ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

না’গঞ্জে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী খুন ॥ ঘাতক প্রেমিক আটক

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১ জানুয়ারি ২০১৮

না’গঞ্জে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী খুন ॥ ঘাতক প্রেমিক আটক

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে প্রেমিকের হাতে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া আক্তার (৩৫) খুন হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিক ইকবাল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নিহত তানিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত পৌঁনে দুইটায় উপজেলার চৌধুরীবাড়ি কলাবাগ এলাকায়। জানা গেছে, ২০০৫ সালে পুরান বন্দর এলাকার তাজুল ইসলামের কন্যা তানিয়া আক্তারের সঙ্গে কলাবাগ এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী নূর হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের দুই কন্যা সন্তানও রয়েছে। দেড় বছর আগে নূর হোসেনের বাড়ির নির্মাণ কাজের সময় তার স্ত্রী তানিয়ার সঙ্গে টাইলস মিস্ত্রী ইকবাল মিয়ার মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ইকবাল মিয়ার স্ত্রী জর্ডান প্রবাসী। দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে সে একই এলাকায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। পরকীয়া সম্পর্কের সূত্র ধরে ইকবাল মিয়া তানিয়াকে ব্লাকমেইলিং করে কয়েক দফা টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি বাড়ির অন্য সদস্যরাও জানতে পারে। শনিবার রাতে ইকবাল মিয়া তানিয়ার মোবাইল ফোনে কল করে টাকা চায়। কিন্তু তানিয়া টাকা দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাত দুইটার দিকে তানিয়ার বাড়িতে ঢুকে। এক পর্যায়ে তানিয়াকে শারীরিক নির্যাতন করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় তানিয়ার চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেলে তানিয়ার মেয়ে নুসরাত দেখতে পায় ইকবাল পালিয়ে যাচ্ছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই রাতেই পুলিশ ঘাতক ইকবাল মিয়াকে আটক করে এবং তানিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। নিহত তানিয়ার মেয়ে নুসরাত জানান, রাতে হঠাৎ একটি শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখি মা ফ্লোরে পড়ে আছে। অনেক ডাকাডাকির পরও মার সাড়া শব্দ না পেয়ে মাথায় পানি ঢালার জন্য পানি আনতে গেলে দেখি ছাদ দিয়ে ইকবাল মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। নিহত তানিয়ার বাবা তাজুল ইসলাম জানান, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে টাকার জন্য হত্যা করা হয়েছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সাভারে ব্যবসায়ী নিজস্ব সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়ায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৫ জন। নিহত ব্যবসায়ীর নাম আবু তালেব (৩৫)। রবিবার দুপুরে আশুলিয়া থানাধীন গোরাট এলাকায় ‘ডেব নিয়ার’ নামক পোশাক কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ী আবু তালেবের স্ত্রী কামনা জানান, এদিন দুপুরে তার স্বামীর বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে নেয় স্বামীর চাচাতো ভাই ইয়াসুফ, মাসুদ, মোশারফ ও আবু বাক্কা। এ সময় তার স্বামী বাধা দিলে ওই চার জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে দ্রুত সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইলে ছেলের হাতে মা নিজস্ব সংবাদদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, কালিহাতীতে নেশাগ্রস্ত ছেলের হাতে মাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে উপজেলার সাতুটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম বিথি বেগম (৪০)। তিনি ওই গ্রামের মামুন মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনার পর ছেলে শিশিরকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, সকালে মামুন মিয়া তার স্ত্রী ও ছেলেকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় যায়। রাতে বাড়িতে ফিরে দেখে বিথি আক্তার রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতর মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি কুড়াল ও ছেলে শিশিরের লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়েছে। নেশার টাকা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার কারণে শিশির তার মাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে থাকতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। বাগেরহাটে হিজড়ার লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, মোরেলগঞ্জে সোনিয়া আক্তার (২৬) নামে তৃতীয় লিঙ্গের এক হিজড়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ভাড়াটিয় বাড়ি থেকে পুলিশ সোনিয়ার লাশ উদ্ধার করে। সোনিয়া বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের কালিয়া গ্রামের মৃত ফজলু শেখের সন্তান। মোরেলগঞ্জের হিজড়া সম্প্রদায়ের দলনেত্রী রুমা আক্তার দেবী বলেন, শনিবার রাত ১২টার দিকে খাবার খেয়ে সোনিয়াসহ তিনি একই ঘরে রাত যাপন করেন। রাত ৩টার দিকে জেগে উঠলে তিনি সোনিয়াকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত দেখতে পান।
×