ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আত্রাইয়ে এক গ্রামে দুই স্কুল ॥ শিক্ষার্থীরা বিপাকে

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

আত্রাইয়ে এক গ্রামে দুই স্কুল ॥ শিক্ষার্থীরা বিপাকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৯ ডিসেম্বর ॥ আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের গ্রাম দর্শনগ্রাম। যে গ্রামে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি বললেই চলে। বর্তমানে এই গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থের জন্য এক শ্রেণীর মানুষ একই স্থানে আরেকটি বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। জানা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দারা তাদের সন্তানের শিক্ষা গ্রহণের কথা চিন্তা করে গ্রামের উত্তরদিকে “দর্শনগ্রাম বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়” নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৯৭২ সালে স্থাপন করে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় বর্তমানে বিদ্যালয়টি অচল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। এই সুযোগে একই গ্রামের বাসিন্দা শেখ সাইফুল ইসলাম সকল তথ্য গোপন করে পূর্বের বিদ্যালয়টির নাম ও স্থান পরিবর্তন করে তার পিতার নামে “দর্শনগ্রাম কুদ্দুস শেখ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়” নামে আরেকটি বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। এতে গ্রামবাসীদের মাঝে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। দর্শনগ্রামের আব্দুল আলীম, ওমর ফারুক, কেএস রঞ্জ আহমেদসহ আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, সাইফুলের বিদ্যালয়টির কোন কার্যক্রম নেই। তবুও সে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ করছেন। সাইফুল এই বিদ্যালয়টিকে অসৎ উপায়ে অর্থ আয়ের ব্যবসা হিসাবে ব্যবহার করছেন। দর্শনগ্রাম বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুল আলিম জানান, আমি কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে এখনো পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। আমি আমার বিদ্যালয়ের সার্বিক সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিক লিখিত আবেদন করেছি। আশা রাখি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত আমার বিদ্যালয়ের দিকে সুদৃষ্টি প্রদান করবেন। কিন্তু রাতের-আঁধারে হঠাৎ করেই উদয় হওয়া আরেকটি বিদ্যালয় গ্রামবাসীর মাঝে চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। কর্তৃপক্ষকে অচিরেই সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে নতুন বিদ্যালয়টির নিয়ম বর্হিভূত অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা খুবই জরুরী। দর্শনগ্রাম কুদ্দুস শেখ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই বিদ্যালয় স্থাপন করেছি। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোখসানা আনিছা বলেন, সমাপনী পরীক্ষার ব্যস্ততায় ওইদিকে নজর দেয়া যায়নি।
×