ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বর্ষবরণ

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ১ জানুয়ারি ২০১৮

নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বর্ষবরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যেও আকাশে আতশবাজির ঝলকানি, পটকা ফোটানো আর বর্ণিল উৎসবে রাজধানীতে পালিত হলো নতুন ইংরেজী বছর ২০১৮। রবিবার রাত বারোটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর আকাশে আতশবাজিতে রাতের আকাশ সাদা হয়ে যায়। ঢাকাবাসী ‘হ্যাপি নিউইয়ার’ বলে বরণ করে নতুন বছর। ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে বাড়ির ছাদে ছাদে পটকা ফোটানোর ধুম পড়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকেই প্রতিটি গাড়িতে গাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়। বর্ষবরণে যে কোন প্রকার নাশকতা এড়াতে সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল দেয়া শুরু করে যা রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলে। রবিবার রাত ৮টায় গুলশান দুই নম্বর গোল চক্করে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে হেলিকপ্টার টহলের কারণ হিসেবে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, নতুন বছরের শুরুতে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই সার্চ লাইট জ্বালিয়ে র‌্যাবের হেলিকপ্টারের এই টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, কিছু সময় বিরতি দিয়ে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হেলিকপ্টার দিয়ে এই টহল চলেছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও বিশেষ এলাকাগুলোতে র‌্যাব সদস্যরা নিরাপত্তা তল্লাশি চালিয়ে গিয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আলাদা করে কিছু না থাকলেও সবকিছু মাথায় রেখেই আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ চলছে। এদিকে রাত ৮টার পর থেকে হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া ভোর পর্যন্ত বিশেষ কারণ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান-বনানী এবং বারিধারাসহ কূটনীতি এলাকায় বহিরাগত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এদিকে কড়া নিরাপত্তার মাঝেও আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে ইংরেজী নতুনবর্ষকে বরণ করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। বর্ষবরণের জন্য সন্ধ্যা থেকে টিএসসিতে শিক্ষার্থীরা আসতে থাকে। রাত ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এর পরেই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমায়েত হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে পুরো টিএসসি এলাকা শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। বারোটা বাজতেই আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। গান গেয়ে, সেলফি তুলে মাতোয়ার পুরো টিএসসি এলাকা। ওড়ানো হয় ফানুস। বহিরাগত কেউ যেন টিএসসিতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য পরিচয়পত্র দেখে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
×