ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাগরিক তালিকা ॥ দাঙ্গার আশঙ্কায় অসমে সেনা মোতায়েন

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

নাগরিক তালিকা ॥ দাঙ্গার আশঙ্কায় অসমে সেনা মোতায়েন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ অসমে নাগরিকদের তালিকা প্রকাশের পর দাঙ্গা বাধার আশঙ্কায় রাজ্যটিতে প্রায় ৬০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছে ভারত সরকার। ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ চিহ্নিত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে রবিবার রাজ্য সরকার ওই তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ১৯৫১ সালের পর রাজ্যটিতে প্রথমবার নাগরিকদের তালিকা করা হলো, যা ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) নামে পরিচিত। এদিকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা এ ধরনের কোন খবর জানেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোন খবরই পাইনি।’ ধারণা করা হয়, আসামে বসবাসকারী ২০ লাখের বেশি মুসলমানের শেকড় বাংলাদেশে। খবর এএফপি ও বিবিসির। সূত্র জানায়, আসামে প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসা অনেক মানুষ, বিশেষ করে মুসলমানরা অবৈধভাবে বসবাস করছে বলে দাবি ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)। বাংলাদেশ লাগোয়া এই রাজ্যে গতবছর প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি। ক্ষমতায় আসার পরেই দলটি আসাম থেকে ‘অবৈধ মুসলমানদের’ বিতাড়নের প্রতিজ্ঞা করে। তাদের যুক্তি ‘অবৈধ মুসলমানরা’ হিন্দুদের চাকরি কেড়ে নিচ্ছে। আসামের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বাস শর্মা একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘আসামে বসবাস করা অবৈধ বাংলাদেশীদের শনাক্ত করতে এই তালিকা করা হয়েছে।’ ‘যাদের নাম এনআরসিতে নেই তাদের বিতাড়ন করা হবে।’ রাজ্য সরকারের এ উদ্যোগ আসামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় মুসলমান নেতাদের অভিযোগ, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের মতো তাদেরও দেশছাড়া করতে এনআরসি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এনআরসিতে জায়গা পেতে আসামের বাসিন্দাদের ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে তার পরিবার সেখানে বসবাস করত সংক্রান্ত প্রমাণপত্র জামা দিতে হয়েছে, যা অনেকের নেই। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক আসিফুল রহমান বলেন, ‘আমার দাদা-দাদি এবং আমার বাবা-মা সবাই ভারতে জন্ম নিয়েছে। কিন্তু আমাদের হাতে তার কোন তথ্য না থাকায় আজ ভারতীয় হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে লড়াই করতে হচ্ছে।
×