ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘ক্লাব লীগ চালু হলে অনেক উপকৃত হবে মেয়েরা’

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

‘ক্লাব লীগ চালু হলে অনেক উপকৃত হবে মেয়েরা’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যেখানে ছেলেদের ফুটবল দিন দিন যাচ্ছে রসাতলে, সেখানে মেয়েদের ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে দারুণ তালে। গত সাত বছরে সিনিয়র এবং জুনিয়র দল মিলে মেয়েরা এ পর্যন্ত জিতেছে মোট চারটি ট্রফি। এছাড়া একবার দ্বিতীয় ও দু’বার হয়েছে তৃতীয়। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এএফসি অনুর্ধ-১৪ বালিকা চ্যাম্পিয়ন (আঞ্চলিক) আসরে দু’বার (২০১৫ ও ২০১৬), এএফসি অনুর্ধ-১৬ আসরের (২০১৬) আঞ্চলিক বাছাইপর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন একবার এবং সর্বশেষ সাফ অ-১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে (২০১৭) একবার এছাড়া সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে একবার রৌপ্যপদক অর্জন (২০১৬), দু’বার সেমিফাইনালিস্ট (২০১০ ও ২০১৪); এসএ গেমস ফুটবলে দু’বার তাম্রপদক (২০১০ ও ২০১৬) অর্জন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। অথচ বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছেÑ এই সময়ের মধ্যে তো বটেই, সামগ্রিকভাবেই দেশে মহিলা ক্লাব ফুটবল লীগ অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র দু’বার। ২০১১ এবং ২০১৩ সালে। চার বছর ধরে লীগ হয়নি। বাফুফে সভাপতি সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন ২০১৮ সালে আবারও চালু হবে মহিলা ফুটবল লীগ। ইতোমধ্যেই একাধিক ক্লাব আগ্রহ প্রকাশ করেছে লীগে অংশ নিতে। এ নিয়ে দারুণ সাড়া পড়ে গেছে নারী ফুটবলারদের মাঝে। অ-১৫ দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা এবং ফরোয়ার্ড তহুরার অনুভূতি প্রায় একই রকম, ‘স্যাররা যা বলেছেন, তা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তো ভালই হবে। এতে করে আমরা আরও বেশি করে খেলতে পারব, ক্লাব থেকে অনেক টাকা পারিশ্রমিক পাব। এতে করে আমাদের পরিবারের অনেক উপকার হবে।’ দেশে মারিয়ার প্রিয় ফুটবলার সাবিনা খাতুন। সাবিনা কিন্তু দুটি মহিলা লীগই খেলেছেন। সেই সৌভাগ্য হয়নি মারিয়াদের। ওই দুটি লীগের প্রথমটিতে সাবিনা ছিলেন টপ গোল স্কোরার। খেলেছিলেন শেখ জামাল ধানম-ির (২৫ গোল) হয়ে। পরের লীগে এক গোল কম করে হয়েছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা (মোহামেডানের হয়ে ২৮ গোল)। সাবিনা বলেন, ‘আবারও ক্লাব লীগ চালু হয়ে মেয়েরা অনেক উপকৃত হবে। কারণ মেয়েদের বেশিরভাগই এসেছে নি¤œবিত্ত পরিবার থেকে। লীগ শুরু হলে ক্লাবের কাছ থেকে তারা যে টাকাটা পাবে, সেটা দিয়ে তারা রিজেদের পরিবারকে আরও ভালভাবে সাহায্য করতে পারবে।’ দেশের ফুটবলে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৪ গোল করার রেকর্ড রয়েছে এই গোলমেশিনের। ২০১৫ সালে মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাবের হয়ে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলে সাতক্ষীরার মেয়ে সাবিনা পরিণত হন বিদেশী-বিদেশী কোন ক্লাবের হয়ে খেলা প্রথম মহিলা বাংলাদেশী ফুটবলার। এরপরে একই দেশের আর্মি ক্লাবের হয়েও খেলেন তিনি।
×