ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

মুক্তির জয় বলো ভাই শতকণ্ঠে রণাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের গান

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১ জানুয়ারি ২০১৮

মুক্তির জয় বলো ভাই শতকণ্ঠে রণাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের গান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালীর মুক্তিসাধনা অবিভাজ্য। প্রগতিশীল ও গণমুখী আন্দোলনে, অন্যায় অনাচারের প্রতিবাদে, মুক্তিসংগ্রামে সর্বত্রই রবীন্দ্রনাথের গান মানুষের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ও অনুপ্রেরণার উৎস। তার এই স্বদেশ বন্দনামূলক ও গণমুখী গান নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে রবিবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় ‘শতকণ্ঠে রণাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্র একাডেমি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল জাতীয় জাদুঘর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিজয়ের মাসে আমরা রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করছি তার গান দিয়ে। এ মাস গৌরবের। দেশটি প্রতিষ্ঠায় যারা প্রাণ দিয়েছিলেন, সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন তাদের শ্রদ্ধা জানাই। রবীন্দ্রনাথ আমাদের দেশকে সেলিব্রেট করেছেন। সেই দিক দিয়ে বিজয়ের মাসে তাকে গানে-কবিতায় স্মরণ করা উপযোগী। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন সংগঠনের একজন শিল্পী। এরপর শুরু হয় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি কবি আজিজুর রহমান আজিজ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার কবি শিহাব শাহরিয়ার ও রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথের গান, গণআন্দোলনে, রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে আমাদের সাহস যুগিয়েছে। সব মানুষকে নিয়ে আমরা এই ফুলের বাগানরূপী দেশটাকে সাজাতে চাই। যেখানে আমাদের বঙ্গবন্ধু আছেন, রবীন্দ্রনাথ আছেন। কামাল লোহানী বলেন, কবিগুরু শিখিয়েছিলেন-বাধা দিলে বাঁধবে লড়াই। তাই পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের হাতিয়ার ছিল রবীন্দ্রনাথের গান। তার গান, নাটক লড়াইয়ে সব সময়ই আমাদের সাহস যুগিয়েছে। শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর শুরু হয় মূল পর্ব রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা। শুরুতেই ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘একবার তোরা মা বলিয়া ডাক, জগতজনের শ্রবণ জুড়াক’ লেখা থেকে পাঠ। পরে সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘দেশে দেশে ভ্রমি তব দুখ গান গাহিয়ে’ রবীন্দ্রসঙ্গীত। ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’ আবৃত্তি পরিবেশনের পর, ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা’ গানটি সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করা হয়। পরে গানে আবৃত্তিতে পরিবেশিত হয় ‘যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক’, ‘আমি ভয় করব না ভয় করব না’, ‘সন্ত্রাসের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান’, ‘আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে’, ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’, ‘নাই নাই ভয় হবে হবে জয়’, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’। ‘চলো যাই চলো যাই’ রবীন্দ্রসঙ্গীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠান গ্রন্থনা ও পরিচালনা করেন শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ।
×