ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এবার বিদেশী ভেজাল ওষুধ জব্দ ॥ আটক ৩

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

এবার বিদেশী ভেজাল ওষুধ জব্দ ॥ আটক ৩

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এতদিন দেশে ভেজাল ওষুধ তৈরির সন্ধান পাওয়া গেলেও এবারই প্রথম বিদেশে তৈরি ভেজাল ওষুধের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের সিআইডি। ক্যান্সার প্রতিষেধকসহ জীবনরক্ষাকারী দামী ওষুধ চীনে তৈরি করে দেশের বাজারে ছড়িয়ে দেয়া চক্রের তিন সদস্যকে আটকের পর এ তথ্য জানিয়েছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম। সিআইডি জানিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন- রুহুল আমিন ওরফে দুলাল চৌধুরী, নিখিল রাজবংশী ও মোঃ সাঈদ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁতিবাজার এলাকায় গোডাউন থেকে ২১ হাজার পাতা ওষুধ জব্দ করা হয়। শুক্রবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম। আটকরা প্রায় সময়ই চীনে যাতায়াত করতেন। সেখানে গিয়ে চাহিদা অনুযায়ী ভেজাল ওষুধ তৈরির অর্ডার দিতেন। ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডসহ নিম্নমানের উপাদান দিয়ে নামী-দামী জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি করা হতো। এরপর ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী আমদানির আড়ালে কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় এসব ওষুধ কন্টেনারে করে আমদানি করত এ চক্র। মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদের কাছে এমটিএক্স, ক্লোমাইড ও রিভোকন নামের তিন ধরনের ভেজাল ওষুধ পেয়েছি। এসব ওষুধ প্রতি পাতা তৈরি এবং আমদানিতে ব্যয় হতো ১২ টাকা। যা দেশে প্রতি পাতা বাজার মূল্য দুই থেকে তিনশ’ টাকা। আর তারা এজেন্টদের কাছে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি করত। চক্রটি চায়না থেকে ভেজাল ওষুধ এনে একটি গোডাউনে রাখত। তারপর ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে দিত। জীবন রক্ষাকারী এসব দামী ওষুধে ভেজালের ফলে মানুষ চরমপর্যায়ে প্রতারিত হয়েছে। এ চক্রের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেছি, আমরা এটা শেষ করতে চাই। আটকদের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা মূলত জুয়াড়ি। বিভিন্ন ক্যাসিনোতে গিয়ে জুয়া খেলতে গিয়ে তাদের পরিচয়। এরপর পরস্পরের যোগসাজসে চীনে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আমদানির পরিকল্পনা করে। আমরা এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম পেয়েছি। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওষুধগুলো কোন কোন পয়েন্টে বিক্রি হয় এবং তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
×