স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারের শিল্প নগরী বিসিক কার্যালয়ের একজন পিয়ন বর্তমানে কোটিপতি বনে গেছেন। ওই পিয়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে আঁতাত করে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানবপাচার কাজে জড়িয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পিয়ন থেকে টাইপিষ্ট পদে পদায়ন হওয়ার পর একই কার্যালয়ে এখনও নামে-বেনামে ভূয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে সরকারী টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রায় বিশ বছর আগে মাস্টাররোলে পিয়ন পদে চাকরি নেন মোক্তার আহমদ। পরবর্তীতে টাইপিষ্ট পদে পদায়ন হয় তার। পদায়নের পর হিসাব রক্ষকের দায়িত্বও (অতিরিক্ত) পালন করছেন তিনি। ইসলামপুরে মাঠ পর্যায়ে একজন পিয়ন শহরে প্লট কেনা ও সুরম্য অট্টালিকা নির্মাণসহ শূণ্য থেকে কোটিপতি হওয়ার পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে, তা তদন্তের দাবী উঠেছে। এ নিয়ে খোদ বিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে চলছে নানা গুঞ্জন। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই পিয়ন মোক্তারের আলাদিনের চেরাগ পাবার রহস্য কোথায় জানতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, তার শ্বশুরালয়ে একাধিক নিকট আত্মীয়ের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে। ওই দালালদের বিরুদ্ধে রয়েছে জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা। বিসিকের কর্মচারী হওয়ার সুবাদে বিশ্বাস জমিয়ে মালয়েশিয়ায় অধিক বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে যুবক সংগ্রহ করে পিয়ন মোক্তার তার স্বজনদের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাঠাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, বিসিকের পিয়ন (টাইপিস্ট) মোক্তার আহমদের সঙ্গে আঁতাত করে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কতিপয় ব্যবসায়ী অস্থিত্বহীন একাধিক লবণমিলের বিপরিতে ভূয়া লাইসেন্স তৈরী করে নিয়েছে। ঐ পিয়নের মাধ্যম ছাড়া কোনো ফাইলে বিসিকের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন সই করেননা বলে অভিযোগ রয়েছে। ঋণ প্রদান ছাড়াও শিল্প সহায়ক কেন্দ্রে প্লট বরাদ্দ ও লবণ শিল্পের নিবন্ধণের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে অভিযোগ সত্য নয় এবং এসব ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেছেন মোক্তার আহমদ।
