ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতের অবদান বাড়াতে বড় প্রকল্প গ্রহণ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতের অবদান বাড়াতে বড় প্রকল্প গ্রহণ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ জানিয়েছেন, জাতীয় অর্থনীতিতে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতের অবদান বাড়াতে বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি: গতিশীল উপাদানগুলোর একীভূতকরণ এবং আইএসআইএসসির ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। জাতীয় পর্যায়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতে দক্ষতা উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা (আইএলও) এবং ইনফরমাল সেক্টর ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিল (এনএসডিসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় শিল্প সচিব বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন শিল্প খাতের আওতাভুক্ত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিরূপণ করে খাতভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও শোভন কর্মপরিবেশ উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। এর ফলে শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ব্যাপক হারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং দক্ষ জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ শক্তিশালী হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লাখ তরুণ চাকরিবাজারে প্রবেশ করছে। সরকারী খাতে এককভাবে এত লোকের কর্মসংস্থান সম্ভব নয়। সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণের মাধমে তাদের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৬ ভাগ শ্রমজীবী, এ তথ্য উল্লেখ করে সচিব বলেন, এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে কারিগরি প্রশিক্ষণের আওতায় এনে কর্মের হাতিয়ারে পরিণত করতে হবে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমপক্ষে তিন গুণ বেড়ে যাবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির ৮৭ ভাগ অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতে কর্মরত। এ বিশাল শ্রমশক্তির জন্য প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, শোভন কর্মপরিবেশ, চাকরির স্থায়িত্ব ও আইনগত স্বীকৃতির সুযোগ খুবই সীমিত। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান সঠিকভাবে বিবেচনা করা হয় না। তাদের জন্য খাতভিত্তিক উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের, ২০৩০ সাল নাগাদ এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৩ হাজার ১৬৩টি প্রতিষ্ঠান দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে উল্লেখ করে এসব প্রতিষ্ঠানের গুণগত মানোন্নয়নের তাগিদ দেন বক্তারা। ইনফরমাল সেক্টর ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মির্জা নূরুল গণি শোভনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পৃথকভাবে দুটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএসআইএসসির সদস্য সচিব মাহাবুবুল ইসলাম এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার তানজিল আহসান। কর্মশালায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়নের পরিষদ (এনএসডিসি) সচিবালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খোরশেদ আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম, আইএলওর কারীগরি পরামর্শক হাল সনিজী, সুইস কন্ট্রাকের টিম লিডার মতিউর রহমান, ইউসেপ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাহিসনাহ্ আহমেদ আলোচনায় অংশ নেন।
×