ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুধীর বরণ মাঝি;###;শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া শিক্ষক, হাইমচর কলেজ, হাইমচর-চাঁদপুর।;###;মোবাইল : ০১৭৯৪৭৭৭৫৩৫

শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য,বিজ্ঞান ও খেলাধুলা

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য,বিজ্ঞান ও খেলাধুলা

তৃতীয় অধ্যায় ৩। মনির দশম শ্রেণির ছাত্র। শ্রেণির সকলকে সে মাতিয়ে রাখে। সে নিয়মিত ছাত্র এবং পড়ালেখায়ও ভালো। শিক্ষকরাও তাকে খুব পছন্দ করে।বাড়িতে তার খেলাধুলা ও বিনোদনের কোন সুযোগ নেই। মা বাবা দুজনেই তাকে সব সময়ের জন্য পড়ার টেবিলে বসিয়ে রাখেন। হঠাৎ একদিন টিফিনের সময় সহপাঠিরা তাকে মাঠে দেখতে না পেয়ে অনেক খোজাখুজি করে এবং তাকে দেখতে পায় বেঞ্চের এক কোনায় চুপ করে বসে আছে। ক) ইন্দ্রিয় কী? খ) মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার কৌশল - ব্যাখ্যা কর। গ) দৈহিক ও মানসিক অবসাদের কারণ উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ঘ) মনিরের এ অবস্থা থেকে উত্তরনের উপায় বিশ্লেষণ কর। ক) উত্তরঃ ইন্দ্রিয় হচ্ছে সংবেদন গ্রাহক যন্ত্র।এর দ্বারা আমরা পরিবেশের বিভিন্ন উদ্দীপনাকে গ্রহণ করি।এর সাহোয্যে স্নায়ুর উদ্দীপনা ¯স্নায়ুবিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। খ) উত্তরঃ স্বাস্থ্য দুই প্রকার । যথা-শারীরিক স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য। যে ব্যক্তি নিজের চাহিদা ও পরিবেশের মধ্যে সাফল্যের সাথে সঙ্গতি বিধান করতে পারে সেই মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ। মানসিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না হলে মানসিক অসুস্থতার সৃষ্টি হয়। আমরা তখন মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার কৌশল প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। মানসিক সুস্থতা শারীরিক সুস্থতার উপর নির্ভরশীল। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পরিবেশের সাথে সঙ্গতি বিধানের মাধ্যমে মানসিক সুস্থতা বজায় থাকে। সুশিক্ষা,শিশুর স্বাস্থ্যসম্মত লালন পালন,উন্নত পারিবারিক পরিবেশ,অভিবভাবকের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি,আনন্দময় জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা থাকা মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার কৌশল। গ) উত্তর ঃ অনিচ্ছাসত্বেও কাজের উপযুক্ত পরিবেশ ছাড়া কাজ করার ফলে সেই কাজের প্রতি মানুষের দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়। ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থার এই পরিবর্তনকেই বলা হয় ক্লানিত বা অবসাদ । অনেকক্ষণ ধরে কাজ করতে থাকলে মানসিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়এবং অবসাদ দেখা দেয়। নানা কারণে অবসাদ দেখা দেয়। যেমন- ব্যক্তিগত অপছন্দ,কাজের পরিবেশ,দীর্ঘক্ষণ ধরে একই কাজ করা, কর্মক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি। কর্মসূচিজনিত শারীরিক চাপের কারণ ছাড়াও আরো অনেক কারণে অবসাদ আসতে পারে।মনোবিদগন অবসাদের কারণসমূহকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করেছেন-(১) শারীরিক বা দৈহিক কারণ,(২) মানসিক কারণ এবং (৩) পরিবেশগত কারণ।অনেকক্ষণ দৈহিক পরিশ্রম করলে যেমন মানসিক অবসাদ আসে তেমনিএকটানা মানসিক কাজ করলেও দৈহিক অবসাদ আসে।এছাড়া পরিমিত আলো,বাতাস ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ না থাকলে অল্পতেই অবসাদ চলে আসে। ঘ) উত্তরঃ মনির বিদ্যালয়ে সদা চঞ্চল এবংএকজন নিয়মিত ছাত্র। পড়ালেখায়ও ভালো। মা বাবার অসচেতনাই মনিরের এই অবস্থা। হলো।একটানা দীর্ঘক্ষন একই কাজ করার ফলে সেই কাজের প্রতি মানুষের দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়।এ পরিবর্তনই হলো অবসাদ। দীর্ঘদিন অবসাদে ভুগলে মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়। মনিরের এই অবস্থা থেকে উত্তরনের উপায় হলো ধৈর্যশীল আচরণ,সুশিক্ষা,শিশুবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা, পুষ্টি. পরিচর্যা, মতা পিতা অভিভাবকের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, স্বাস্থ্য সম্মত লালন পালন এবং পর্যাপ্ত বিনোদন ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। সহজাত প্রতিক্রিয়া দ্বারা উদ্দীপিকরার মধ্য দিয়ে মনিরের এই অবস্থা থেকে উত্তরণ পাওয়া সম্ভব। মানসিক অসুস্থতা এবং কাজের একঘেয়ামিতা দূর করতে বিনোদন ও প্রেষণা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। যেমন- খেলাধুলা,গানশুনা টিভি দেখা ইত্যাদি।
×