ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী মহানগর পুলিশের পরিধি বাড়ছে ॥ নতুন আট থানা

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

রাজশাহী মহানগর পুলিশের পরিধি বাড়ছে ॥ নতুন আট থানা

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ মহানগর পুলিশের পরিধি বাড়ছে। আরও আটটি থানা হতে যাচ্ছে নগর পুলিশের। এর মধ্যে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) চার থানা ও পবা থানাকে ভেঙ্গে এই থানাগুলো করা হচ্ছে। এ নিয়ে আরএমপির থানার সংখ্যা দাঁড়াবে ১২টি। নতুন থানাগুলোর জন্য এরই মধ্যে সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। অচিরেই থানাগুলোতে কার্যক্রম শুরুর আশা করছে আরএমপি। এজন্য নগর পুলিশে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বিষয়টি নিশ্চিত করে আরএমপির মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বলেন, দীর্ঘ পরিকল্পনার পর নতুন করে আটটি থানা করার সিদ্ধান্ত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় সম্প্রতি অনুমোদন হয়েছে। এখন শুধু সরকারী প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষা। স্বল্প সময়ের মধ্যে সরকারী এই আদেশ জারির কথা রয়েছে। ইফতেখায়ের আলম জানান, আরএমপির এখনকার থানাগুলোর মতো নতুন থানাগুলোও চলবে ভাড়া করা ভবনে। এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভবন দেখাশোনা করা হচ্ছে। কয়েকটি ভবনে থানা করার জন্য পছন্দও হয়েছে। খুব দ্রুত ভবনগুলোতে থানার কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরএমপির মুখপাত্র জানান, আরএমপির চার থানা ও পুলিশ লাইনে এখন প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ কর্মরত রয়েছেন। এখান থেকেই নতুন থানাগুলোতে জনবল সরবরাহ করা হবে। এজন্য কয়েকমাসে আরএমপি থেকে কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যকে অন্য কোথাও বদলি করা হয়নি। পদোন্নতি পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তারাও রয়েছেন নতুন থানায় যোগদানের অপেক্ষায়। জানা গেছে, এখন আরএমপির চার থানার এলাকা রয়েছে ২০৩ বর্গকিলোমিটার। নতুন আরও আট থানার কার্যক্রম শুরু হলে আরএমপির এলাকার পরিধি হবে প্রায় ৯০০ বর্গকিলোমিটার। শহর ছেড়ে গ্রামেও পৌঁছাবে মহানগর পুলিশের এলাকা। নতুন করে থানা হলেও মহানগরীর ভেতরে থাকা এখনকার ১২টি পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম আগের মতোই চলবে। আরও জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার এলাকা ভেঙ্গে হচ্ছে চন্দ্রিমা থানা। রাজপাড়া থেকে হচ্ছে কাশিয়াডাঙ্গা থানা। আর মতিহার থানা থেকে কাটাখালি ও বেলপুকুর এবং শাহমখদুম থানা থেকে হচ্ছে বিমানবন্দর থানা। এছাড়া জেলা পুলিশের পবা থানা থেকে হচ্ছে কর্ণহার ও দামকুড়া থানা। পবা উপজেলার এই নতুন দুটি থানা থাকবে মহানগর পুলিশের আওতায়। একইভাবে পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানাও থাকবে মহানগরের অধীনে। আরএমপির মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, এই ১২ থানার মৌজাভিত্তিক এলাকা নির্ধারণ করার পর প্রস্তাবটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। তবে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আরও একটু জটিলতা রয়েছে। সেটিও সংশোধন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। জানুয়ারিতে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির সম্ভাবনা রয়েছে। এটি হয়ে গেলে নতুন থানাগুলোর কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য কয়েকটি বাড়ি ভাড়া নেয়ার মৌখিক কথাবার্তাও চলছে। আরএমপির কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, প্রয়োজনের তাগিদেই নতুন থানা হচ্ছে। এগুলোর কার্যক্রম শুরুর পর রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
×