ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

ত্রিশালের ৯ জনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রসিকিউশনে দাখিল

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১ জানুয়ারি ২০১৮

ত্রিশালের ৯ জনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রসিকিউশনে দাখিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আনিছুর রহমান মানিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন রবিবারই প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়া হয়েছে। রবিবার ধানম-ি অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান। এ সময় তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হক, মামলার (আইও) তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নান খান বলেন, ‘একাত্তরে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।’ মামলায় প্রধান আসামি আনিছুর রহমান ছাড়াও অন্যরা হলেন- মোখলেছুর রহমান মুকুল (৬৫), সাইদুর রহমান রতন (৫৬), সামসুল হক বাচ্চু (৭০), শামছুল হক ফকির (৭৫), নুরুল হক ফকির (৭০), সুলতান ফকির ওরফে সুলতান মাহমুদ (৫৮), এবিএম মুফাজ্জলহুসাইন (৭০) ও নকিব হোসেন আদিল সরকার (৬৫)।এর মধ্যে দু’জন আসামি আটক এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন। এর ৫ দিন আগে তদন্ত সংস্থা ২৬ ডিসেম্বর তদন্ত সংস্থা খুলনার ১১ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চুড়ান্ত করেছে। পরে প্রসিকিউশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুট ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার মতো ৬ অভিযোগ চুড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থা ঐ প্রতিবেদন প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। মামলায় আসামিরা হলেন শেখ আব্দুর রহিম (৬৮), সামছুর রহমান গাজী ওরফে মেজ ভাই (৮২), ওমর আলী ফকির (৭০), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), আক্কাস সরদার (৬৮), নাজের আলী ফকির (৬৫), শাহজাহান সরদার (৭৫), আব্দুল করিম শেখ ওরফে আবব্দুল মেম্বার (৬৫), আবু বক্কার সরদার (৬৭), রওশন গাজী ওরফে রওশন মল্লিক (৭২) এবং সোহরাব হোসেন সরদার ওরফে মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ (৬২)। অভিযুক্ত ১১ আসামির মধ্যে ৯ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। বাকি দুইজন আসামি শেখ আব্দুর রহিম ও ওমর আলী ফকির এখনো পলাতক।
×