ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনীতি সমিতির তিন দিনের আলোচনা

দারিদ্র্য বিমোচন ও ধন বৈষম্য নিরসনে আরও কার্যকর পরিকল্পনা চাই

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

দারিদ্র্য বিমোচন ও ধন বৈষম্য নিরসনে আরও কার্যকর পরিকল্পনা চাই

এম শাহজাহান ॥ ‘মানুষের জন্য অর্থনীতি’ প্রতিষ্ঠায় বিকেন্দ্রায়িত উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধের সমতা এবং অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের দর্শন সমুন্নত রেখে অর্থনীতি শাস্ত্রের চর্চা-অনুশীলন বিস্তারে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপও করা হয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির তিনদিনের আলোচনায়। যার মূল সুর হচ্ছে ‘মানুষের জন্য অর্থনীতি’। এই দর্শনকে ভিত্তি হিসেবে ধারণ করে তা জনকল্যাণকামী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ কারণে তাত্ত্বিক গ-ির বাইরে এসে অর্থনীতি চর্চাকে মানুষের প্রকৃত উন্নয়নের কাজে লাগানোর জন্য একটি সুদৃঢ় এবং সুসংহত প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিগত দিনে অর্থনীতিতে অনেক অর্জন আছে কিন্তু এখনও তা কাক্সিক্ষত মাত্রায় হয়নি। এক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। এছাড়া তিনদিনের আলোচনায় অর্থশাস্ত্রের সঙ্গে নৈতিকতা যুক্ত করার মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন ও ধন বৈষম্য নিরসনে আরও কার্যকর নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জমির মালিকানা, মূলধন ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদের অসম বণ্টনের কারণে প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতিতে সবার সমানভাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নিশ্চিত করা যায়নি। এবারের তিনদিনের আলোচনায় উঠে আসে দেশের ব্যাংকিং খাত। এ খাতের দুর্নীতি নিরসনে ব্যাপক সংস্কারের ওপরও তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা আরও বলছেন, বাংলাদেশের কৃষির বৈচিত্র্যায়ন, দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন, খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্য হ্রাস, ক্ষুধা নিরসন এবং গ্রামীণ আয় বৃদ্ধি, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। এবারের তিনদিনের আলোচনায় খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে রাজনীতিবিদরাও অংশ নিয়েছেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, ড. কাজী খলীকুজ্জমান, ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. এমএ সাত্তার ম-ল, ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক স্বপন আদনান, অধ্যাপক ড. হায়দার আলী খান, অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, অধ্যাপক ড. মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খান, ড. বিশ্বাস শাহিন আহমেদ, অধ্যাপক সালমা খান, অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম তালুকদার, ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, ড. মোস্তফা কামাল মজুরী ও ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২০তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অধ্যাপক রেহমান সোবহান তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতার সঙ্কট চলছে। এই সঙ্কটের পুরোটাই খেলাপী ঋণকে ঘিরে। অধিকাংশ ঋণগ্রহীতা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ না করার কৌশল জেনে গেছেন। ফলে খেলাপী ঋণ পুনঃতফসিল করার ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। এটি আর্থিক খাতের প্রতিযোগিতা, সক্ষমতা ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ জন্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় রাজনীতিকরণ ও নিয়ন্ত্রকের ব্যর্থতাই দায়ী। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়নে বর্তমানে ১২টি সুনির্দিষ্ট নৈতিক বিষয় জলাঞ্জলি দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জমির মালিকানা, মূলধন ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদের অসম বণ্টনের কারণে প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতিতে সবার সমানভাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নিশ্চিত করা যায়নি। রেহমান সোবহান বলেন, ব্যাংকঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য চলছে। ব্যাংকার, ব্যাংক মালিক বা রাজনৈতিক সংযোগ থাকলেই ঋণ পাওয়ায় বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, খেলাপী ঋণের সমস্যাটি আশির দশকে জিয়াউর রহমানের শাসন আমলের শেষ বছর থেকে শুরু হয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। শেয়ারবাজারকে ক্যাসিনোর (জুয়ার টেবিল) সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। রাজনীতিকে শক্তির উৎস হিসেবে উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, রাজনীতিতেও সবার অংশগ্রহণ নেই। ধনী লোকজন রাজনীতিকে কুক্ষিগত কর রেখেছে। এটি গুরুতর সমস্যা। কারণ, গুটিকয় ব্যক্তি রাজনীতিকে ব্যবহার করে সম্পদ বাড়িয়ে নিচ্ছেন। গণতন্ত্রকে গণতান্ত্রিক করতে নীতিনির্ধারকরা ব্যর্থ হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতিকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, সরকারের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অসমতা আছে। এটি গভীরভাবে নৈতিকতার সমস্যা। রাষ্ট্রের চোখে সবাই সমান হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি হচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু জায়গার সেবা পেতে জনগণকে পয়সাও দিতে হচ্ছে। রেহমান সোবহান বলেন, কেবল অসম নীতির কারণে মানসম্মত শিক্ষা সবার জন্য নিশ্চিত করা যায়নি। এটি অনৈতিক। যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কেবল ব্যয়বহুল শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সমানভাবে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবাও দেয়া যায়নি। আপনাকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিতে গেলে টাকা দিতে হবে। স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অর্থশাস্ত্রের সঙ্গে নৈতিকতা যুক্ত করার মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য নিরসনে আরও কার্যকর নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ সম্ভব। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের জন্য কাঠামোগত সমস্যা চিহ্নিত করে তা দূর করার পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সক্ষমতা তৈরি ও সুযোগের সমন্বয়। অর্থায়ন, নিম্নতম মজুরির মতো বিষয় পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। বর্তমান সময়ের অর্থনীতি শিক্ষাকে নীতিহীন ও জনকল্যাণবিমুখ বলে অভিহিত করেছেন অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত। তার মতে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যে অর্থনীতি পড়ানো হচ্ছে, তা শুধু স্যুট-বুট পরা কেরানি তৈরি করছে। তাই দর্শন ও নৈতিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বর্তমান অর্থনীতি শাস্ত্রের পাঠ্যক্রমে বড় ধরনের সংস্কার আনার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। তার মতে, অর্থনীতি শাস্ত্র ৫০০ বছর ধরে যেভাবে এগিয়েছে তা থেকে এটা স্পষ্ট যে এ শাস্ত্র জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে অথবা এ শাস্ত্র জনকল্যাণের কথা ভাবেনি। তিনি বলেন, অর্থনীতি শাস্ত্রে এখন তিনটি বড় ধরনের ব্যর্থতা রয়েছে। এগুলো হলো বুদ্ধিবৃত্তিক, নীতি-নৈতিকতা ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা। বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, পুঁজিবাদী বাজারব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেই নিজেকে সংশোধন করে নেয়, এই চিন্তাধারাই অর্থনীতির সবচেয়ে বড় বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যর্থতা। নীতি-নৈতিকতার ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় অর্থনীতি সমিতির নবনির্বাচিত এই সভাপতি বলেন, আমরা শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্যই প্রবৃদ্ধি পূজা করেছি, ভাল জীবনের জন্য নয়। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ফলপ্রদ বাজারতত্ত্বে বিশ্বাসী। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠান মনে করে, অর্থবাজারকে তেমন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন নেই। এছাড়া অধিবেশনের প্রবন্ধে বলা হয়, অর্থনীতিতে যারা উচ্চতর সনদ অর্জন করছেন তাদের এখন চাণক্য, এ্যারিস্টটল, এ্যাডাম স্মিথ, কার্ল মার্ক্স জানার প্রয়োজন যেমন পড়ে না; একইভাবে তাদের এখন মানুষ, সমাজ, ইতিহাস, রাজনীতির বিবর্তন ও বৈশিষ্ট্য না জানলেও চলে। দর্শন ও নৈতিকতা থেকে অর্থনীতি শাস্ত্রের এখন স্থায়ী বিচ্ছেদ ঘটেছে। সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা-প্রশাখার মতো অর্থনীতি এখন খ-িত। চাহিদা-সরবরাহের চিরাচরিত বিধি ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত গাণিতিক মডেলের বাইরে ছাত্রদের বেশি কিছু না জানলেও চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অর্থনীতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু সংস্কারের প্রস্তাবও তুলে ধরা হয় প্রবন্ধে। সেখানে বলা হয়েছে, সামষ্টিক ও ব্যষ্টিক অর্থনীতির জ্ঞানের সঙ্গে স্নাতক পর্যায়ে দর্শন, ইতিহাস, গণিত, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান ও রাজনীতি নিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্কুলের সঙ্গে অর্থনীতি শাস্ত্রের ছাত্রদের সম্পৃক্ত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনে সমস্যা দুটো। একটা হলো সে কীভাবে বাঁচবে, আরেকটা বাঁচার জন্য কী করতে হবে। পুঁজিবাদের বিকল্প সাম্যবাদ সাধারণ মানুষকে তেমন কিছু দিতে পারেনি। সাম্যবাদের দর্শন যদি এতই আকর্ষণীয় হয় তাহলে রাশিয়া ও চীন শুধু রাজনীতির জন্য সাম্যবাদ, আর অর্থনীতির জন্য বাজার ব্যবস্থার কাছে যেত না। অর্থনীতি শাস্ত্রকে অবশ্যই নৃতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞানসহ সব বিষয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেই অগ্রসর হতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এ স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না, এটা এখন বহুল আলোচিত। জনগণের অর্থের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে ব্যাংকিং সেবা প্রদান ব্যাহত হবে। ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, ব্যাংকে এক পরিবার থেকে চার পরিচালক ও একাধিক মেয়াদ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দেশে ব্যাংক বেশি হয়ে পড়েছে, এখনই একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির টাকা ফেরাতে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া হয়নি, এ কারণে অর্থ উদ্ধার হচ্ছে না। বিপর্যস্ত অর্থনীতি শাস্ত্র; বিপর্যয় কোথায় ও কী করা প্রবন্ধে আবুল বারকাত যা বলছেন তা হলো- বৈশ্বিক মহাবিপর্যয় রোধে অর্থশাস্ত্র ॥ মহা বিপর্যয় থেকে মানব সমাজকে মুক্তি দিতে সা¤্রাজ্যবাদের আধিপত্য ও বিশ্ব কব্জাকরণ প্রক্রিয়া থেকে অর্থনীতি শাস্ত্রকে বেরিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে পুঁজিবাদের ইতিহাসের অবসান ত্বরান্বয়নে অনেকের সঙ্গে অর্থনীতি শাস্ত্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। অর্থনীতিশাস্ত্রকে শাস্ত্রীয় দর্শনের মহাদারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পর্বের জন্য প্রস্তাব ॥ অর্থনীতি নীতিশাস্ত্র; প্রকৃত বিজ্ঞান নয়, অর্থনীতিশাস্ত্র নীতিশাস্ত্রীয় বিজ্ঞান। আর তাই অর্থনীতিবিদদের যথাযোগ্য মাত্রায় জানতে হবে দর্শন, ইতিহাস, গণিত, রাষ্ট্রনীতি, মানুষের চিন্তা এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। সমাজের জন্য উপযোগী অর্থনীতিবিদ হওয়ার জন্য এ স্তরে যেসব বিষয়ে জ্ঞানার্জন অত্যাবশ্যক তা হলো দর্শন, নীতিদর্শন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস, অর্থনীতি চিন্তার ইতিহাস, সমাজ বিজ্ঞান এবং রাজনীতি। সর্বোপরি, সমগ্র অর্থনীতি শাস্ত্রকে শাস্ত্রীয় দর্শনের দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে হবে। আর অন্যদিকে আনুষ্ঠানিক ডিগ্রী অর্জনের পঠন-পাঠন পদ্ধতিরও পুনর্গঠন করতে হবে। কারণ সমাজ ও প্রকৃতি যেখানে স্থির নয় গতিময় সেখানে সামাজিক বিজ্ঞানের অন্তর্গত কোন শাস্ত্রও স্থির হতে পারে না। তাকে গতিময় হতেই হবে।
×