ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তাজকিয়া নুর মুন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আলোচিত ঘটনা

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আলোচিত ঘটনা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বাজিমাত জুনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে লজ্জায় ডুবিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসরে এসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতল পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভালের একতরফা ফাইনালে সরফরাজ আহমেদের দল জেতে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে। তরুণ ফখর জামান (১১৪), অভিজ্ঞ আজহার আলি (৫৯) ও মোহাম্মদ হাফিজের (৫৭*) দুরন্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৩৮ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। জবাবে মোহাম্মদ আমির (৩/১৬), হাসান আলির (৩/১৯) দুর্ধর্ষ বোলিং সামলাতে ব্যর্থ গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত ৩০.৩ ওভারে ১৫৮ রানেই অলআউট। গ্রুপ পর্বে বড় হারের পর অনেকে শত্রুদেশের বিপক্ষে পাকিদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ওভালে সেই তাদেরই উড়িয়ে দিয়ে স্বপ্নের শিরোপা সরফরাজদের হাতে এর চেয়ে ভাল জবাব আর হতে পারত না। আসরে তারা মোটেও ফেবারিট ছিল না, অন্যদিকে বিরাট কোহলির ভারত আগের বারের চ্যাম্পিয়ন। যে পাকিস্তানকে কেউ গোনায় ধরেনি, ওভালে চিরশত্রু ভারতকে লজ্জায় ডুবিয়ে সেই তাদেরই হাতে ওয়ানডে ফরমেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব। সেটিও এমন দু-জনের পারফর্মের ওপর ভর করে টুর্নামেন্টের আগে অনেকেই যাদের চিনতেনই না। বিরাট কোহলি, ইয়ন মরগান, স্টিভেন স্মিথ, এবিডি ভিলিয়ার্সদের ম্লান করে পাকিদের সাফল্যের নেপথ্যের নায়ক ফখর জামান ও হাসান আলি নামের দুই নবীন। আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের টেস্ট মর্যাদা লাভ জুনের শেষ সপ্তাহে টেস্ট মর্যাদা পায় আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভায় দেশ দুটিকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দেয়ায় টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা ১০ থেকে ১২-তে উন্নীত হয়েছে। লন্ডনে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে দেশ দুটিকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দেয়া হয়। এর আগে ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পেয়েছিল বাংলাদেশ। মেলবোর্নে ১৮৭৭ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলা লংগার ভার্সনের দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিনস্তান, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুইয়ে ও বাংলাদেশের সঙ্গে কুলীন ক্লাবে যুক্ত হয়েছে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। ক্রিকেট আয়াল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আইরিশ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত সকলের জন্যই এটা একটা সুসংবাদ। এই ইতিবাচক সিদ্ধান্তের জন্য আমি আইসিসি এবং সব সদস্য রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘খেলাটির সর্বোচ্চ পর্যায় হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট এবং যেটা আমাদের সকলের স্বপ্ন ছিল।’ ওয়ারেন ডিউট্রন বলেন, ‘আমরা সকল বিশ্বকাপ খেলেছি। এ সময়ে আমরা কিছু স্মরণীয় ফল করেছি। তবে টেস্ট খেলাটা হবে বিশেষ কিছু।’ পক্ষান্তরে আফগানিন্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী শফিক স্ট্যানিকজাই বলেন, ‘আফগানিস্তানের মতো একটি জাতির জন্য এটা অনেক বড় প্রাপ্তি এবং স্মরণীয় অর্জন।’ টি২০তে মিলার ও রোহিতের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এ বছরই আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার ও ভারতের রোহিত শর্মা। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই কীর্তি গড়েন মিলার। আর ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার সঙ্গে ভাগ বসান রোহিত। নভোজিৎ সিং সিধু আইপিএলে মিলারকে কিলার উপাধি দিয়েছিলেন। মিলার যে বাংলাদেশী বোলারদের কিলার হবে তা কে জানতো। দীর্ঘদিন অফ ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার এ হার্টহিটার ফর্মে ফিরতে বেছে নিয়েছিলেন টাইগারদের। টি২০ ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ে লেখিয়েছেন দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। বড় ঝড়টা বয়ে যায় তরুণ বোলার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উপর দিয়ে। তার এক ওভারেই ৫টি ছয় মারে মিলার। বাংলাদেশের উপর এই ঝড় বইয়ে দিয়ে তিনি গড়েন টি২০তে দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড। এর আগে ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকারই রিচার্ড লেভি। আর ৪৬ বলে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান আরেক ব্যাটসম্যান ফাফ ডুপ্লেসিস। ওয়ানডে ক্রিকেটে রেকর্ড তিন ডাবল সেঞ্চুরির মালিক হয়েছেন ক’দিন আগেই। টি২০ বাদ যাবে কেন! ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে মিলারের পাশে নাম লেখান তিনি। ভারতীয় ওপেনার থামেন ৪৩ বলে ১১৮ রান করে। টর্নেডো ইনিংসে ১২ চারের সঙ্গে ১০ ছক্কা হাঁকান তিনি। টি২০তে রোহিতের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দুটি সেঞ্চুরির মালিক ক্রিস গেইল, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, এভিন লুইস, কলিন মুনরোও। লারাকে ছাড়িয়ে ‘অধিনায়ক’ কোহলির ইতিহাস টেস্ট ক্রিকেটে ‘অধিনায়ক হিসেবে’ সবচেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড গড়েছেন বিরাট কোহলি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লীতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৪৩ রানের ম্যারাথন ইনিংস উপহার দিয়ে ব্রায়ান লারাকে ছাড়িয়ে যান ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ওয়ান্ডার বয়’। অধিনায়ক হিসেবে ৬ ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সাবেক ক্যারিবিয়ান গ্রেটকে পেছনে কোহলি। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ২৩৫ রান। ভারত অধিনায়ক হিসেবে যেটি ছিল সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। নিজের রেকর্ডকেই আরও এগিয়ে নিয়েছেন হালের এই রান মেশিন। পাশাপাশি ৬ ডাবল সেঞ্চুরিতে কোহলি স্পর্শ করলেন ভারতীয় রেকর্ডও। ৬ করে ডাবল করেছিলেন বীরেন্দর শেবাগ ও শচীন টেন্ডুলকর। আগের টেস্টেই একমাত্র ইনিংসে নাগপুরে করেছিলেন ২১৩ রান। টেস্ট ইতিাহসে পর পর দুই ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মাত্র ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান কোহলি। ১৯২৮ ও ১৯৩৩ সালে প্রথম দুই দফায় এমন কীর্তি গড়েছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তি ওয়ালি হ্যামন্ড ১৯৩৪ সালে ব্র্যাডম্যান, ১৯৯৩ সালে বিনোদ কাম্বলি, ২০০৭ সালে কুমার সাঙ্গাকারা ও ২০১২ সালে মাইকেল ক্লার্ক। বছর জুড়ে ব্যাট হাতে রানের ফল্গুধারা বইয়ে দিয়েছেন কোহলি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ভারতকে তুলেছেন টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে। ওয়ানডেতেও শীর্ষস্থানে জায়গা করে নেয়ার পথে টিম-ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার এ্যাশেজ পুনরুদ্ধারে নায়ক স্মিথ ‘অস্ট্রেলিয়া উইনস দ্য এ্যাশেজ’ শেষবারের মতো জ্বলে ওঠা ওয়াকার ইলেক্ট্রিক ক্রিনে এর চেয়ে ভাল বাক্য আর হতে পারত না। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ট্রফি পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়ে পার্থের ঐতিহাসিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে বিদায় জানিয়েছে দুরন্ত দুর্বার স্মিথ বাহিনী। এবার তাদের জয়টা ইনিংস ও ৪১ রানে। ব্রিসবেনে ১০ উইকেটে, এ্যাডিলেডে ১২০ রানের পর টানা তৃতীয় সাফল্যের পথে সফরকারীদের কার্যত উড়িয়ে দেয় অসিরা। ২৩৯ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরা হন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। গৌরবময় এ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের অনুভূতিকে ‘বিশেষ কিছু’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে পয়েন্ট অর্জনে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা হওয়ার ক্ষেত্রে কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পিছু ছুটছেন তিনি। এক নম্বরে থাকা অসি-ক্যাপেন্টের রেটিং এখন ৯৪৫, আর ১৬ পয়েন্ট পেলেই ছুঁয়ে ফেলবেন ব্র্যাডম্যানকে, ১৭ হলে গড়বেন নতুন রেকর্ড। ১৯৪৮ সালে সর্বোচ্চ ৯৬১ রেটিং নিয়ে শীর্ষে ছিলেন স্যার ডন। বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ, জো রুট ও কেন উইলিয়ামসন হালের ক্রিকেটের ফ্যান্টাস্টিক ফোর। চার জনের কাঁধেই নিজ দেশের অধিনায়কের দায়িত্ব, যেটি তারা ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ হিসেবেই পালন করে যাচ্ছেন। আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানেও চলছে চারজনের মিউজিক্যাল খেলা। ঐতিহ্যের এ্যাশেজ ট্রফি পুনরুদ্ধার করে স্মিথ যেন সেখানে একটু বেশিই স্পেশাল। কোহলি-আনুশকার আলোচিত বিয়ে বাইশ গজে তার ব্যাটিং দাপটে কাঁপছে বিশ্ব ক্রিকেট। জীবনের ইনিংসের গোড়াপত্তনেও কাঁপিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। অনেক নাটকীয়তার পর বলিউড কুইন আনুশকা শর্মাকে জীবনসঙ্গী করেছেন ভারত অধিনায়ক। বিয়ের জন্য ইতালির ঐতিহাসিক শহর রোম থেকে তিন শ’ কিলোমিটার দূরে ছবির মতো সুন্দর তাস্কানিকে বেঁছে নিলেন বহুল আলোচিত প্রেমিকযুগল। বিরাট-আনুশকা মিলে হয়ে গেছেন বিরুষ্কা। ১১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদে প্রকাশ, তার একদিন আগেই মিলানের তাস্কানিতে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। যেখানে কেবল দুই পরিবারের কাছের মানুষেরাই উপস্থিত ছিলেন। ২৬ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনায় নিমন্ত্রিত অতিথির তালিকায় ছিলেন ক্রিকেট, বলিউড ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বিখ্যাত সব ব্যক্তি। টাইগার পাতৌদি এবং শর্মিলা ঠাকুরের পর ক্রিকেট এবং বলিউডের সেরা জুটি বলা হচ্ছে বিরুষ্কাকে। সংবাদ মাধ্যম বলছে, ‘ওয়েডিং অব দ্য ইয়ার ২০১৭’। এতটাই আলোচিত যে, বিরাট এবং অনুশকার জুটিও এখন একটা ‘ব্র্যান্ড’। যারা শুধু বলিউডের রেড কার্পেট বা ক্রিকেট মাঠের সবুজ গালিচা নয়, দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিজ্ঞাপনী দুনিয়াতেও। জনশ্রুতি আছে, একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনে প্রথম আলাপ হয়েছিল বিরাট এবং অনুশকার। প্রথমে বন্ধুত্ব দিয়েই শুরু হয়েছিল সম্পর্ক। ২০১৩ সালে ছিল সেই বিজ্ঞাপনের শূটিং। ওয়ানডেতে তিন ডাবল সেঞ্চুরি রোহিতের অনন্য কীর্তি বহুল আলোচিত বিয়ের বিরাট কোহলি যখন ছুটিতে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার কাছে হারের জবাবটা রোহিত এভাবে দেবেন, কে ভেবেছিল? মোহালির দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন অপরাজিত ২০৮ রানের অতিমানবী আরও একটি ইনিংস। ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৬৪ রানের রেকর্ডটাও রোহিতের দখলে, শ্রীলঙ্কারই বিপক্ষে, কলকাতায়, ২০১৪ সালে। অতিকায় এই ইনিংসটিও রোহিতের ক্যারিয়ারের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। ওয়ানডেতে যে তার আছে আরও ২৬৪ ও ২০৯ রানের দুটি ইনিংস। ওয়ানডেতে প্রথম দুই শ’র সীমানায় পা রাখেন গ্রেট শচীন টেন্ডুলকর। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গোয়ালিয়রে করেছিলেন ১৪৭ বলে অপরাজিত ২০০। ২০১১ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইন্দোরে বীরেন্দর শেবাগ করেন ১৪৯ বলে ২১৯। ২০১৩ সালে কাছে গিয়েও রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি রোহিত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে করেন ১৫৮ বলে ২০৯। পরের বছর, ২১০৪ সালে ঠিকই শেবাগকে পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে যান রোহিত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলকাতায় খেলেন ১৭৩ বলে ২৬৪ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ১৪৭ বলে ২১৫ করেন ক্রিস গেইল। ওই বিশ্বকাপেই গেইলের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মার্টিন গাপটিল করেন ১৬৩ বলে অপরাজিত ২৩৭। এবার সেই স্বাদ আরও একবার পেলেন রোহিত। তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে গড়লেন নতুন ইতিহাস। ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকেই। বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার এলিস পেরি নিউজিল্যান্ডের এ্যামি স্যাটার্থওয়েট ও ভারতের হারমানপ্রিত কৌরকে টপকে ২০১৭ আইসিসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা অলরাউন্ডার এলিস পেরি। সর্বোপরি বর্ষসেরার পুরস্কার না জিতলেও বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন স্যাটার্থওয়েট। আর পেরির সতীর্থ বেথ মুনির মুকুটে উঠেছে সেরা টি২০ ক্রিকেটারের স্মারক, সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনিই। পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময় ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়ানডেতে ১৯ ম্যাচে ৯০৫ রান করেন পেরি। মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে নিয়েছেন ২২ উইকেট। ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার গত মাসে নর্থ সিডনি ওভালে এ্যাশেজের দিবারাত্রির টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিকে ডাবলে রূপান্তর করেন, খেলেন অপরাজিত ২১৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। যেটি অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত টেস্ট ইনিংসের রেকর্ড। ‘নারী ক্রিকেটের জন্য এ বছরটা খুবই স্পেশাল, অনেক মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বর্ষসেরার পুরস্কার জেতাটা আনন্দের ও সম্মানের। এই খেলাটার জন্য র‌্যাচেলের অবিশ্বাস্য অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি আমি।’ উল্লেখ্য, এবার থেকে আইসিসি বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কারটি র‌্যাচেল হেহো ফ্লিন্টের নামে করা হয়েছে। বছরের শুরুতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটার।
×