ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মেলবোর্নে বক্সিং ডে’ টেস্টের দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ডের, টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিসংখ্যায় এ্যালিস্টার ;###;কুক (৩২টি) এখন স্টিভ ওয়াহর সঙ্গে যুগ্মভাবে সপ্তম স্থানে। মাহেলা জয়াবর্ধনকে টপকে অষ্টম ;###;সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক (১৫১তম টেস

কুকের সেঞ্চুরির আগে ব্রডের বোলিং ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭

কুকের সেঞ্চুরির আগে ব্রডের বোলিং ঝলক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যালিস্টার কুকের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি, স্টুয়ার্ট ব্রডের জ্বলে ওঠা, বাকি পেসারদের দুর্দান্ত লাইন-লেন্থ; অস্ট্রেলিয়ায় এ্যাশেজ ট্রফি খোয়ানোর পর অবশেষে একটা দিন নিজেদের মতো করে পেল ইংলিশরা। ৩ উইকেটে ২৪৪ রান নিয়ে শুরু করা স্বাগতিকদের ৩২৭এ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এ্যান্ডারসন-ব্রড-ওকসরা। পরে ২ উইকেটে ১৯২ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষে করেছে ইংল্যান্ড। কুক ১০৪ ও অধিনায়ক জো রুট ৪৯ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। টানা তিন হারে এ্যাশেজ খোয়ানোর পর তোপের মুখে পড়ে রুট ও তার দল। মেলবোর্নেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন সতীর্থরা। মাত্র দুই দিনের খেলা শেষ হয়েছে, ফল কী হবে, সময়েই তার উত্তর মিলবে। তবে চরম হতাশার সফরে অবশেষে একটা ভাল দিন পার করল অতিথিরা। দিনের শেষ ওভারে স্মিথকে চার মেরে ৩২ নম্বর সেঞ্চুরি করেছেন কুক। গত ১০ ইনিংসে ফিফটি ছিল না তার, ১২ বছরের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে দীর্ঘখরা। আদতে মেলবোর্ন টেস্ট ইংলিশদের জন্য ‘ডেড রাবার’, তবে কুকের প্রমাণের ছিল অনেক কিছুই। ইনিংসের একেবারে শুরুতে একটু নড়বড়ে ভাবটা কাটিয়ে নিয়েছেন খানিক বাদেই। সোজা ব্যাটে খেলা শুরু করেছেন, কন্ডিশন বুঝে ঢুকে গেছেন নিজের ইনিংসে। মনে করিয়েছেন সেই কুককে, বছর সাতেক আগে এই অস্ট্রেলিয়াতেই যিনি কাটিয়েছিলেন তার ক্যারিয়ারের সোনালি এক গ্রীষ্ম । দিনশেষে অপরাজিত ১০৪ রানে। ১৬৬ বলের ইনিংসটি ১৫টি চার দিয়ে সাজানো। টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিসংখ্যায় কুক এখন স্টিভ ওয়াহর সঙ্গে যুগ্মভাবে সপ্তম স্থানে। বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ওই শটটি দিয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রানসংখ্যায় মাহেলা জয়াবর্ধনেকেও টপকে গেছেন। ১৫১তম টেস্টে কুকের রানস ১১,৮১৬ (অষ্টম)। কুকের সেঞ্চুরির দিনে একটু আড়ালেই পড়ে গেছেন সফরে তৃতীয় ফিফটির পথে থাকা রুট। তার ১০৫ বলের ইনিংসে চার ছয়টি। এর আগে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৩ উইকেটে ২৪৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ৪ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ধসিয়ে দেন ব্রড। ৩ উইকেট নিয়ে এ্যান্ডারসনও রাখেন বড় ভূমিকা। তবে সবচেয়ে বড় আঘাতটা হানেন টম কুরান। আগের দিন ‘নো’ বলের জন্য ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট না পাওয়া এই অভিষিক্ত পেসার পান স্মিথের দামী উইকেট। অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। কুরানের প্রথম টেস্ট উইকেটেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ধসের সূচনা। স্মিথের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি গড়া শন মার্শকে বিদায় করেন ব্রড। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যান কেবল টিম পেইন। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে দেন এ্যান্ডারসন। ৫১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার ব্রড। এ্যান্ডারসন ৩ উইকেট নেন ৬১ রানে। স্কোর ॥ অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস : ১১৯ ওভারে ৩২৭ (ব্যানক্রফট ২৬, ওয়ার্নার ১০৩, খাজা ১৭, স্মিথ ৭৬, শন মার্শ ৬১, মিচেল মার্শ ৯, পেইন ২৪, কামিন্স ৪, বার্ড ৪, হ্যাজলউড ১*, লেয়ন ০; অ্যান্ডারসন ৩/৬১, ব্রড ৪/৫১, ওকস ২/৭২, মঈন ০/৫৭, কুরান ১/৬৫, মালান ০/২০) ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৫৭ ওভারে ১৯২/২ (কুক ১০৪*, স্টোনম্যান ১৫, ভিন্স ১৭, রুট ৪৯*; হ্যাজলউড ১/৩৯, বার্ড ০/৩৮, লেয়ন ১/৪৪, কামিন্স ০/৩৯, মিচেল মার্শ ০/১৭, স্মিথ ০/১১) ** দ্বিতীয় দিন শেষে
×