ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুরা নিরাপদ নয় মা নিজেই বিক্রি করে রাত্রিকে

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

শিশুরা নিরাপদ নয় মা নিজেই বিক্রি করে রাত্রিকে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৫ বছরের কিশোরী রাত্রি। ২০১২ সালে তার গর্ভধারিনী মা তাকে বিক্রি করে দেয় এক ব্যক্তির কাছে। তখন তার বয়স ১০ বছর। রাত্রির জীবনে সেই রাত থেকেই অন্ধকার নেমে আসে। এই শিশুটিকে তার মা ঢাকায় ঘুরতে যাওয়ার নাম করে নিয়ে যান। রাতে আশ্রয় নেন একটি হোটেলে। সেখানেই রাত্রির মা তাকে বিক্রি করে দেন। এরপর লোকটি রাত্রিকে অন্য একজনের কাছে নিয়ে যায়। এভাবেই তিন চার দফায় পাচার হয় রাত্রি। এক সপ্তাহ পর অবশেষে রাত্রিকে পাচারকারীদের পুলিশ আটক করে। পরবর্তীতে রাত্রির আশ্রয় মেলে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির শেল্টার হোমে। বর্তমানে সে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ছে। মঙ্গলবার এক আলাপকালে সংগ্রামী এই শিশু জনকণ্ঠকে জানায়, ‘আমার বাবা-মা আছেন কিন্তু না থাকার মতোই। যাদের আশ্রয়ে আমি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ তারা আমাকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বাবা-মার সঙ্গে এখন আর যোগাযোগ করি না। আমি শেল্টার হোমে খুব ভাল আছি। পড়ালেখা করছি। বড় হয়ে চাকরি করতে চাই।’ শুধু রাত্রি নয় আরও আছে সালমা, সাথী, ঊর্মিসহ অনেকেই। তারাও নিজের আপনজনদের দ্বারা পাচার হয়েছে। এদের মধ্যে সাথী তো জানেই না কোথায় তার বাড়ি, কে তার বাবা-মা! অসহায় এসব শিশুদের আশ্রয় মিলেছে শেল্টার হোমে। সেখানে কেউ পড়ালেখা শিখছে আবার কেউ কারিগরি শিক্ষা নিচ্ছে। এভাবেই তারা ছোট মনে আশা সঞ্চয় করছে প্রতিনিয়ত। তারা নির্যাতিত নয় বরং সংগ্রামী। তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা তাদের মর্মাহত করেনি বরং শিখিয়েছে কিভাবে সংগ্রামী হতে হয়। সারা পৃথিবীতেই মানব পাচার একটি বড় সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। মানব পাচার মানুষ নিয়ে বাণিজ্যের এমন একটি রূপ যার উদ্দেশ্য থাকে সাধারণত যৌন দাসত্ব, জোরপূর্বক শ্রম ও অঙ্গ পাচারের মতো কার্যকলাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন। বাংলাদেশ প্রধানত মানব পাচারের উৎস হিসেবে পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশ ট্রানজিট ও গন্তব্য-ভূমি হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘প্রিভেনশন ফর চাইল্ড ট্রাফিকিং স্ট্রেনদেনিং কমিউনিটি এ্যান্ড নেটওয়ার্কিংয়ের’ (পিসিটিএসসিএন) তথ্যমতে, চলতি বছরে প্রায় সাড়ে ছয়শ’ পাচারকৃত শিশুকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ভারতে পাচারকৃত শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি বলে জানা যায়। পিসিটিএসসিএন প্রকল্পটি ইনসিডিন বাংলাদেশের নেতৃত্বে ৬টি সহযোগী সংস্থা (ইনসিডিন বাংলাদেশ, বিএনডব্লিইএলএ, সিপিডি, সীপ, নারী মৈত্রী এবং রাইটস্ যশোর) বাস্তবায়ন করে আসছে। এ কাজের আওতায় প্রকল্পটি ২০১৫ সাল থেকে জনভিত্তিক প্রচারণা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সচলের লক্ষ্যে পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ ৬টি জেলাসহ (যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং পটুয়াখালী) কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পিসিটিএসসিএনের উদ্যোগে ‘শিশু পাচার প্রতিরোধ ও দমনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আওতায় পর্যাপ্ত অর্থায়ন ও উদ্যোগের নাগরিক প্রস্তাবনা’ শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট জাজ জাফরুল হাসান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন, টিডিএইচ নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাহমুদুল কবীর। অনুষ্ঠানে শিশু পাচার প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী। এছাড়া সভাপতিত্ব করেন নারী মৈত্রী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আক্তার ডলি। শিশু পাচারকারী শনাক্ত ও জনসচেতনতার ওপর জোর দিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা লাভ করলেও আমরা প্রকৃতভাবে স্বাধীন হতে পারিনি। আজও এদেশে শিশুরা সুরক্ষিত নয়। শিশু পাচার মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। কিছু অসাধু ব্যক্তিরা শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িত। এদের বেশিরভাগই স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে চলে। অনেক এলাকার স্থানীয় প্রশাসনের অবগতির পরও সেসব এলাকা থেকে নারী ও শিশু পাচার হয় কিন্তু তারা চুপ থাকে। স্থানীয় প্রশাসনকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে, অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’ ‘অনেক সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেন, আমাদের দেশে কি বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। আমি কী বলব তাদের। আমার মনে হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতি নয় বরং দেশের জনগণ বিচার পেতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যার ফলে দোষীরা শাস্তির আওতায় আসছে না।’ তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘চলতি বছরে একটি সংবাদে পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মামলার ৮০ ভাগ আসামি খালাস পেয়ে যায়। মামলা যদি হয়েই থাকে তবে কিভাবে খালাস পেয়ে যায়? কারণ আমাদের পুলিশের কাছে ঘটনা সংশ্লিষ্ট অনেক প্রমাণ মিসিং থাকে। তারা আদালতে সঠিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন না। অবশ্যই তাদের গাফিলতি এটা। সেইসঙ্গে নারী ও শিশুরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও পুলিশের কাছে বিভিন্ন হয়রানির কারণে না যাওয়ার বিষয়টি তো আমাদের জানা আছে। তবে বর্তমানে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নারী ও শিশু সহিংসতা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোন মামলা আদালতে যায় ঠিক তখনই শুনানির দিন সাক্ষী কোর্টে হাজির হয় না। কারণ পাবলিক প্রসিকিউটর সাক্ষীকে ঠিকমতো বুঝিয়ে প্রশিক্ষণ দেননি। একজন সাক্ষীর পুরো নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। একজন পিপিকে অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে তার সাক্ষ্যকে আদালতে হাজির করতে হবে। সাক্ষ্য দেয়ার আগে অবশ্যই তাকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সংবেদনশীলতা বজার রাখতে হবে। কিন্তু আমরা দেখি ভিন্ন চিত্র। প্রতিটি স্তরে এমন অনিয়ম হলে দেশ থেকে শিশুর প্রতি সহিংসতা কীভাবে বন্ধ হবে! শিশু আইন রয়েছে। এবং প্রতিবছর শিশুর জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকেও বরাদ্দ রয়েছে কিন্তু ব্যায়ের খাতসমূহ অস্পষ্ট। কোন মন্ত্রণালয় শিশুর কোন দিকে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করছে তার উল্লেখ নেই। যেমন-শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিশুদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করছে। এটি স্পষ্ট। এভাবেই পাচারের শিকার শিশুদের উন্নয়নে যে কোন একটি মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। পাচার হওয়া শিশুদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’ সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট জাজ জাফরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের দেশে শিশু সংক্রান্ত অনেক আইন আছে। কিন্তু একটি উদ্বেজনক বিষয় হচ্ছে ‘শিশু কে’? অর্থাৎ শিশুর সংজ্ঞাতে বয়সের ভিন্নতা রয়েছে একেকটি আইনে। কোথাও বলা হয়েছে ১৬ বছর কোথাও ১৮ বছর। এই বিষয়টি থেকে ভ্রান্তি দূর করতে হবে খুব দ্রুত। শিশু পাচার সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ। এজন্য সচেতন হতে হবে শিশুকে, তার পরিবারকে। শিশুর সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে। বিশেষ করে বস্তি এলাকাগুলোর শিশুদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। এসব কোমলমতি শিশুরা খুব অল্প সময়েই প্রভাবিত হয় তাদের দ্বারা। তারপর তারা পাচারের শিকার হয়। এজন্য প্রশাসন এবং বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যারা শিশু পাচার নিয়ে কাজ করছে তাদের উচিত বস্তি এলাকাগুলোর শিশু সুরক্ষার ব্যবস্থা করা। আমার মতে, রাষ্ট্রের চেয়ে সমাজের অবদান বেশি। সামাজিকভাবে জনসচেতনতার মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের কখনও অপরাধী বলা যাবে না। বিভিন্ন মামলা যখন শিশু আদালতে আসে তখন শিশুদের আদালতে হাজির করা হয় তাদের কাছ থেকে ঘটনা জানতে চাওয়া হয়। তা খুবই সংবেদনশীলতার সঙ্গে। অনেকের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে শিশু আদালতেও হয়তবা শিশুরা লাঞ্ছনার শিকার হয়। কিন্তু এ রকম নয়। শিশুর সংবেদনশীলতা রক্ষা করেই আদালতে তার বয়ান গ্রহণ করা হয়। এমনকি শিশু আদালতে পরিবেশ এতটাই বন্ধুসুলভ যে, শিশুরা কখনও বুঝবে না যে তারা আদালতে এসেছে।’ ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী শিশু পাচার প্রতিরোধে কনসোর্টিয়ামের কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করে মূল প্রবন্ধে উপস্থাপনকালে বলেন, ‘কমিউনিটি এবং নেটওয়ার্কিং শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করে শক্তিশালী শিশু পাচার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। ২০১৭ সালে পিসিটিএসসিএন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬টি জেলা (যশোর, সাতক্ষীরা, বাঘেরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং পটুয়াখালী) উপজেলা এবং ১৮টি ইউনিয়নে পাচার প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণে ভূমিকা রেখেছে। এ সকল কমিটি বর্তমানে শিশু পাচার প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। পিসিটিএসসিএন প্রকল্পের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে কমিউনিটি পর্যায়ে শিশু পাচার বন্ধ করার জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী পাচার প্রতিরোধ কমিটির মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ এর ওপর এবং শিশু সুরক্ষা বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি শিশুবান্ধব বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে পুলিশ, আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের শিশু সুরক্ষা, শিশু আইন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ এর প্রায়োগিক দিকসমূহ এর উপরে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পাচারকৃত শিশুকে ২০১৭ সালে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত থেকে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা ও পরিবারে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়েছে। পাচারকৃত শিশুদের চাহিদা যাচাইপূর্বক তাদের টেকসই পুনর্বাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩০ জন শিশুকে জীবিকা সহায়তার মাধ্যমে সমাজে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারী ও বেসরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাসরত ৩৬০ জন পাচারকৃত শিশুদের মনো-সামাজিক কাউন্সিলিং সেবা প্রদান করা হয় যাতে তারা স্বাভাবিক ও নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারে। জাতীয় পর্যায় পাচারকৃত শিশুদের মনো-সামাজিক সেবা বৃদ্ধি ও নেটওয়ার্কিং তৈরি করার জন্য সমমনা সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার সঙ্গে অর্ধ-বার্ষিক সভার মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার পাচার প্রতিরোধে প্রতিবছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিবেদন পেশ করছে এবং ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৫-২০১৭’ বাস্তবায়ন করছে। পাচার প্রতিরোধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ একটি যুগোপযোগী আইন, এই আইন বাস্তবায়নে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। শিশু সহিংসতা, শিশু বিবাহ, শিশু শ্রম, শিশু পতিতাবৃত্তিসহ সকল ধরনের সহিংসতার সঙ্গে শিশু সম্পর্কিত। নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি বলেন, ‘পাচারকৃত শিশুদের উদ্ধার করা হলেও তাদের পরিবার তাদের ফিরিয়ে নেয় না বরং মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয় শিশুটি। পরিবারকে সচেতন হতে হবে এবং পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া শিশুদের আদর ভালবাসা দিতে হবে। এজন্য সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী। তাদের উন্নয়নে রাষ্ট্র ও জনগণকে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
×