ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিসির জেনারেটর গায়েবের ঘটনা তদন্তে গোয়েন্দা সংস্থা

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

বিসিসির জেনারেটর গায়েবের ঘটনা তদন্তে গোয়েন্দা সংস্থা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দৈনিক জনকণ্ঠে গত ২৪ ডিসেম্বর ‘কোটি টাকার জেনারেটর গায়েব’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি এবার দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগের তদারকি এবং সরকারী কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। জানা গেছে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বিসিসি’র সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং কর্মকর্তারা নিজেদের এ দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঠিকাদারের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। এমনকি নিজেদের বাঁচাতে ওই কর্মকর্তারা ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে ম্যানেজ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান জানান, দৈনিক জনকণ্ঠ প্রকাশিত অনুসন্ধানী সংবাদটি তাদের নজরে আসার পর সোমবার সকালে এক জরুরী সভার মাধ্যমে তিনি প্রাথমিকভাবে প্রধান প্রকৌশলী খান মুহাম্মদ নুরুল ইসলামকে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান কর্তৃক দুই কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে একাই ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টির সত্যতা ওঠে আসলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসি’র নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জনকণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদের জেরধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগের তদারকি এবং সরকারী কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে নগরীতে সাপ্লাইয়ের পানি সরবরাহযাত পাম্পের জন্য ১০টি উন্নতমানের জেনারেটর সরবরাহের জন্য বরিশাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর বিদেশী অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি টাকা বরাদ্দ আনে।
×