ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাহিদুর রহমান

সচেতনতাও জরুরী

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭

সচেতনতাও জরুরী

মহানগরী ঢাকা সহ শহর কেন্দ্রিক বিভিন্ন উপশহরগুলোতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের সমস্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। নানা সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো ছিনতাই। এই ছিনতাই মহামারী রূপে আমাদের প্রগতিশীল সমাজের অগ্রগতির পথকে বাধাগ্রস্ত করছে। আগে সংবাদপত্র খুললেই ছিনতাই, রাহাজানির অহরহ খবর পেতাম। যা আর আগের মতো লক্ষ্য করা যায় না। তার মানে কি..? ছিনতাই কমে গেছে এমনটি পুলিশ বলে কিন্তু বলব অবশ্যই কমেনি; তাহলে ধরেই নেয়া যায় সব খবর পত্রিকার পাতায় আসে না। সামান্য একটা মোবাইল বা কিছু টাকাসহ মালামাল ছিনতাই হলে পুলিশের কাছে গেলে কেস নিতে গড়িমসি করে। যা পুলিশের কাছে তেমন গুরত্ব পায় না। অনেক সময় ছিনতাইকারীর আঘাতে মৃত্যুবরণ করতে হয় সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন রিপোর্ট বা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা শহরের বেশকিছু জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বিপজ্জনক স্পট হিসাবে। যেখানে প্রায়শ ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে। আমার বিশ্বাস, চিহ্নিত করা মাত্রই তাদের কাজ শেষ হয়ে যায়। আর কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। কথাটি এই কারণেই বললাম, যদি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতো তবে অন্তত ঢাকা শহরে মধ্যকার ছিনতাইয়ের দৌরাত্ম্য কমে আসত। এই জিম্মিদশা হতে বের হওয়ার জন্য যে শুধু সচেতনতা বাড়ালেই হবে তা নয়; আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন। মেট্রো পুলিশের টহল বাড়াতে হবে; বিপজ্জনক স্পটগুলোতে ও আশপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। শুধু স্থাপনই নয়, তা তদারকির আওতায় আনতে হবে। বিপজ্জনক স্থানগুলো চিহ্নিতকরণ করার পর সাদা পোশাকধারী পুলিশের মাধ্যমে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সাধারণ মানুষকে সচেতনতা বাড়াতে পারি, বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রচারের মাধ্যমে। যেমন জ্যামে থাকা অবস্থায় যানবাহনের জানালা দিয়ে ছিনতাইকারী থাবা দেয়, আমরা যদি আমাদের প্রচারমাধ্যমে এই বিষয়গুলোর সংশ্লিষ্ট তথ্য উপস্থাপন করি তবে হয়ত মানুষ সচেতন হবে। আর সচেতনতাই পারে বড় বড় সমস্যাগুলোর সমাধান করতে। কাপাসিয়া, গাজীপুর থেকে
×