ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী

আজ বিসিএস পরীক্ষা

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

আজ বিসিএস পরীক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রশ্ন ফাঁস রোধে সরকারী কর্মকমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির মধ্যে আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। পরীক্ষায় এবার বিসিএসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। দুই ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষা চলবে সকাল দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। পরীক্ষার পূর্ণমান ২০০ নম্বর। থাকবে ২০০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন, প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর। ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষা শেষ হলে পরীক্ষক হল ত্যাগের পর পরীক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, সিলেট এবং ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হলে এবার মোবাইল ফোন, কোন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, বই-পুস্তক, ক্যালকুলেটর, ব্যাগসহ প্রবেশ নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পরীক্ষার হলে হাতঘড়ি, পকেট ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ঘড়ি ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সময় জানানোর জন্য পরীক্ষা কক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দেয়াল ঘড়ির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়, তবে প্রার্থীদের সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা ২৫ মিনিটের মধ্যে হলে প্রবেশ করতে হবে। হলে প্রবেশের সময় শুধু প্রবেশপত্র, উত্তরপত্র ভরাটের জন্য কলম এবং পেন্সিল সঙ্গে রাখা যাবে। উত্তরপত্র দেয়া হবে সাড়ে ৯টায়। এদিকে সকল ক্ষেত্রেই প্রশ্ন ফাঁসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় এবার কঠোর সব পদক্ষেপের মধ্যে নেয়া হচ্ছে এ পরীক্ষা। কেবল মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিষিদ্ধ করাই নয়। পরীক্ষা নির্বিঘœ করতে নেয়া হয়েছে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ। পিএসসি চাইছে এই পরীক্ষায় যাতে কোনভাবেই প্রশ্ন ফাঁস না হয়। সে লক্ষ্যে তাদের নানা প্রস্তুতি চলছে। পরীক্ষার সার্বিক কার্যক্রম কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে বেশ কয়েক সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে গোয়েন্দা, পুলিশ ও র‌্যাবের তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কোথাও কোন অনিয়ম ধরা পড়লে ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হবে। এছাড়া দেশের প্রতিটি কেন্দ্রে পিএসসি নিজস্ব টাকায় দুটি করে মেটাল ডিটেক্টর সরবরাহ করছে। প্রতিটি পরীক্ষার হলে একটি করে ঘড়ি কিনে দেয়া হচ্ছে। পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, সব অনিয়ম এড়াতে আমরা সর্তক। বিসিএসে সর্বোচ্চ আবেদনকারী হওয়ায় প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রতিটি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছি কিভাবে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেয়া যায় এবং যেন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস না হয়। তিনি আরও বলেন, প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে আমরা কয়েক দফায় তিন স্তরের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সভা- সেমিনার করেছি। পরীক্ষার দিন নিরাপত্তায় পুলিশ-র‌্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। সুষ্ঠুভাবে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনে পিএসসির মেম্বারগণসহ সকল কর্মকর্তা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন কাজে নিয়োজিত থাকবেন। আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে এসব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান। বিসিএসের এবারের লিখিত পরীক্ষার প্রথম বারের মতো প্রতিটি খাতা দু’জন পরীক্ষক মূল্যায়ন করবেন। তাদের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানো হবে। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের মেধা যথাযথভাবে মূল্যায়িত হবে বলে মনে করছে পিএসসি।
×