে পারেন। আর্মি স্টেডিয়াম পাওয়া যায়নি, তাই আন্তর্জাতিক এ উৎসবটি হচ্ছে না। এবার উৎসবটি জাতীয় পর্যায়েও হতে পারে। পাঁচ দিনের জায়গায় তিন দিন হলেও অসুবিধে নেই। আর ভেন্যু? ধানমণ্ডির ছায়ানট ভবনে হতে পারে। দেশের তরুণ-প্রবীণ নির্বিশেষে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিল্পীদের পরিবেশনায় এরকম একটি উৎসব হলে আশাহত শ্রোতাবৃন্দ অনেকখানি সান্ত¦না লাভ করবেন- এতে কোন সন্দেহ নেই। তাছাড়া বিদেশের অতিথি শিল্পীদের বাহুল্যে অনেক সময় দেশের গুণী শিল্পীরাও বাদ পড়ে যান। এবার তাদেরও সুযোগ করে দেয়া যেতে পারে।’ উদ্যোক্তা বেঙ্গল ফাউন্ডেশন অবশ্য শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক উৎসবের আয়োজন করেছে, পরিবর্তিত ভেনুতে হয়েছে উৎসব ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। রাতভর সুরের ধারায় অবগাহনের সুযোগ এলেও আমার পক্ষে উৎসব প্রাঙ্গণে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না ক্রাচবন্দী হওয়ার কারণে। তাই চোখ রাখছি টিভিপর্দায়। সংবাদ প্রচারের সময় কোন কোন চ্যানেলের টিভি ক্যামেরা আবাহনী মাঠ থেকে সরাসরি দেখাচ্ছে কিছুক্ষণের জন্যে। তাতে কি আর দুধের স্বাদ মেটে? ঘোলও যে নয় ওই স্বল্পদৈর্ঘ্যরে সম্প্রচার। সব সঙ্গীতপ্রেমীর পক্ষে, ঢাকার বাইরের সুরপিয়াসীদের পক্ষে উৎসব প্রাঙ্গণে যাওয়া সম্ভব নয়। অথচ তাদের ইচ্ছে থাকে ষোলো আনা। তাদের তৃষ্ণা নিবারণের কথা ভাবতে হবে না? বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত বইমেলা নিয়েও এ ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। প্রতিদিন সবাই বইমেলায় যেতে পারেন না, অথচ প্রতিদিনই সেখানে থাকে নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং প্রকাশিত হয় গুচ্ছ গুচ্ছ নতুন বই। এটি সঠিকভাবে প্রথম যে মিডিয়া অনুধাবনে সমর্থ হয় সেটি একুশে টেলিভিশন। এক দশক আগে তারা পঁচিশ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেলে বইমেলা শুরু হলে টিভি ক্যামেরা মেলায় প্রবেশ করত, বইমেলার সার্বিক পরিবেশ ধারণ করা হতো, একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের চুম্বক অংশের ফুটেজ নেয়া হতো। মেলায় আগত লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের মিনি ইন্টারভিউ থাকত, সেই সঙ্গে সেইদিন বইমেলায় আসা নতুন বইয়ের তথ্য প্রদান করা হতো। বইমেলা শেষ হলে টিভি টিম ফিরে যেতেন স্টেশনে, তারপর এডিট করে পঁচিশ মিনিটের প্রামাণ্য অনুষ্ঠান প্রচার করা হতো প্রায় মধ্যরাতে। বেশ খাটুনি ও কমিটমেন্টের কাজ। উপস্থাপক ও সার্বিক দেখভালের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিন সপ্তাহ পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি, ধুলোর আক্রমণেই এটা হয়, কণ্ঠ-সমস্যায় ভুগি। তাই বাধ্য হয়ে একজন সহ-উপস্থাপক নিয়ে বইমেলার বাদবাকি দিনগুলো পার করি। কথা হলো উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের উৎসব নিয়েও কোন টিভি মাধ্যম অনুরূপ প্রামাণ্য অনুষ্ঠান করতে পারে। এ উৎসবে যেহেতু রাতভর সঙ্গীত পরিবেশিত হয়, তাই খাটুনি একটু বেশিই হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা আগের দিনের উৎসবের সামগ্রিক চিত্র ও সঙ্গীতের চুম্বক অংশ তুলে ধরতে পারে। কমপক্ষে এক ঘণ্টা আয়োজন হতে হবে। তবে ডিজিটাল উন্নতির যুগে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়েই এটা করা সম্ভব। এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রস্তুত করে উৎসব আয়োজকদের ওয়েবসাইটে তার ভিডিও সন্নিবেশ করা সম্ভব। তাহলে দর্শকশ্রোতারা তাদের সুবিধামতো সময়ে ওই সাইটে গিয়ে উৎসব উপভোগের সুযোগ পেতে পারেন। একটি সংবাদপত্র তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নানা আয়োজনের নির্বাচিত অংশ এভাবেই প্রদর্শন করেছে। মোড়ে মোড়ে পিঠার পসরা শীত আসার আগেই রাজধানীর পথে পথে বসে যায় পিঠার পসরা। শহরের মানুষ প্রায় বাছ-বিচারহীনভাবেই এই পিঠে খান। গলাধঃকরণ বললেও বেশি বলা হবে না। শীতে ঢাকায় যেসব পথবিক্রেতা রকমারি পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন তারা সব মৌসুমী পেশাজীবী। মহানগরীতে এসে রিক্সা চালানো কিংবা কায়িক শ্রম দান যাদের জীবিকা তাদের বড় অংশ শীতে রাস্তার ধারে, ফুটপাথে কিংবা পেভমেন্টে অস্থায়ী পিঠা তৈরির হেঁশেল ও বিক্রির দোকান সাজিয়ে বসেন। এতে যেমন হাজার হাজার শ্রমজীবীর কর্মসংস্থান হয়, তেমনি রসনাও তৃপ্ত হয়ে লাখ লাখ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও বিত্তহীন শ্রেণীর মানুষের। তবে এটাও সত্য যে, এখন গাড়িওয়ালারাও চলতি পথে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারের মাধ্যমে এসব শীতের পিঠা সংগ্রহ করে নেন। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে সামান্য হলেও এসব পথের পিঠা অবদান রেখে চলেছে। সেই সঙ্গে বহু বয়স্কজন নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হওয়ারও অবকাশ পেয়ে যান। এককালে তাদের শৈশব কেটেছে এই নিষ্ঠুর নগরী থেকে বহু দূরে মফস্বলের শহরে, কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামে। সেই সময়ে জিভে লেগে থাকা পিঠার স্বাদ একটু স্মরণ করা আরকি। আর এখনকার ছেলেমেয়েদের আর তেমন সুযোগ কোথায় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার, পিঠা খাওয়ার। রাস্তার পাশে ভাসমান দোকানের গরম গরম পিঠা খেতে ভাল লাগলেও আয়েশ করে বসে পিঠা খেতে চান অনেকেই। তাদের জন্য রয়েছে: বেইলী রোডে বেইলী পিঠাঘর, উত্তরায় জসীমউদ্দীন মোড়ে, হরেক রকম দেশীয় পিঠা নিয়ে উত্তরা পিঠাঘর এবং মিরপুর ১১ তে কাঁচা বাজারের কাছে ২২ পদের ভর্তা দিয়ে পিঠা খাওয়ার এক বিশাল সমারোহ হয় শীতে। সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশে এই ছোট্ট দোকানটি জমে উঠে পিঠা প্রেমীদের ভিড়ে। শুঁটকি ভর্তা, সরষে ভর্তা, বেগুন ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা, ধনে পাতা ভর্তা, মরিচ ভর্তাসহ আরও অনেক মজাদার ভর্তা দেওয়া হয় চিতই পিঠার সঙ্গে। কনকনে ঠা-া হাওয়া কি মানুষের পিঠের খিদেকে উস্কে দেয়? তা দিতেও পারে। ছেলেবেলায় কিছুকাল খুলনার গ্রামে ছিলাম, তখন ভাবতাম শীতে খেজুরের রস মেলে তাই রসের পিঠের ধুম পড়ে। শহুরে বহু বালক আমার মতোই ভাববে- বছর ভরেই পিঠা খাওয়া চলে, তবে শীতে তা খেতে ভারি মজা। অথচ পিঠাপুলির মৌসুমই হলো নবান্নের পরে শীতের আগমনীতে, সে কথা রাজধানীর হালের নবাবপুত্ররা বুঝবে কী করে? ঢাকায় জমিয়ে ঠা-া পড়তে শুরু হলে মাঘজুড়ে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে কয়েকটি পিঠা উৎসব হবে। জাতীয় পিঠা উৎসবে দেড় শ’ রকমের পিঠা আসে। সব কি চাখা সম্ভব? দেশের সব জেলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার সমাহার ঘটলে তা যে ওই সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে সেটা পিঠা-গবেষকরা নিশ্চয়ই মানবেন। রসনা তৃপ্ত করার জন্য এ ধরনের উৎসবে বরাবরই ভিড় লেগে থাকে। ভাবছিলাম বাংলার নিজস্ব খাদ্যসংস্কৃতি কি এ থেকে কোন সুফল তার ভা-ারে তুলতে পারে? নাগরিক চোখ ও জিহ্বা এতে তুষ্ট ও তৃপ্ত হয় বৈকি, কিন্তু এর প্রয়োজনও খাটো করে দেখছি না। কিন্তু যারা উৎসাহ বোধ করেন এ ধরনের পিঠা তৈরির, তাদের জন্য তো কিছু করা চাই। পিঠার রন্ধনপ্রণালী জানার কী উপায়? এই মাল্টিমিডিয়ার যুগে পর্দায় প্রদর্শনের মাধ্যমে পিঠার রেসিপি তুলে ধরায় কোন সমস্যা দেখি না। আগামীতে আয়োজকরা কথাটি ভেবে দেখবেন, আশা করি। শীতে ঠা-া না লাগলে সেটি কোন শীতই নয়। পরিবেশের জন্য সেটাই সঙ্গত ও স্বাভাবিক। শীতে শীত পড়বে, গ্রীষ্মে গরম। কিন্তু ঢাকার সব হিসাব-নিকাশই বদলে গেছে। যেমন এবার পৌষের অর্ধেকটা পেরিয়েও আসেনি কাক্সিক্ষত শীত। শীত যদিও উপভোগ করেন অর্থ-বিত্তসম্পন্নরাই এই ঢাকায়। তাদের হালফ্যাশনের শীতবস্ত্র পরার দারুণ সুযোগ মেলে। গরম যাদের একটু বেশি, তাদের জন্যেও শীতকাল মনোরম। এই মনোভাবের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছেন লাখ লাখ ঢাকাবাসী। শীতে তাদের বাড়তি কষ্ট হয়। নানা ধরনের দূষণে, ধুলো ধোঁয়া আর কুয়াশায় বিপন্ন পরিবেশ জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যে নিদারুণ যন্ত্রণা বয়ে আনে। বিশেষ করে গৃহস্থালি কাজের সঙ্গে যারা জড়িত যাদের পানি ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়, তাদের কষ্টটা একটু বেশি। তারপরও শীতকে স্বাগত জানান সবাই। শীতে নগরবাসী পিঠেপুলির দেখা পান পিঠামেলায়। মানতেই হবে বিভিন্ন পালাপার্বণে ঢাকায় যেসব মেলা বসে তাতে অনেক সময় নানা ধরনের পিঠা তৈরি ও বিক্রির ধুম পড়ে যায়। যে শিশুটির এখনও পর্যন্ত গ্রামে যাওয়া হয়ে ওঠেনি, যে কুপার্স কিংবা প্রিন্সের দামী কেকের বাইরে এ রকম সব মজাদার ‘কেক’ আছে তা জানতেই পারেনি- তার জন্যে এইসব মেলা পিঠাবাড়ি হয়ে ওঠে। এক পিঠামেলায় দেখেছিলাম শিশুটিকে তার মা পিঠা খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন। শিশুটি কিছুতেই খাবে না এমন অচেনা খাবার! পরে মা বাধ্য হয়ে কিনে নিলেন কয়েক রকমের পিঠা। এসব মেলায় কমপক্ষে এক কুড়ি ধরনের পিঠা সাজানো থাকে নগরবাসীর রসনাকে তৃপ্ত করার জন্য। আমরা তা থেকে কয়েকটির নাম তো বিলক্ষণ বলতে সক্ষম হব। পিঠার ভেতর রয়েছে : ভাঁপা, পাকন, পুলি, পাটিসাপটা, রসের পিঠা, নকশি পিঠা...। বইমেলা হোক বেশি বেশি গত ডিসেম্বরে উত্তরায় বিজয়ের বইমেলা হয়েছিল। এবার ঢাকা শহরের কোথাও ‘বিজয়ের বইমেলা’ অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণ খুঁজে পেলাম না। ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রচেষ্টা থাকতে হয়। আমাদের প্রকাশক নেতৃবৃন্দ যথেষ্ট যোগ্য ও কর্মতৎপর, সন্দেহ নেই। বিদেশে অনুষ্ঠিত নানা আয়োজনে তাদের অংশগ্রহণ নিয়মিত। কিন্তু বিজয়ের মাসে বিজয় বইমেলা করতে তারা অপারগ থাকেন কিভাবে! যাহোক, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘এতিহ্য’ যথারীতি বছরের শেষ পাঁচদিন শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষে আয়োজন করে বর্ষশেষ বইমেলা। বিশেষ ছাড়কৃত মূল্য ছিল নানা ধরনের বইয়ে। এমনকি অর্ধেক দামেও পাওয়া গেছে বই। পাঠবিমুখ জাতি হিসেবে আমাদের একটা বদনাম রয়ে গেছে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমরা পিছিয়ে রয়েছি বলেই পাঠ্যাভ্যাসের সংস্কৃতি, বই নিয়ে আলোচনা-গল্প-আড্ডার চল সেভাবে গড়ে তোলা যায়নি। তাই যে কোন বইমেলাকেই আমরা স্বাগত জানাতে চাই। যদিও বই বিক্রির বিষয়টি অনেক সময়ই আমাদের কিছুটা হতাশ করে থাকে। এটা মানতেই হবে, মেলায় বইয়ের ব্যবসা তেমন না হলেও বহু পাঠককে আকৃষ্ট করা যায়। তাঁরা বই হাতে তুলে দেখেন উল্টেপাল্টে। মেলা না হলে তো এটুকুও হতো না। তাই বইমেলার আয়োজন সব সময়েই ইতিবাচকভাবেই আমরা দেখব। এর প্রচার-প্রসারেও আমরা সচেষ্ট হব। নতুন বছরে এমন নতুন নতুন উদ্যোগে বইমেলা আয়োজিত হোক। বই উপহার দেওয়ার আনন্দ সবার মনে ছড়িয়ে পড়ুক এটাই কামনা করি। ১ জানুয়ারি ২০১৮ সধৎঁভৎধরযধহ৭১@মসধরষ.পড়স
×