ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করতে যাওয়া ছেলে খেলা ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করতে যাওয়া ছেলে খেলা ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা আট বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকেও ব্যাংক খাতের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারার স্বীকারোক্তি এসেছে আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছ থেকে। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ‘দুর্নীতি-লুটপাটের প্রতিবাদে’ বাম দলগুলোর কর্মসূচীর প্রেক্ষাপটে বুধবার সচিবালয়ে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন মুহিত। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঠিকভাবে কাজ করছে কি না- এই প্রশ্নে মুহিত বলেন, ‘ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা আছে, দ্যাটস অল।’ তবে ব্যাংক খাতের দুর্বলতা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের কর্মসূচীকে ‘ননসেন্স’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। সোনালী ও বেসিক ব্যাংকের মতো অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এর আগে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন অর্থমন্ত্রী। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর একের পর এক ঋণ কেলেঙ্কারীর ঘটনা প্রকাশের প্রেক্ষাপটে তা নিয়ে সরকার চিন্তিত বলেও জানান তিনি। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও বেসিক ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারী কয়েকটি ব্যাংকও অনিয়মের কারণে ধুকছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচার বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচীকে ছেলে খেলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বুধবার প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয় বামধারার এইসব রাজনৈতিক সংগঠন ও জোটের বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অনিয়ম থাকতে পারে। এইসবের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। তাই বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যালয় ঘেরাও করতে যাওয়াটা বোকামি। এটা ননসেন্সের মতো কাজ। মন্ত্রী বলেন, সিপিবি-বাসদের মতো কয়েকটি রাজনৈতিক দলে দুই চারজন নেতা আছেন, তারাই এই অযৌক্তিক কাজ করেন। আর কেউ তাদের সঙ্গে থাকেন না। দুই চারজন মানুষ নিয়ে এভাবে অযৌক্তিক কর্মকা- করা ছেলে খেলার মতোই। অর্থমন্ত্রী বলেন, লাল পতাকা হাতে তারা বেঁচে থাকার জন্যই এমন কাজ করেন।
×