ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সেঞ্চুরিতে বছর শেষ স্মিথের

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭

সেঞ্চুরিতে বছর শেষ স্মিথের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’- সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ঐতিহ্যের এ্যাশেজ ট্রফি পুনরুদ্ধার করেছেন স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক এবার বছরটাই শেষ করলেন সেঞ্চুরি দিয়ে। মেলবোর্নে ড্র হওয়া চতুর্থ টেস্টে ১০২ রান করে অপরাজিত স্মিথ। স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ও গ্রেট সুনীল গাভাস্কারের পর যা ক্যারিয়ারের তৃতীয় দ্রুততম ২৩তম সেঞ্চুরি। স্কোর : অস্ট্রেলিয়া ৩২৭/১০ ও ২৬৩/৪ ডিক্লেয়ার, ইংল্যান্ড ৪৯১/১০। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং, অর্থাৎ ‘ক্যারিং দ্য ব্যাট থ্রু দ্য ইনিংস’- এ রেকর্ড অপরাজিত ২৪৪ রান করে অবশ্য ম্যাচসেরা সফরকারী ওপেনার এ্যালিস্টার কুক। টানা তিন হারে আগেই এ্যাশেজ খোয়ানো ইংলিশদের জন্য এই ড্র জয়সম আনন্দের। সিডনিতে বৃহস্পতিবার শুরু পঞ্চম ও শেষ টেস্ট। ব্যক্তিগত ২৫ রান নিয়ে নামা স্মিথ এদিন আরও ৭৫ রান যোগ করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ২৭৫ বলে ৬ চারের সাহায্যে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন স্বাগতিক অধিনায়ক। এর মধ্য দিয়ে টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম সময়ে ২৩তম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন স্মিথ। ১১০ ইনিংসে এই মাইলফলক অর্জন করেছেন তিনি। ইতিহাসে এর চেয়ে দ্রুততর সময়ে ২৩টি সেঞ্চুরি করেছিলেন কেবল ডন ব্র্যাডম্যান (৫৯) ও সুনীল গাভাস্কার (১০৯)। এই সিরিজের ৭ ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৬২০ রান করেছেন তিনি, গড় ৮৮.৫৭! রিকি পন্টিংয়ের পর ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ছয়টি সেঞ্চুরি করলেন স্মিথ। ২০১৭ সালে ৫টি করে সেঞ্চুরি আছে দক্ষিণ আফ্রিকার ডিন এলগার ও ভারতের বিরাট কোহলির। ৭৬.৭৬ গড়ে এ বছর স্মিথের মোট রান ১৩০৫। ১১৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারতের চেতেশ্বর পুজারা। তার সেঞ্চুরি ৪টি। আর যে কোহলির সঙ্গে স্মিথের লড়াই সেই ভারত অধিনায়ক চলতি বছরে করেছেন চতুর্থ সর্বোচ্চ ১০৫৯ রান। শুরুটা ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। বছরের শেষ টেস্ট ম্যাচ। বক্সিং ডে’ টেস্টে ভারতের বিপক্ষে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্টিভেন স্মিথ খেললেন ১৯২ রানের ম্যারাথন ইনিংস। পরের বছরে একই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নটআউট ১৩৪ । ২০১৫ সালের বক্সিং ডে’ টেস্টে আবারও একই ঘটনা। পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মিথ করলেন ১৬৫ রান। সেটাও নট আউট। এবার প্রতিপক্ষ সবার চেয়ে বড়। এ্যাশেজ সিরিজ। একটুও বিচলিত হলেন না অসি-সেনাপতি। প্রথম ইনিংসে ৭৬ করে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অন আউট ১০২। শুধু সেঞ্চুরি নয়, স্মিথ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। চাপে থাকা অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ড্র করেছে। আর স্মিথ গড়েছেন অসাধারণ কীর্তি। বক্সিং ডে টেস্টে’ টানা চার বছর সেঞ্চুরির রেকর্ড আর কারো নেই। ২ উইকেটে ১০৩ রান নিয়ে শনিবার শেষ দিনে আরও ১০০ ওভার খেলে মাত্র ১৬০ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া! বোঝাই যাচ্ছে স্মিথের এই সেঞ্চুরি কতটা সময়োপযোগী এবং চ্যালেঞ্জিং। ৮৬ রান করে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ অপরাজিত ২৯।
×