ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফুজিমোরিকে পেরুর প্রেসিডেন্টের ক্ষমা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

ফুজিমোরিকে পেরুর প্রেসিডেন্টের ক্ষমা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

পেরুর প্রেসিডেন্ট পেড্রো পাবলো কুজিনস্কি বড়দিন উপলক্ষে গত রবিবার কারারুদ্ধ সাবেক স্বৈরাচারী শাসক আলবার্তো ফুজিমোরিকে ক্ষমা করার কথা ঘোষণা করেছেন। তার এই ঘোষণা দেশব্যাপী ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। ২৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ফুজিমোরি (৭৯) নানা ধরনের দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে কারাভোগ করে আসছিলেন। কিন্তু গত শনিবার রক্তচাপ অস্বাভাবিক হ্রাস ও হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে গেলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড জানায়, ফুজিমোরির স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতি ঘটেছে এবং কারাগারের পরিবেশ তার স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করবে। সংশ্লিষ্ট এক ডাক্তার জানান যে কারাগারের পরিবেশে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রেসিডেন্ট পেড্রো পাবলো কুজিনস্কি ফুজিমোরির প্রায় সমবয়সী, তিনি সহানুভূতির সঙ্গে তার দ-াদেশ মওকুফ করে বলেন, তিনি একজন বয়োবৃদ্ধকে এভাবে কারাগারে মরতে দিতে পারেন না। সেই সঙ্গে তিনি একথাও বলেন যে, তার এই পদক্ষেপকে ক্ষমা প্রদর্শনের চেয়ে মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করাই সমীচীন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পেড্রো পাবলো কুজিনস্কির (যাকে সবাই পিপিকে বলে সম্বোধন করে) এ উদার মনোভাব ও ক্ষমা ঘোষণাকে পেরুবাসীরা গভীর সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছে। কারণ ফুজিমোরির প্রতি পিপিকের ক্ষমা ঘোষণার দু’দিন আগে সে দেশের কংগ্রেসে দুর্নীতির জন্য তাকে অভিশংসন (ইমপিচমেন্ট) করার প্রস্তাব উত্থাপিত হলে প্রেসিডেন্টের পক্ষে ভোট দিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা থেকে বাঁচিয়ে দেন ফুজিমোরির পুত্র কেনজি। কেনজি কংগ্রেসে বিরোধী এক উপদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি যদি পিপিকের পক্ষে তার এই ভোট না দিতেন তবে এখন পেরুর প্রেসিডেন্ট পদে অন্য লোকের নাম ঘোষণা করা হতো। এর দু’দিন পরই যখন প্রেসিডেন্ট পেড্রো বড়দিন উপলক্ষে ফুজিমোরিকে ক্ষমা করে দিলেন- তখন সবাই এ ঘটনাকে গোপন রাজনৈতিক সমঝোতার বহির্প্রকাশ বলে নিশ্চিত হলো। -গার্ডিয়ান
×