ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বীমা খাতের ভবিষ্যত ভাল

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

বীমা খাতের ভবিষ্যত ভাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশের কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া হতে দেয়া হবে না। এক সময় আইনে অনেক দুর্বলতা ছিল। সেগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হচ্ছে। আইনের সংস্কার হলে অনিয়মের পথ বন্ধ হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ২০১৬ সালের লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলীরুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীর হাতে ৪০ কোটি টাকার লভ্যাংশের চেক তুলে দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, নানা কারণে আমাদের দেশের মানুষদের বীমার ওপর আস্থা অনেকটা কমে গেছে। তাদের অভিযোগ, বীমার দাবি ফেরত পেতে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেক দিন ঘুরেও অনেক সময় দাবিকৃত অর্থ পাওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, সরকার ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটি প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন তারা বীমা নিয়ে কাজ করছে। বীমা খাতে যেসব অভিযোগ আছে সেগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উন্নতির পথে এগুচ্ছে। দিন যাচ্ছে আর নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে বীমাও বাড়বে। আমি বাংলাদেশে বীমা খাতের ভবিষ্যত ভাল মনে করছি। সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই লাভজনকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এটি একই সঙ্গে বীমাকারী ও পুনঃবীমাকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন প্রতি বছরই তাদের আয় থেকে সরকারের কোষাগারে আয়কর প্রদানসহ লভ্যাংশও দিয়ে আসছে। ২০১৬ সালে সমাপ্ত বছরের জন্য ৮২ কোটি ৫২ লাখ টাকা আয়কর দিয়েছে। বর্তমানে ৪০ কোটি টাকা লভ্যাংশ হিসেবে প্রদান করছে। ২০১৬ সালে কর্পোরেশন ২৮৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছিল। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ২০১৬ সালে প্রিমিয়াম আয়ের পাশাপাশি গ্রাহক সেবার অংশ হিসেবে মোট ২০০ কোটি টাকার বীমা ও পুনঃবীমা দাবি পরিশোধ করেছে। ২০১৭ সালে শুধুমাত্র পুনঃবীমা খাতে ইতোমধ্যে প্রায় ৩১৫ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করেছে বলে অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়।
×