ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এমপির ছেলে ও এপিএস পরিচয়ে জাপান গেছেন চারজন

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

এমপির ছেলে ও এপিএস পরিচয়ে জাপান গেছেন চারজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নজিরবিহীন জালিয়াতির মাধ্যমে সংসদ সদস্যের ছেলে ও এপিএস পরিচয়ে জাপান গেছেন ৪ জন। একইভাবে আরও ৪ জন জাপানের ভিসা সংগ্রহ করেছে। তারা যে কোন মুহূর্তে দেশ ছাড়তে পারেন। একটি বেসরকারী টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর রাত দুটোয় শাহজালাল এয়ারপোর্ট দিয়ে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে জাপানে রওনা হন সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী। তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে জাপান গেছেন, তার ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয়ে তানভীর হোসেন মিয়া, চট্টগ্রামের সাংসদ মাহফুজুর রহমানের ছেলে পরিচয়ে মাহিন রহমান ও তার এপিএস পরিচয়ে বিদ্যুত মল্লিক। তবে মাহফুজুর রহমান বলেছেন, জালিয়াতি চক্র তার অজান্তেই হয়ত এমনটি করে থাকতে পারে। একইভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে বরিশাল-৩ আসনের সাংসদ টিপু সুলতানের ছেলে পরিচয়ে ভিসা পেয়েছেন, নুরনবী সুলতান ও এপিএস পরিচয়ে নাহিদ। তবে টিপু সুলতান জানিয়েছেন, তার কোন ছেলে সন্তানই নেই। কাজেই এটা জালিয়াতি করেই কেউ করেছে। জালিয়াতির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, ভোলার সংসদ সদস্য আলী আজমের ছেলে পরিচয়ে রায়হান আজম, চট্টগ্রামের মুস্তাফিজুর রহমানের ছেলে পরিচয়ে জাহিদুর রহমান, ময়মনসিংহের সাংসদ আনোয়ার আবেদীন খানের ছেলে পরিচয়ে আয়মান আবেদীন খান, কক্সবাজারের সাংসদ আশিক উল্লাহ রফিকের ছেলে পরিচয়ে আরাফাত উল্লাহ ছানী। জানা গেছে, তানভীর হোসেন মিয়া নামের এক ব্যক্তি আরও ক’জন সংসদ সদস্যকে বিনা খরচে বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব দিয়েছেন। বিনিময়ে তাদেরর সঙ্গে এপিএস পরিচয়ে একজনকে নিতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে পাসপোর্ট, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইমিগ্রেশনের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সহযোগিতায় এ ধরনের অবিশ্বাস্য জালিয়াতি সংঘটিত হয়েছে। এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান বলেছেন, ইতোমধ্যে এ অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারা কিভাবে এ জালিয়াতি ঘটিয়েছে তদন্তে ওঠে আসবে। এত বড় জালিয়াতিতে পররাষ্ট্র বিভাগের বহির্গমন কনসুলার মাসুদ পারভেজ ও তরিকুল ইসলামের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
×