ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডুমুরিয়ার ১১ জনের বিরুদ্ধে ৪ ফেব্রুয়ারি ফরমাল চার্জ দাখিলের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

ডুমুরিয়ার ১১ জনের বিরুদ্ধে ৪ ফেব্রুয়ারি ফরমাল চার্জ দাখিলের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে খুলনার ডুমুরিয়া থানার শেখ আব্দুর রহিমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ৪ ফেব্রুয়ারি ফরমাল চার্জ দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। সংশ্লিষ্ট মামলার প্রসিকিউটর শেখ মুশফিক কবির জনকণ্ঠকে বলেন, ফরমাল চার্জ দাখিলের জন্য তিন মাসের সময়ের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল দুই মাসের সময় দিয়ে উক্ত দিন নির্ধারণ করেন। উল্লেখ্য ২৬ ডিসেম্বর তদন্ত সংস্থা খুলনার ১১ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। পরে প্রসিকিউশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুট ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার মতো ৬ অভিযোগ চূড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থ্ ১৬ ডিসেম্বরই ওই প্রতিবেদন প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান জানান, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা, আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটতরাজ ও আগুন ধরিয়ে দেয়াসহ ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২২ জনকে হত্যা ও ৫৬ থেকে ৬৭টি বাড়ি লুটপাট করার পর আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। মামলায় শেখ আব্দুর রহিম (৬৮), ছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলেন, সামছুর রহমান গাজী ওরফে মোঝো ভাই (৮২), মোঃ ওমর আলী ফকির (৭০), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), মোঃ আক্কাস সরদার (৬৮), নাজের আলী ফকির (৬৫), মোঃ শাহজাহান সরদার (৭৫), আব্দুল করিম শেখ ওরফে আবব্দুল মেম্বার (৬৫), আবু বক্কার সরদার (৬৭), মোঃ রওশন গাজী ওরফে রওশন মল্লিক (৭২) এবং মোঃ সোহরাব হোসেন সরদার ওরফে মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ (৬২)। অভিযুক্ত ১১ আসামির মধ্যে ৯ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। বাকি দুই জন আসামি শেখ আব্দুর রহিম ও মোঃ ওমর আলী ফকির এখনও পলাতক। গ্রেফতারকৃত আসামিরা ১৯৭১ সালের ১৮ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া গ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আব্দুল লতিফ মোড়ল ও কাওসার শেখসহ ৯ জনকে ধরে বকুলতলা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়। সেখান থেকে জীবন নিয়ে একজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। ওই ঘটনায় খর্নিয়া গ্রামের লিয়াকত আলী গাজী বাদী হয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
×