ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

ফিরে দেখা

হতবাক বাসযাত্রী শরীফুল ইসলাম ॥ ২৭ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটা। গাজীপুর থেকে সদরঘাটগামী স্কাই লাইন সার্ভিসের একটি বাস বনানী-কাকলী অতিক্রম করছিল। এ সময় এক সুন্দরী হিজড়া মেয়ে বাসের ভেতর যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করছিল। এক পর্যায়ে ঘুমন্ত এক যাত্রীর গা ছুয়ে হিজড়া মেয়েটি টাকা চাচ্ছিল। বেশ কিছুক্ষণ পর ওই যাত্রীর ঘুম ভাঙলে তিনি দেখতে পান এক সুন্দরী মেয়ে তার গায়ে হাত রেখে কোমল সুরে কথা বলছেন। এ অবস্থা দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। একজন হিজড়া মেয়ে যে তার কাছ থেকে গা ছুয়ে টাকা চাচ্ছেন প্রথমে তিনি তা বুঝতে পারেননি। তবে কিছুক্ষণ পর তা বুঝতে পেরে পকেট থেকে ১০ টাকা বের করে দিয়ে হিজড়া মেয়েকে বিদায় করেন। আর ওই বাস যাত্রীর এ অবস্থা দেখে অন্য যাত্রীরা হাসতে থাকেন। কূটনীতিকরা এড়িয়ে চলেন তৌহিদুর রহমান ॥ রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ ১৯ ডিসেম্বর মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় একটি বৈঠকও করেন। তবে মিয়ানমারের কূটনীতিকদের সঙ্গে গণমাধ্যমের কর্মীরা কথা বলতে চাইলে তারা এড়িয়ে যান। এর আগেও একাধিক বৈঠকের পর মিয়ানমারের কূটনীতিকদের সঙ্গে গণমাধ্যমের কর্মীরা কথা বলতে চাইলেও তারা কোন কথা বলতে রাজি হননি। রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর থেকেই মিয়ানমারের কূটনীতিকরা সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। একই চেহারার দুই মানুষ! রুমেল খান ॥ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। হঠাৎ অপরিচিত কেউ আপনাকে দেখে বলে উঠল, আরে আপনি অমুক না? অথবা কখনও খেয়াল করলেন অপরিচিত কেউ একজন আন্তরিক হাসি উপহার দিল যেন আপনি তাকে চেনেন। এমন পরিস্থিতিতে হয়ত আপনি অনেকবারই পড়েছেন । আপনার সঙ্গে থাকা মানুষটি যার সঙ্গে আপনার মাত্র পরিচয় হলো, তিনি বলছেন আপনাকে অনেক চেনা চেনা লাগছে। কিন্তু আপনার কোন যমজ বোন বা ভাই নেই। রাস্তাঘাটে একই চেহারার অন্য মানুষ দেখে আমরা বিভ্রান্ত হই। অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়ি। এমন ঝকমারিতে পড়া স্বাভাবিক। একই চেহারার মানুষের তো অভাব নেই। শুনেছি পৃথিবীতে নাকি একই চেহারার সাত জন থাকে। পৃথিবী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেকদূর এগিয়ে গেছে বটে। কিন্তু এখনও ঘটে এমন কিছু ঘটনা যা কোন গবেষণা, কোন উদ্ভাবন দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায় না। এমনই একটি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলাম কিছুদিন আগে। ঈদের পরদিন, ২ সেপ্টেম্বর। ছোটমামার বুকে ব্যথা। আঞ্জুমান মফিদুলের এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে (বিনামূল্যে যেতে চায় না!) জরুরী ভিত্তিতে তাকে নিয়ে এলাম শাহবাগের ইব্র্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারের ইমার্জেন্সি বিভাগে। ওয়েটিং রুমে বসে অপেক্ষা করছি। সঙ্গে দুলাভাই এনামুল হাসান আরিফ এবং মেজ মামা আনিসুজ্জামান বাবুল। সেখানে একজনকে হঠাৎই দেখে বিস্ময়ে হতবাক হলাম। ঠিক যেন আমার কলেজ-জীবনের বন্ধু এনায়েত করিম সুমনের (এখন চিকিৎসক) ছোটভাই মাহমুদ করিম সুজনের (একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে এ্যাসিসটেন্ট প্রোডাক্ট ম্যানেজার) মতো চেহারা! মানুষের মধ্যে এত মিল হয়! সুজনের লুক এলাইক। কাছে গিয়ে সুজন নামে ডাকলাম। জবাব এল, ‘ভাই, আমি সুজন না!’ পরে তিনি নিজের পরিচয় দিলে ভুল বুঝতে পারি। এগিয়ে গিয়ে কথা বললাম। ওনার নাম ইউনুস। বারডেমের স্টাফ। মোবাইলে তার ছবি তুলে নিলাম। পরে সেদিন রাতেই আসল সুজনের কথা বললাম, তাকে ইউনুসের ছবিটা দেখালাম। সেও হতভম্ব। মজাও পেয়েছে। পরে দুজনের ছবি পাশাপাশি রেখে ফেসবুকে পোস্ট দিলাম। প্রচুর লাইক-কমেন্ট পেলাম।
×