ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সৈয়দপুর কারখানায় ১৮ কোচ সচল করায় সাশ্রয় ৭৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

সৈয়দপুর কারখানায় ১৮ কোচ সচল করায় সাশ্রয় ৭৬ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ঢাকা-লালমনিরহাট-ঢাকা রেলপথে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে চলা আন্তঃনগর লালমনি এক্সপ্রেসে এবার ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে এমন রেলকোচ সংযুক্তি হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানার ইয়ার্ডে পড়ে থাকা ১৮টি মিটার গেজ রেলকোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এনে দেশীয় নতুন প্রযুক্তিতে সচল করার কাজ শেষ হবার পথে। এই বেল কোচগুলো সদ্য ইন্দোনেশিয়া হতে আমদানী করা কোচেগুলোর মতো লাল-সবুজ রেখায় সজ্জিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১২টি কোচ তৈরি শেষ হয়েছে। এই ১২টি কোট সংযুক্ত হয়ে চলবে লালমনি এক্সপ্রেসে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে। নতুন আঙ্গিকে এই কোচগুলো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পুনর্নির্মাণে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে সংশ্লিষ্ট মনে করছে।সূত্র মতে, ১৯৯৮ সালে আমদানি করা জার্মান প্রযুক্তির আইআর কোচগুলোর নির্মাতা ইরানের ওয়াগন পার্স কো¤পানি। সে সময় ওই রেলকোচগুলো দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে মিটারগেজ লাইনে বিরতিহীন আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চলত। পরে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের কোচ পরিবর্তন করে দেয়ায় এগুলো পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পাহাড়তলী কারখানায় পড়েছিল । রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইরানি কোচগুলোর মূল কাঠামো নষ্ট হলেও আন্ডারফ্রেম বা বগি ছিল মোটামুটি সচল। ফলে ওই কোচগুলো নতুনরূপে পুনর্বাসনের (রিহ্যাবিলেটেশন) উদ্যোগ নেয়া হয় । বর্তমান বিশ্ব বাজার দর অনুসারে একটি মিটারগেজ কোচের দাম প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। সৈয়দপুর রেলকারখানায় ১৮টি কোচ রাজস্ব খাতে পুনর্নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে গড়ে এক একটি ৮০ লাখ টাকা করে। সেক্ষেত্রে কোচপ্রতি সাশ্রয় হচ্ছে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। অর্থাৎ ১৮টি কোচ সচলে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে ৭৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার মতো। সোমবার সরেজমিনে কোচগুলোতে অত্যাধুনিক ও আরামদায়ক চেয়ার (আসন) ও আধুনিক লাইট সংযোজন এবং মেঝেতে মাইল্ড স্টিলের পরিবর্তে স্টেইনলেস স্টিল ও ফ্লোরম্যাট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া টয়লেট উন্নতমানের এবং অযথা কেউ চেন টেনে ট্রেন থামাতে না পারে তার জন্য এ্যালার্ম চেইন পুর্লিং কন্ট্রোলার সংযুক্ত করা হচ্ছে। সৈয়দপুর রেলকারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা জানান ইতোমধ্যে ১২ কোচের মেরামত শেষ হয়েছে। এগুলো লালমনি এক্সপ্রেসে সংযুক্ত হয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। বর্তমানে লালমনি এক্সপ্রেসের গতি ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার।
×