ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজার বিসিকের পিয়ন কোটিপতি ॥ তদন্তের দাবি

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

কক্সবাজার বিসিকের পিয়ন কোটিপতি ॥ তদন্তের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ শিল্প নগরী বিসিক কার্যালয়ের এক পিয়ন কোটিপতি বনে গেছে। ওই পিয়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে আঁতাত করে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানবপাচার কাজে জড়িয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পিয়ন থেকে টাইপিস্ট পদে পদায়ন হওয়ার পর একই কার্যালয়ে এখনও নামে-বেনামে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে সরকারী টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, প্রায় বিশ বছর আগে মাস্টাররোলে পিয়ন পদে চাকরি নেন মোক্তার আহমদ। পরবর্তীতে টাইপিস্ট পদে পদায়ন হয় তার। পদায়নের পর হিসাবরক্ষকের দায়িত্বও পালন করছে সে। ইসলামপুরে মাঠ পর্যায়ে পিয়ন শহরে ফ্ল্যাট কেনা ও সুরম্য অট্টালিকা নির্মাণসহ শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে, তা তদন্তের দাবি ওঠেছে। এ নিয়ে খোদ বিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে চলছে নানা গুঞ্জন। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই পিয়ন মোক্তারের আলাদিনের চেরাগ পাবার রহস্য কোথায় জানতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, তার শ্বশুরালয়ে একাধিক নিকট আত্মীয়ের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে। ওই দালালদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। বিসিকের কর্মচারী হওয়ার সুবাদে বিশ্বাস জমিয়ে মালয়েশিয়ায় অধিক বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে যুবক সংগ্রহ করে পিয়ন মোক্তার তার স্বজনদের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাঠাতো বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, বিসিকের পিয়ন মোক্তার আহমদের সঙ্গে আঁতাত করে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কতিপয় ব্যবসায়ী অস্থিত্বহীন একাধিক লবণ মিলের বিপরীতে ভুয়া লাইসেন্স তৈরি করে নিয়েছে। ওই পিয়নের মাধ্যম ছাড়া কোন ফাইলে বিসিকের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন সই করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। ঋণ প্রদান ছাড়াও শিল্প সহায়ক কেন্দ্রে প্লট বরাদ্দ ও লবণ শিল্পের নিবন্ধণের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে অভিযোগ সত্য নয় এবং এসব ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন মোক্তার আহমদ।
×