ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উ. কোরিয়াকে তেল সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার বেজিংয়ের

হাতেনাতে ধরা পড়েছে চীন ॥ টুইটারে ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

হাতেনাতে ধরা পড়েছে চীন ॥ টুইটারে ট্রাম্প

চীন কিছুদিন যাবত উত্তর কোরিয়াকে জাহাজে তেল সরবরাহ করছে এ ধরনের খবর প্রকাশের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, চীনের এ ধরনের কর্মকান্ডে কোরীয় সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রচেষ্টা বিঘ্নিত করবে। এএফপি ও বিবিসি। ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেন, এ কাজ করতে গিয়ে চীন হাতেনাতে ধরা পড়ে গেছে এবং এটি খুব হতাশাজনক যে, (জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও) দেশটি উত্তর কোরিয়াতে তেল রফতানি অনুমোদন করে। এটি অব্যাহত থাকলে কোরীয় সঙ্কটের কোন শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে না। ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াতে কোন ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের কথা সরাসরি উচ্চারণ না করলেও বেশ কিছুদিন যাবত ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে দেশটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। তবে এটি পরিষ্কার নয় যে, কোন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেন তা কি মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য থেকে প্রাপ্ত না অন্য কোন উৎস। তবে এ সপ্তাহের শুরুতে চোসান ইলবো নামে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদপত্রে বলা হয়েছে যে, মার্কিন স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে চীনা জাহাজগুলে উত্তর কোরিয়ার জাহাজগুলোর কাছে তেল বিক্রি করছে। বিক্রয়লব্ধ এসব তেল নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের জাহাজগুলোর স্বদেশে ফিরে যাওয়ার চিত্র গত অক্টোবর থেকে ধারণ করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে পেট্রোল ও কয়লা বিনিময়ের ঘটনা প্রায় ৩০ বার সম্পন্ন হয়েছে। পরে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, কিছু কিছু জাহাজ জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অশুভ তৎপরতায় লিপ্ত বলে যুুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্য আছে। এসব জাহাজ বন্দর থেকে সরে গিয়ে মধ্য সাগরে জাহাজ থেকে জাহাজের পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম সরবরাহ করে এবং উত্তর কোরিয়ার কয়লা নিয়ে স্বদেশে ফিরে আসে। আমরা এ ধরনের কর্মকা-ের নিন্দা জানাই এবং আশা করি যে, চীনসহ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য দেশ চোরাচালানের মতো এসব অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। ২৮ নবেম্বর পিয়ংইয়ং-এর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে চীনের সমর্থনে উত্তর কোরিয়ায় পরিশোধিত জ্বালানি সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরিশোধিত জ্বালানি ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচীর জন্য অপরিহার্য বলে পিয়ংইয়ংকে নিয়ন্ত্রণে আনার কৌশল হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি। কিন্তু চীন অন্যান্য পরাশক্তির সঙ্গে বসে নিষেধাজ্ঞায় সায় দিলেও সবার অলক্ষ্যে তার ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য সহযোগী উত্তর কোরিয়াকে গোপনে গোপনে নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এটি ছিল এতদিনকার একটি অনুমাননির্ভর কথা। এবার মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যচিত্র প্রকাশ হয়ে পড়লে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, চীন এবার হাতেনাতে ধরা পড়েছে। এর আগে, উত্তর কোরিয়াকে তার বিতর্কিত পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত করার কাজে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার জন্য ট্রাম্প চীনের ভূমিকার প্রশংসা ও তার বর্তমান নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান। কিন্তু সর্বশেষ এই স্যাটেলাইট তথ্যচিত্র প্রকাশ পাওয়ায় পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। কিন্তু চীন বারবার এ বিষয়টি অস্বীকার করে বলে আসছে যে, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের কোন তৎপরতায় তারা জড়িত নয়।
×