ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন প্রকল্প চালুর পরও আমান ফিডের শেয়ারদর তলানিতে

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

নতুন প্রকল্প চালুর পরও আমান ফিডের শেয়ারদর তলানিতে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমান ফিড কোম্পানি নতুন প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণার পরই শেয়ারটির দরপতন হয়ে চলেছে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা এর শেয়ার কিনে হতাশার মধ্যে পড়েছে। নতুন আইপিও প্রকল্প চালুর পর কোম্পানিটির শেয়ার দরপতন প্রবণতায় থাকায় বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। তবে রবিবারে শেয়ারটির দর কিছুটা বেড়েছে। এই দিনে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২.৪০ টাকা। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতে আমান ফিডের শেয়ার দর ছিল ৮৭ টাকা। এরপর বছরজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭০-৮০ টাকার ঘরে লেনদেন হয়। নবেম্বরের শুরুতে কোম্পানিটির আইপিও প্রকল্পের উৎপাদনে আসার খবর বাজারে আসে। এরপর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ করা যায়। আইপিও প্রকল্পটি উৎপাদনের আসার আনুষ্ঠানিক খবর প্রকাশের পরদিন থেকে কোম্পানিটির শেয়ারে পতন প্রবণতা আরও বেড়ে হয়। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার এক-চতুর্থাংশ দর হারিয়ে বছরের সর্বনিম্ন দরে লেনদেন হচ্ছে। ডিএসই সূত্রে আরও জানা যায়, গত ২৮ নবেম্বর আমান ফিডের আইপিও প্রকল্প ‘আমান ফিড ফ্লোটিং ফিস প্ল্যান্ট’-এর উৎপাদন শুরু হয়। ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আইপিও প্রকল্পটি উৎপাদনের আসার পর শেয়ারবাজারে আমান ফিডের শেয়ার দর বাড়ার পরিবর্তে কমতে থাকে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার ৬৪ টাকার নিচে কেনাবেচা হচ্ছে। এক বছরের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন দর। এতে দেখা যায়, বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২৬ শতাংশের বেশি। জানা যায়, শেয়ারবাজারে আসার পর প্রতিবছর আমান ফিড উচ্চ আয় ও উচ্চ লভ্যাংশ বজায় রেখেছে। ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে আমান ফিড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয় ৪.৫৪ টাকা। আগের বছরও কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪.৪৮ টাকা। অর্থাৎ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল। এদিকে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৭) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১.৪৩ টাকা। আগের বছর একই সময়ে এর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.২৮ টাকা। আয়ে প্রবৃদ্ধি এসেছে ১১.৭১ শতাংশ। উল্লেখ্য, আমান গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান আমান কটন ফাইবার্স লিমিটেডের আইপিও অনুমোদন চূড়ান্ত পর্যা?য়ে রয়েছে। যেকোনো সময় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হবে বলে গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। জানা যায়, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আমান কটন ফাইবার্সের বিডিংয়ে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৪০ টাকায়। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ১০ শতাংশ বা ৪ টাকা কমিয়ে প্রতিটি শেয়ার ৩৬ টাকা দরে শেয়ারবাজারে ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি।
×