ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কয়েকটি আশা জাগানিয়া প্রকল্প;###;যোগাযোগ খাত- ২০১৭

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন

রাজন ভট্টাচার্য ॥ বছরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দেশের যোগাযোগ খাত। বিশেষ করে পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল সবার। যোগাযোগ খাতের বৃহৎ এই প্রকল্পের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জের বিষয়টি নিয়ে বলতে গেলে গোটা বিশ্বের দৃষ্টি কাড়ে বাংলাদেশ। এছাড়াও যোগাযোগ খাতের বেশ কয়েকটি আশা জাগানিয়া প্রকল্প মানুষের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৭ সালজুড়ে দেশের যোগাযোগ খাতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ লক্ষ্য করা গেলেও কমবেশি সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়েই এগিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। লক্ষ্য অনুযায়ী নতুন বছরে অর্থাৎ নির্বাচনের আগে সেতুর কাজ শেষ হচ্ছে না। ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেই। সার্বিকভাবে বললে, যোগাযোগ খাতের প্রকল্পগুলো আশা জাগালেও নানা বাস্তবতায় অগ্রগতির চিত্র মন্থর। আশার যত প্রকল্প ॥ রাজধানীর যানজট নিরসনে আরেকটি স্বপ্নের প্রকল্প মেট্রোরেল। আশার এই প্রকল্পটির গতি একেবারেই মন্থর। যখন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার কথা ঠিক তখন উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতির কথা বলা যাচ্ছে না। তবে প্রকল্পটি হবে একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। প্রকল্পের মূল কাজের পাশাপাশি চলছে ডিপো নির্মাণ ও মাটির তলদেশের বিদ্যুত লাইন স্থাপন কাজ। চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। তবেএলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, উত্তরা থেকে সদরঘাট পর্যন্ত বিআরটিসহ কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে খুব একটা গতি নেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়কের সমান্তরালে ছয় লেনের একটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। এ জন্য সম্প্রতি প্রকল্পের নক্সা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সারাদেশের প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণই রয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে সড়ক-মহাসড়কের বেহাল অবস্থা মেরামতেও ব্যর্থ হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। রাজধানীর যানজট নিরসনের চ্যালেঞ্জে খুব একটা সফলতা নেই। দিন দিন যানজটের মাত্রা বাড়ছে। বিগত এক বছরে উল্লেখযোগ্য নতুন কোন প্রকল্প হাতে না নিতে পারলেও পুরনো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বেশি ব্যস্ত ছিল। তবে মেগা প্রকল্পগুলোতেই মনোযোগ ছিল বেশি মন্ত্রণালয়ের। ঢাকা-সিলেট ফোর লেন প্রকল্পের কাজ শুরুই হচ্ছে না। কাজ চলমান থাকলেও কবে শেষ হবে ঢাকা-টাঙ্গাইল ফোর লেন প্রকল্পের কাজ তা জানা নেই। ৫০ ভাগ কাজ হয়েছে পদ্মা সেতুর ॥ পুরোদমে চলছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ। সেতুর সর্বশেষ পিয়ার অর্থাৎ ৪২ নম্বর খুঁটি উপরে উঠতে শুরু করেছে। খুঁটির রড বাঁধা হয়েছে, ঢালাই ৭ জানুয়ারি। এদিকে মাওয়ার প্রান্তেও খুঁটি ওঠানোর কাজ চলছে হরদম। এ পর্যন্ত ৮১ পাইল সম্পূর্ণভাবে স্থাপন হয়েছে। ১৭ পাইল আংশিক হয়েছে। পৌষের ঘন কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকছে প্রতিদিনই। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত এগারো ঘণ্টা ফেরি বন্ধ ছিল। কিন্তু কুয়াশার মধ্যেও পদ্মা সেতুর কাজ থেমে নেই। পদ্মার মাটির বৈচিত্র্যতার কারণে নানা রকম চ্যালেঞ্জ আসছে, তাই অনেক কাজের সিডিউল কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু কর্মযজ্ঞ চলছেই। মাওয়ার ৩ নম্বর পিয়ারে পাইলের ওপর বেজ তৈরির কাজও এগিয়ে চলছে। সঙ্গে মাওয়ার ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটিতেও পাইলের কাজ শেষ। এখন খুঁটি উপরে চলমান রয়েছে। ২ নম্বর পিয়ারের কাজও চলছে। এদিকে পদ্মা সেতুর বাকি ৪ খুঁটির নতুন ডিজাইন অনুমোদন এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র। সব মিলিয়ে ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নতুন বছরে বাকি ৫০ ভাগ কাজ শেষ না হওয়ার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। মেট্রোরেল প্রকল্প ॥ রাজধানীবাসীর মেট্রোরেলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে চলছে কর্মযজ্ঞ। চলছে পরীক্ষামূলক পাইলিং। ডিপো ও স্টেশন নির্মাণের কাজও। সম্প্রতি উত্তরা, মিরপুর ও আগারগাঁও ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি। প্রকৌশলী, কর্মী ও শ্রমিকরা তা বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলায় এ প্রকল্পের ছয় জাপানী প্রকৌশলী নিহত হওয়ার পর যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, সবার প্রচেষ্টায় তা দূর হয়েছে। এজন্য কাজ পিছিয়েছে প্রায় এক বছর। এখন আবার প্রাণ ফিরেছে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজে। যদিও আশানরূপ অগ্রগতির চিত্র মাঠে নেই। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (মেট্রোরেল) সাবেক প্রকল্প পরিচালক এবং বর্তমানে রেল সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন জানান, প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি ২০১৯ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের। সেভাবেই কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু হলি আর্টিজানে হামলায় ছয় জাপানী প্রকৌশলী নিহত হওয়ায় কাজ মারাত্মক বাধাগ্রস্ত হয়। পরে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা এবং যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই বিদেশীদের প্রকল্পে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। মোফাজ্জেল বলেন, মিরপুর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ইউটিলিটি (বিদ্যুত, গ্যাস ও পানির লাইন) স্থানান্তরের কাজ শেষ। নবেম্বরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়। কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। কেননা এটি মূল সড়ক। তবে যাতে মানুষের কষ্ট কম হয়, এ জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। কাজ চলার সময় মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের মতো জনদুর্ভোগ হবে না। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল মাত্র ৩৭ মিনিটে যাওয়া যাবে। বর্তমান বাস্তবতায় ঢাকাবাসীর কাছে এটা অলীক স্বপ্ন। কিন্তু ধীরে ধীরে তা এগিয়ে যাচ্ছে বাস্তবায়নের দিকে। বিদ্যুতচালিত এ রেলে প্রতি ঘণ্টায় উভয়দিকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা থাকবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ॥ রাজধানীর বিমানবন্দর ও খিলক্ষেত এলাকায় দৃশ্যমান হয়েছে যোগাযোগের আরেকটি বড় প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। এ সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালে। তবে এর কাজ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এটি চালু হলে বিমানবন্দর থেকে মাত্র মিনিট বিশেকে যে কেউ পৌঁছে যেতে পারবেন চট্টগ্রাম মহাসড়ক পর্যন্ত। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক কাজী মোঃ ফেরদৌস আহমেদ জানান, বর্তমানে বিমানবন্দর সড়কের কাওলা এলাকায় পাইল ডাইভিংয়ের কাজ চলছে। এরপর পাইল বসানো শুরু হবে। এ প্রকল্পের কাজের ১০ শতাংশেরও বেশি অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রকল্প পরিচালক জানান, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী তারা কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। এ প্রকল্পে সরকারের গুরুত্ব থাকায় অর্থায়নে কোন সমস্য নেই। জমি অধিগ্রহণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্প অনুযায়ী, এ উড়াল সড়ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। বিআরটি ॥ বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। যানজট নিরসনের এই প্রকল্পটি শুরুতে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও হয়েছে। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ লেন নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড অংশ নির্মাণ করবে। এর জন্য চীনা একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৯৩৫ কোটি ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৭০২ টাকার চুক্তি সই সম্পন্ন করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি নির্মাণ হলে ঢাকার যানজট অনেকাংশেই কমবে। এর জন্য ইতোমধ্যে বিস্তারিত ডিজাইন এবং প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রম চূড়ান্ত হয়েছে। এটির নির্মাণকাল হবে ৩০ মাস; যেটি ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্বটি কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। সার্বিকভাবে বললে, এই প্রকল্পটির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি কম। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ॥ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়েছে। যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে ইকুরিয়া-বাবুবাজার সংযোগ সড়কসহ মাওয়া পর্যন্ত ও পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত হবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর সঙ্গে যোগ হবে। এটি চালু হওয়ার কথা ২০১৯ সালের এপ্রিলে। তবে এর চার মাস আগেই পদ্মা সেতু চালু করার লক্ষ্য রয়েছে। এই প্রকল্পটির আশানরূপ অগ্রগতি নেই। এছাড়া সেতু বিভাগ ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক) প্রকল্প সরকারী-বেসরকারী অংশীদারি বা পিপিপিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকার বিমানবন্দর সড়ক থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। এর মূল প্রকল্পে নির্মাণ ব্যয় হবে পাঁচ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণ শুরু হচ্ছে জাপানের ঋণদানকারী সংস্থা জাইকার অর্থায়নে। দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণকাজ গত বছর শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয়নি। যদিও প্রকল্পের নির্মাণ কাজের সময়সীমা ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সরকার। এছাড়াও দেশের চার লেনের সকল মহাসড়কে অল্প গতির যানবাহন চলাচলের জন্য পৃথক লেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও অগ্রগতি কম। মেয়াদ শেষ হলেও ঢাকা-টাঙ্গাইল ফোর লেন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি খুবই কম। এ নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা -সমালোচনা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রকল্পটির গতি মন্থর। প্রকল্পটি কবে নাগাদ শেষ হবে এর সঠিক ব্যাখ্যা কারও কাছে নেই। যদিও প্রায় প্রতিদিন এই মহাসড়কে যানজট আর ভোগান্তির খবর আসছে। ঢাকা-সিলেট ফোর লেন প্রকল্প ॥ কাজের প্রাক্কলন ব্যয় নিয়ে দরকষাকষিতে আটকে আছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ। জিটুজি ভিত্তিতে চীনের অর্থায়নে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য গত বছরের অক্টোবরে চুক্তি করে সরকার। কথা ছিল, ২০১৭ সালের শুরুতেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শীঘ্রই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। কারণ, সরকার চায় নতুন বছরে নির্বাচনের আগেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ দৃশ্যমান করতে। ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি তুলনামূলক বেশি। অন্য প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রতিটি সভায় তাগাদা দেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে সচেতন আছেন। ইতোমধ্যে কীভাবে এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে, সে জন্য একটি নির্দেশিকাও তৈরি করে দেয়া হয়েছে।
×