ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

গত সপ্তাহে শরীয়তপুরের আকলিমার কোলের সন্তান আরাফাতের মৃত্যু হলো সদরঘাটে ছিনতাইয়ের ঘটনায়। আকলিমার কান্না আর দীর্ঘশ্বাসে ঢাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। চলতি মাসেই ছিনতাইয়ের জের হিসেবে মোহাম্মদপুরে মারা যান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ফরহাদ আলম। রিক্সায় যাওয়ার সময় দিনে দুপুরে ছিনতাইকারী তার ব্যাগ ধরে টান দিলে তিনি রিক্সা থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। কয়েকদিন পর তিনি মারা যান। আকলিমার ব্যাগ ধরে টান দেয়ায় তার কোলে থাকা ছয় মাসের শিশু রাস্তায় পড়ে মারা যায়। এ ধরনের মর্মান্তিক মৃত্যু মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি করে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে মানুষ। ছিরতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনকণ্ঠের সমাজ ভাবনার বিষয় হয়েছে ‘ছিনতাই।’ মানুষ শ্রম ও মেধা দিয়ে তার প্রাপ্য অর্জন করবে, আর রাস্তায় ওঁৎ পেতে থাকা লোকেরা সেসব ছিনিয়ে নেবে! এই ব্যাপার চলে আসছে যুগের পর যুগ ধরে, প্রতিটি দিন এই রাজধানীর বহু রাস্তায়। পরিস্থিতির উন্নতি হবে কী! বরং অবনতিই ঘটে চলেছে। আপনি থানায় যান ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে, হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে যাবেন। পুলিশ মামলা নেবে না। ছিনতাইয়ের মামলা তারা নিতে চায় না, চুরিটুরির অভিযোগ নথিবদ্ধ করে বটে। কিন্তু ছিনতাইয়ের মামলা নেয়ার ব্যাপারে তাদের ভীষণ অনিহা। পথচারীরাও আজকাল ছিনতাইকারীর পেছনে দৌড়ায় না। লাভ নেই কোন। ছুরিকাঘাতে কিংবা ককটেল বিস্ফোরণে আহত কিংবা নিহত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। সমকালীন একটি উপন্যাসে পড়েছিলাম, একেবারে ছিঁচকে দুটো ছিনতাইকারী অফিস ফেরত এক ভদ্রলোকের পথ আগলে তার কাছ থেকে বিশেষ কিছু না পেয়ে মজা করেই, বলা যায় খেলাচ্ছলেই পেটের গভীরে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। কত তুচ্ছ কারণে অপমৃত্যু। এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ এখন নগরবাসীর জীবন! আপনি বলবেন, এ তো উপন্যাসে হয়। আমি বলব, আসলে এসব বাস্তবেই হচ্ছে। এই রাজধানীতেই। কত রকম উপায়েই না ছিনতাই হচ্ছে। মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি এমন কত রকম পার্টি অভিধানে জায়গা করে নিচ্ছে। অস্ত্র ঠেকিয়েও চলছে ছিনতাই। এই যে মোটরসাইকেল নিয়ে একটা চেনা রাস্তায় সেদিন ছিনতাই হলো। এটি কি প্রথম হলো এই সড়কে? ওই দুই যুবকের কি প্রথম দিন ছিল ছিনিয়ে নেয়ার ‘পেশায়’? ছিনতাই অহরহই হচ্ছে। একই রাস্তায় হচ্ছে এবং নতুন নতুন লোক এই পেশায় যুক্ত হচ্ছে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের লিখতেও হয়ত বিরক্ত লাগে। মনে পড়ে ক’বছর আগে এক কবি শিশুপার্কের সামনের রাস্তায় ছিনতাইয়ের শিকার হলেন। ঘরে ফিরেই তিনি দেশকে গালাগালি করে ফেসবুকে পোস্ট দিলেন। কবি মহলের কেউ কেউ সহানুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি ওই কবিকে পরামর্শ দিলেন যত কিছুই হোক, মাতৃভূমিকে শাপসাপান্ত না করতে। একজন মানুষ কতটা ব্যথিত, ক্ষুব্ধ হলে অমনটা করেন! যা হোক, কবি তাতে আরও রেগে গেলেন। আসলে কবিদের কাজ অন্যের মনে মানবপ্রেম-দেশপ্রেম জাগানো, মানুষের প্রতি দেশের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি হয়, এমন কিছু করা নয়। তা দেশ যত রসাতলেই যাক না কেন। ফার্মগেট থেকে সোনারগাঁও হোটেল মোড় পর্যন্ত রাস্তার কোন না কোন অংশে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। এ সুযোগটা বেশি কাজে লাগায় ছিনতাইকারীরা। মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় পেছন থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়াটা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেদিন এক নাছোড়বান্দা বাসযাত্রীকে দেখলাম। সঙ্গে কিছু মালপত্র ছিল লোকটির। সেসবের দিকে ফিরেও তাকালেন না। মোবাইল ছিনতাই হওয়া মাত্রই বাস থেকে নেমে দৌড়ে পিছু নিলেন ছিনতাইকারীর। এভাবে কি ছিনতাইকারী ধরা যাবে! বরং নিজেই বিপদগ্রস্ত হতে পারেন আরও। ছিনতাই বন্ধ করা অসম্ভব নয়। পুলিশ কঠোর হলেই এটি অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে। টাকা-পয়সা আর অল্প কিছু সম্পদ ছিনতাইকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যদি ক্ষান্ত দিত তাহলে একটা কথা ছিল। তারা যে প্রাণ নিয়ে টানাটানি করে। সে কারণেই তারা ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক। সুতরাং তাদের থামাতেই হবে। সাধারণ মানুষের প্রতিরোধও যে এক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হয়ে ওঠে সেটা জেনেও আমরা উদ্যমহীন উদ্যোগহীন থাকি। আপন জানটা বাঁচাতে চাই। এই সংস্কৃতি থেকে আমরা কেন বেরুতে পারছি না? রাগেশ্রী দাসের কণ্ঠে রাগাশ্রয়ী গান রাগেশ্রী দাসের রাগাশ্রয়ী সঙ্গীত পরিবেশনার সুনাম শুনেছি। কয়েক মাস আগেও ঢাকায় এসেছিলেন কলকাতার এই গুণী শিল্পী। শোনার সৌভাগ্য হয়নি। এবারও মিস করব প্রায় নিশ্চিতই ছিলাম। কয়েক সপ্তাহের জন্য ক্রাচবন্দী হয়ে আছি। ঢাকার অসমান সড়কে হাঁটার জের টানছি। পা মচকে গোঁড়ালির হাড়ে এমন চোট পাওয়া নাকি অহরহ ঘটছে খেলোয়াড় আর এ্যাথলেটদের বেলায়। সে যাক, রাগেশ্রী এলেন আমার এলাকা উত্তরাতেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমাদের বন্ধু মঈনুল আহসান নান্নু ভাইয়ের বাসায় এক ঘরোয়া আসরে গান শোনালেন। শ্রোতা হিসেবে নিলে একেবারে কম হবে না। ওইদিন দুপুরবেলা চলে গেলেন বাংলা গানের এক শ্রদ্ধাজাগানিয়া গুণীজন জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। নিজের লেখা ও সুরে দারুণ সব গান গাইতেন তিনি। রাগপ্রধান সুরেই বেঁধেছেন নিজের গান বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। গানের কথাগুলো আধুনিক কবিতাধর্মী। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাগ্রেশ্রী দাস প্রথমে যে গানটি গাইলেন সেটি তার উজ্জ্বল উদাহরণ। কথাগুলো হলো : আমি ফুলকে যেদিন ধ’রে বেঁধে আমার সাজি ভ’রেছি আমি সেদিন থেকেই জেতা বাজি হেরেছি আমি ঝড়কে যেদিন সেধে সেধে আমার মাঝি ক’রেছি আমি সেদিন থেকেই জেতা বাজি হেরেছি গানের কথাগুলো সত্যিই ভিন্নধর্মী। জেতা বাজি হারার কথা আর কে লিখেছেন! তার একটি সহজ কথার গান অবশ্য তুমুল জনপ্রিয়তা পায়- বঁধুয়া আমার চোখে জল এনেছে হায় বিনা কারণে/ নীলাকাশ থেকে একি বাজ হেনেছে হায় বিনা কারণে। বলছিলাম রাগ্রেশ্রী দাসের পরিবেশনার কথা। গুণী সঙ্গীত পরিবারেই তার জন্ম। তাই সহজাতভাবে মাতৃভাষা শেখার সমান্তরালে শিশুকালেই শিখতে শুরু করেন সঙ্গীত। বানারস ঘরানার এই শিল্পী খেয়াল-ঠুমরি-ভজন-গজল সব ধরনের সঙ্গীতেই দক্ষ। শোনোলেন ছোট করে কিছু। উস্তাদ রশীদ খাঁর ‘ইয়াদ পিয়া কি আঁয়ে’ গানটি খুবই বিখ্যাত। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে বড় ধরনের দখল না থাকলে এই গান সঠিক মাত্রায় পরিবেশন অসম্ভব। রাগ্রেশ্রী অবলীলায়, যেন অনায়াস ভঙ্গিতে গানটি শোনালেন। ‘আসি বলে কেন এলে না’, ‘কেয়া কারু সাজনি আয়ে না বালাম’, ‘যমুনা কি বলতে পারে কতবার কেঁদেছে রাধা, ‘একহি বাসতু মুঝে’Ñ মজলিশি সব গান শোনালেন রাগ্রেশ্রী। বেগম আখতারের ‘চুপি চুপি চলে না গিয়ে’ এবং ‘জোছনা করেছে আড়ি’ গান দুটোও শেষে গাইলেন দর্শক-শ্রোতার অনুরোধে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়া একজন শিল্পী সুর-তাল-লয় ঠিক রেখে সঙ্গীত পরিবেশন করবেনÑ এটা স্বাভাবিক। কিন্তু কণ্ঠের যে মিষ্টতা সেটি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধনার ফল নয়। বারবার শুনতে চাইব তার গান। রাগ্রেশ্রী নিজের পূর্ব পুরুষের কথা বলতে গিয়ে জানালেন, তারা ছিলেন বরিশালের মানুষ। তাই তার নাড়ির টান এই বাংলাদেশেই। বড়দিনের আয়োজন ঢাকা শহরসহ দেশের অন্যান্য জেলায় খ্রীস্টান সম্প্রদায় বড়দিনকে সামনে রেখে ত্রাণকর্তা যিশুকে স্বাগত জানানোর জন্য নানান আয়োজন ও কর্মসূচী গ্রহণ করে। ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চগুলোতে সপ্তাহ জুড়েই চলছে নানান অনুষ্ঠান। খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিন, মেরি ক্রিসমাস। এই কলাম লিখছি যেদিন তার পরদিন পঁচিশে ডিসেম্বর শুভ বড়দিন; এদিন দিনভর প্রার্থনা, আর আনন্দ আয়োজন চলবে। ইউরোপে বড়দিনের তিন মাস আগে থেকেই উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। ঢাকায় ডিসেম্বর মাস না আসা পর্যন্ত ঠিক উৎসবের আমেজ আসে না। গির্জা কর্তৃপক্ষ এবং খ্রীস্টান বিভিন্ন যুব সংগঠনের উদ্যোগে সন্ধ্যায় বড়দিনের কীর্তন আয়োজন করা হয়। শিশু থেকে শুরু করে বদ্ধ-বৃদ্ধারা শীতকে অগ্রাহ্য করে শহরময় বাড়ি বাড়ি ঘুরে নেচে গেয়ে কীর্তন পরিবেশন করে বড়দিনকে স্বাগত জানান। ঢাকার সবচেয়ে বড় খ্রীস্টান কমিউনিটি মিরপুর এলাকায়। বিগত দুই দশক ধরে মিরপুর আন্তঃমাণ্ডলিক বড়দিন উদযাপন কমিটি ২৫ ডিসেম্বরের আগে বিশেষ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। কেকা অধিকারী ছেলেবেলার বড়দিন নিয়ে বললেন এভাবে : ‘শৈশবে আমরা থাকতাম কলা বাগানে। সব মুসলিম আর দু’ঘর হিন্দু প্রতিবেশীর মধ্যে আমরাই ছিলাম একমাত্র খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী পরিবার। পড়তাম লেক সার্কাস স্কুলে। একটা সময় ছিল যখন ক্লাসে তো বটে, পুরো স্কুলেও একমাত্র খ্রীস্টান ছাত্রী ছিলাম আমি। ২৫ ডিসেম্বর কাছে এলেই বন্ধুরা বলতে আরম্ভ করত, ‘বড়দিনে তোরা কি করিস?’ ‘এবার বড়দিন কোথায় করবি?’ আমাদের গির্জায় নিয়ে যাবি? বড়দিন দেখব।’ বড়দিন ও খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে এ বছর যে সব অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে আমার অনুরোধে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা পাঠিয়েছেন আমাদের বন্ধু কেকা অধিকারী। তার ভেতর রয়েছে - নগর সংকীর্তণ : ঢাকা শহরের সবগুলো চার্চেই কীর্তণ করা হয়েছে। উপাসনাগৃহ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত প্রাক-বড়দিন উৎসবে বিশেষভাবে গাওয়া হয় এই সংকীর্তণ। নানা বয়সী মানুষ আনন্দের সঙ্গে নেচে গেয়ে উল্লাস করে গেয়েছেন এ গান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাওয়া হয়েছে, ‘তোরা যাবি চল, দায়ুদনগর প্রেমে টলমল’, ‘ধর লও রে ঈশ্বরের প্রেম, যিশু ডাকেন আয়’, ‘বল জগতে আনন্দ সমাচার, হবে হবে রে পাপীর উদ্ধার।’ প্রাক-বড়দিন উৎসব ও বড়দিনের পুণর্মিলনী : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অফিস ও সংগঠনে গত এক সপ্তাহ থেকে আয়োজিত হচ্ছে প্রাক-বড়দিন উৎসব। ছুটিতে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে বড়দিন উদযাপন করতে যান। ফলে এক সঙ্গে বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নেয়া যায় না। তাই বড়দিনের আনন্দ সকল সহকর্মী, সাংগঠনিক বন্ধু, প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করার জন্য আয়োজন করা হয় প্রাক-বড়দিন উৎসব। বলাবাহুল্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়ে থাকে ফিবছর। ঢাকায় আরেকটি বইঘর আজিজ সুপার মার্কেট শাহবাগের বইপাড়া হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিল। বইয়ের ব্যবসায় মার খাওয়ায় ওই মার্কেটের অনেকেই দোকান ছেড়ে দেন। পরে দেশীয় ডিজাইনে দেশী কাপড়ে তৈরি বিচিত্র পোশাকের বাজার হয়ে ওঠে মার্কেটটি। অবশ্য পরে কাছাকাছি কাঁটাবনে কনকর্ড টাওয়ারের ভূতলে গড়ে ওঠে আরেকটি বইয়ের বাজার। তবে সুবিশাল পরিসরে বই বিক্রয় কেন্দ্রের সঙ্কটই রয়েছে ঢাকায়। এর ভেতর শান্তিনগরে পিবিএস, শাহবাগে পাঠক সমাবেশ, এলিফ্যান্ট রোডে দীপনপুর, মিরপুর রোডে পূর্ব-পশ্চিম, ধানম-িতে বেঙ্গল বই পাঠকদের পছন্দের স্থান। সামনের শুক্রবার বাংলামোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের বই বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ‘বাতিঘর’। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর মনন গঠনের জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। আর সেজন্যে চাই পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র, দীপনপুর, বাতিঘরের মতো বই বিক্রয় কেন্দ্র। বাতিঘরের দীপঙ্কর দাস বললেন, প্রথম দিন থেকেই এই নতুন বই কেন্দ্রে থাকছে দেশী-বিদেশী লক্ষাধিক বই। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ [email protected]
×