ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গতি হারাচ্ছে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭

গতি হারাচ্ছে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের মতো উৎসাহ না থাকায় গতি হারাচ্ছে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, স্কুল ব্যাংকিং হিসাব সংখ্যা একটা পর্যায়ে চলে এসেছে। তাই সময়ের সাথে সাথে এ খাতে প্রবৃদ্ধি কমে এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, লাভজনক না হলেও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে চাওয়া উচিত। আর সাবেক গবর্নর ড. ফরাসউদ্দিন মনে করেন, ব্যাংকগুলোর জন্য একটি বাড়তি বোঝা স্কুল ব্যাংকিং সেবা। বিকল্প সংস্থা গড়ে এই কার্যক্রম চালানো উচিত। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের অন্যতম অনুষঙ্গ স্কুল ব্যাংকিং। ২০১০ সালে শিশু-কিশোরদের মধ্যে সঞ্চয়ের মানসিকতা গড়ে তুলতে এই কার্যক্রম চালু করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ব্যাংকগুলোকে এই কর্মসূচীতে উদ্বুদ্ধ করতে এই বিষয়ক কর্মসূচীতে সরাসরি অংশ নেন তৎকালীন গবর্নর ড. আতিউর রহমান। ফলশ্রুতিতে আশাতীতভাবে বাড়তে থাকে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব এবং শিশু-কিশোরদের সঞ্চয়ও। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে লেগেছে ভাটার টান। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে স্কুল ব্যাংকিংয়ের হিসাবের প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে। স্কুল ব্যাংকিংকে কোনোভাবে লোকসানি কার্যক্রম বলে মনে করেন না সাবেক এই ব্যাংকার। তিনি মনে করেন, সব ক্ষেত্রে মুনাফা হবে- এমনটা আশা করা ঠিক নয়। অবশ্য স্কুল ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম বন্ধের পক্ষেই মত দিলেন সাবেক এই গবর্নর। তার মতে, এ ধরনের কার্যক্রমের ফলে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তিনি মনে করেন, ব্যাংক ব্যবস্থা রক্ষণশীল হওয়াই অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর।
×