ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

থার্টিফার্স্ট নাইট

ভরে উঠেছে সৈকত রানী কক্সবাজার

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭

ভরে উঠেছে সৈকত রানী কক্সবাজার

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ আজ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০১৭ সাল। বর্ষের শেষ দিনটির আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। এই দিনটি বিশ্বের জন্য বিশেষ উপলক্ষ। বিশেষ সম্ভাষণে বললে হয় ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’। ক্ষণটি উদযাপনের জন্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে ব্যাপক উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। দেশের পর্যটন রাজধানীতে এই উৎসব উদযাপন করতে এরই মধ্যে ছুটে এসেছে বিপুল পর্যটক। আজ রাতের মধ্যে পর্যটকে কানায় কানায় ভরে উঠেছে সৌন্দর্যের সৈকত রানী কক্সবাজার। কাল ২০১৮সালের প্রথম সূর্যোদয় হবে। বর্ষ বিদায়ের এই দিনে পাঁচ লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে চলে এসেছে। আজকের মধ্যে আরও পর্যটক কক্সবাজারে পদার্পণ করবে। পর্যটক বরণে হোটেল-মোটেলসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে রেখেছে। ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষে সব বড় হোটেল নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে। একইভাবে আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে গোধূলিলগ্নে সমুদ্র সৈকতজুড়ে নামবে মানুষের কোলাহল। সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের কলাতলী থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে মানুষ আর মানুষ। আবালবৃদ্ধ-বনিতার ভিড়ে সৈকতে হাঁটাও দুষ্কর। বেড়াতে আসা পর্যটকদের মধ্যে কেউ কেউ সৈকতে হ৭াটছেন, কেউবা চেয়ারে বসে গল্পের ফাঁকে সাগরে মিষ্টি হাওয়া উপভোগ করছেন। আবার কেউ কেউ শীতের মাঝেও সাগরে গোসলে মত্ত। অনেকেই বীচ ও ওয়াটার বাইকে চড়ে উপভোগ করছেন ঢেউয়ের নাচন। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, শহরের আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও সরকারী রেস্ট হাউসে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার মানুষের রাত যাপনের সুবিধা রয়েছে। কিছুদিন ধরে বিপুল পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছে। থার্টিফার্স্ট নাইটকে ঘিরে পর্যটক বাড়ছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড় পুঁজি করে একশ্রেণীর হোটেল মালিক ও কক্ষ দালাল গলাকাটা ব্যবসা করছে। কিছু কিছু হোটেলে ভাড়ার নির্ধারিত তালিকা না থাকায় আসল ভাড়ার ৩-৪ গুণ হারে ভাড়া নিচ্ছে ওয়াকিং পর্যটকদের কাছ থেকে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন, পর্যটক হয়রানি বন্ধে হোটেল-মোটেল ও রেস্তরাঁয় মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশনা দেয়া আছে। পূর্বের সময়ের চেয়েও পর্যটক সেবার প্রতি বাড়তি নজর দিচ্ছে প্রশাসন। সর্বক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পর্যটন এলাকায় টহলে রয়েছে।কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম রায়হান কাজেমী জানান, পর্যটক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সতর্ক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যটন স্পটসমূহে নিয়মের চেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সৈকতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে পর্যটকদের রাতদিন ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা বিধান করছে পুলিশ।
×