ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শত চেষ্টা করেও খালেদা জিয়ারা দেশকে আর পাকি ভাবধারায় ফেরাতে পারবেন না ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

শত চেষ্টা করেও খালেদা জিয়ারা দেশকে আর পাকি ভাবধারায় ফেরাতে পারবেন না ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শত চেষ্টা করলেও খালেদা জিয়ারা বাংলাদেশকে আর পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। এটা সম্ভব নয়, যতই চেষ্টা করুক। আর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হলেও নিজের দেশ নিয়ে গর্ব না করে দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। উনি (খালেদা জিয়া) বলছেন আমরা নাকি পাকিস্তানী কায়দায় দেশ চালাচ্ছি! তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তবুও এতো ইরেসপন্সিবল (দায়িত্ব জ্ঞানহীন)? সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির আয়োজনে স্বাধীনতার ৪৬ বছর উদ্যাপনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু দেশ নিয়ে তো আমরা গর্ব করব। পাকিস্তানের ধারায় আমরা দেশ চালাচ্ছি এমন কথা বেগম জিয়া কিভাবে বলেন? বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানী কায়দায় দেশ চালিয়ে পাকিস্তান থেকে এগিয়ে গেছি। আমরা পাকিস্তান থেকে এগিয়ে আছি শুধু পরমাণু অস্ত্র ছাড়া। পরমাণু বোমা ছাড়া আর্থসামাজিক সব সূচকে আমরা পাকিস্তানকে পিছনে ফেলেছি। তাদের আছে পরমাণু বোমা, ওটা আমাদের দরকার নেই। আমাদের পরমাণু বোমা আমাদের জনগণ, পরমাণু বোমা আজকের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত আমাদের তরুণ সমাজ। এরাই আজকে আমাদের পরমাণু বোমা। এই পরমাণু বোমারাই আজকে বাংলাদেশকে নব বিজয়ের দিকে পৌঁছে দিচ্ছে। তরুণদের উপর আমাদের অনেক আশা। আমাদের অনেক ভরসা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ ফখরুল সাহেব বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে! আসলে বানরে সঙ্গীত গায় শীলা জলে ভাসে- এই হল অবস্থা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা বিকৃত করেছে, তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করেছে- সেই অবস্থা থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সেই অবস্থা থেকে শেকড়ের ধারা, বাংলাদেশের জন্মের ধারায় ফিরিয়ে এনেছে।’ খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, পরাজিত পাকিস্তান বাংলাদেশের পেছনে লেগে আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যখন হয় তখন পাকিস্তান সরকার কি জঘন্য ভাষায় কথা বলেছে। তখন আপনি (খালেদা জিয়া) চুপচাপ, আপনার দল চুপচাপ। মির্জা ফখরুল সাহেব আপনার মুখে তখন কুলুপ ছিল, টু শব্দও আপনি করেন নি। আপনারা কেন নিরব ছিলেন? তাই যুদ্ধ হবে ৪৭ এর চেতনার সঙ্গে একাত্তরের চেতনার। ভাগ করে নিয়েছেন আপনারা দেশটাকে। থাকুন ওদিকে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খেলবেন না। তিনি বলেন, আমাদের ভুল হতে পারে কিন্তু আমরা চেতনা থেকে সরে যাইনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে কৌশল বদলানো মানে আদর্শের সঙ্গে কমপ্রোমাইজ নয় বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ই উদ্যাপন করে। এই বিজয় উৎসব উদ্যাপন করে উভয় দেশই গর্ববোধ করে। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য এদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী ৪ জানুয়ারি মহিপালে ছয় লেন ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা ফেনী থেকে জানান, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে দশটায় ফেনীর মহিপালে দেশের প্রথম ছয় লেন ফ্লাইওভার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। এ প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিভাগ নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। ফ্লাইওভারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সোমবার সকালে ফ্লাইওভারের উদ্বোধন কাজের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফেনী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ও মহিপালে একযোগে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। মহিপালের রিপলিকা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হবে। এ প্রকল্পে ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ৬৬০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ ফ্লাইওভারে ২৯০ মিটার র‌্যাম্প ও ১১টি স্পেন রয়েছে। ওপরে ৬ ও নিচে ৪ লেন সার্ভিসসহ মোট ১০ লেনে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এ সময় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল সিদ্দিক, ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল, ফেনীর জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার, ফেনী পৌর মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, ক্যাবল অপারেটর ডিজিকম (প্রাঃ) লিঃ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
×