ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এবার শীত মৌসুমে নাটোরে ৯ হাজার টন গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

এবার শীত মৌসুমে নাটোরে ৯ হাজার টন গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নাটোরে চলতি শীত মৌসুমে প্রায় ৯ হাজার টন খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছে কৃষি বিভাগ। এজন্য প্রায় সাড়ে ৪ লাখ খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ৭টি উপজেলায় মোট খেজুর গাছের সংখ্যা ৫ লাখ ২৯ হাজার ৭৩২টি। কিছু গাছ অপরিপক্ব এবং কিছু গাছ না কাটায় রস সংগ্রহের উপযোগী ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ১৮৬ লিটার রস ও গড়ে ২০ কেজি গুড় উৎপাদন হবে। এতে মোট ৮ হাজার ৮৭৫ টন গুড় উৎপাদিত হবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ন্যূনতম ৬০ টাকা কেজি হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার গুড়ের বাজার মূল্য প্রায় ৫৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, রস সংগ্রহের উপযোগী মোট ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭০টি গাছের মধ্যে অর্ধেকেরও অধিক- ২ লাখ ৯০ হাজার ৫০০টি গাছের অবস্থান লালপুর উপজেলায়। শুধু গাছের সংখ্যাই নয়, রস ও গুড় সংগ্রহের পরিমাণেও এ উপজেলা অনেকটাই অগ্রগামী। সিংড়া উপজেলায় গাছ প্রতি সর্বনিম্ন ১৪০ লিটার রস থেকে ২০ কেজি গুড় এবং গুরুদাসপুর উপজেলায় গাছ প্রতি ১৮০ লিটার রস থেকে সর্বনিম্ন ১৮ কেজি করে গুড় পাওয়া গেলেও লালপুরে গাছ প্রতি সর্বোচ্চ ২৫০ লিটার রস থেকে সর্বোচ্চ ২৫ কেজি করে গুড় পাওয়া যায়। গ্রামীণ জনপদের নবান্ন উৎসবের অপরিহার্য উপাদান খেজুরের রস আর গুড়। শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে এবার প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই খেজুর গাছ থেকে রস আহরণ করে গুড় তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সড়ক পথ, রেললাইনের দুই ধার, জমির আইল, বাড়ির আঙ্গিনাসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা খেজুর গাছ থেকে রস আহরণে বর্তমানে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছেন গাছিরা। একজন গাছি প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করতে পারেন এবং শীত মৌসুমের ১২০ দিনে একটি গাছ থেকে প্রায় অন্তত ২৫ কেজি গুড় পাওয়া যায় বলে জানান লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া এলাকার গাছি রমজান আলী।
×