ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহের জনসভায় ড. রাজ্জাক

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার এমপি ড. কামাল কোন মুখে সমালোচনা করেন

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১ জানুয়ারি ২০১৮

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার এমপি ড. কামাল কোন মুখে সমালোচনা করেন

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন জীবনে কখনও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারেননি। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রীও হয়েছিলেন’। সাবেক মন্ত্রী ড. রাজ্জাক আরও বলেন, ড. কামাল হোসেন নির্বাচন ছাড়াই গণফোরামের সভাপতি। তিনি কত বছর ধরে আছেন এবং আর কতকাল সভাপতি থাকবেন কেউ জানে না। ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনি কী করে বলেন এই সরকার অবৈধ। আপনি নিজেও তো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন’। ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি রবিবার বিকেলে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ময়মনসিংহ জেলা কমিটির বিজয় পতাকা মিছিল উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেছেন। ইউরোপ আমেরিকাতেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচনের নজীর রয়েছে উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক আরও বলেন, কেউ যদি নির্বাচনে না আসে তা হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগে ৩ বছর অন্তর সম্মেলন হয়, সম্মেলন থেকে দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়, কমিটি গঠন হয়। কিন্তু গণফোরামে কোনদিন সম্মেলন হয় না। সম্মেলন ও নির্বাচন ছাড়াই ড. কামাল হোসেন সভাপতি আছেন। কারণ ড. কামাল ভোটে দাঁড়াবার সাহস পান না। ড. রাজ্জাক আরও বলেন, তথাকথিত কিছু সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবী সারাদিন রাত ষড়যন্ত্র করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার। বিভিন্ন সাংবিধানিক শক্তির সাথে নীলকুঠি লালকুঠি ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল করতে চায়। সকল ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান ড. আব্দুর রাজ্জাক। ড. রাজ্জাক বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, আয়কর না দেয়ায় গত ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আপনি ৩৩ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন, আপনার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ৩২ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন, সিংগাপুরের আদালতের বিচারে আপনার পুত্রের দুর্র্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। আরেক পুত্রের দুর্নীতিও প্রমাণিত। কাজেই চোরের মায়ের বড় গলা শোভা পায় না। এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা অসীম কুমার উকিল, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকা, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, সাবেক এমপি কেএম খালিদ বাবু, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট কবীর উদ্দিন ভুইয়া, আব্দুল কদ্দুছ, অধ্যক্ষ একেএম আব্দুর রফিক, ময়মনসিংহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুর রব, সাদেক খান মিল্কী টজু, কাজীম উদ্দিন ধনু, মনিরা সুলতানা, কাজী আজাদ জাহান শামীমসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সভা শেষে জাতীয় পতাকা হাতে রেলওয়ে স্টেশনের কৃষ্ণচূড়া চত্বর থেকে বিজয় মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউনহল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। রবিবারের এই সভায় আওয়ামী লীগের একাংশ যোগ দেয়নি।
×