অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে অক্টোবরে ৫০০ কোটি টাকার সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর পরিকল্পনা করেছিল রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক পর্ষদ সভায় বন্ডের সাইজ বাড়িয়ে ৬০০ কোটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির পর্ষদ। বন্ড ইস্যুর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন হবে তাদের।
সভা শেষে রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেলে তারা সাত বছর মেয়াদী বন্ড ইস্যু করে ৫০০ কোটির পরিবর্তে ৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে রূপালী ব্যাংক। এ সময় ইপিএস (ঋণাত্মক) হয় ৪ টাকা ৩৯ পয়সা, আগের বছর যেখানে ধনাত্মক ইপিএস ছিল ৮৬ পয়সা (বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর)। সে বছর শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় রূপালী ব্যাংক।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে রূপালী ব্যাংকের কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছর ২৪২ কোটি টাকা লোকসান ছিল ব্যাংকটির। জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা। যেখানে আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৭ টাকা ৯৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৯৬ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রূপালী ব্যাংকের শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৬৫ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে সর্বোচ্চ দর ছিল ৭৪ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ২৪ টাকা ৫০ পয়সা।
১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে আসা রূপালী ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৭০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩০৩ কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ৫৯৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ৩৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৩। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২ দশমিক ৯৪ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার।