স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক স্থপতি তসলিম উদ্দিন চৌধুরী’র শোক সভায় বক্তারা বলেন, তিনি শুধু একজন সম্পাদকই ছিলেন না, ছিলেন নানা গুণের অধিকারী অনন্য এক ব্যক্তিত্ব। জীবনকে কীভাবে গঠন করতে হয়, কীভাবে চলতে হয়, মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার সূক্ষ্মবোধগুলো ছিল তার মধ্যে প্রবল। একজন স্পষ্টভাষী সম্পাদকের পাশাাপশি তিনি ছিলেন একজন শিল্পীও। আমৃত্যু তিনি সুন্দর ও জ্ঞানের সাধনা করে গেছেন। বুয়েট থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় পাশ করেও তিনি সংবাদপত্র ও সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে তিনি দৈনিক পূর্বকোণকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এবং আধুনিক সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। শুধু তার সম্পাদিত পত্রিকা নয়, চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সাংবাদিকদের মনে আলাদা স্থান করে নিতে সক্ষম হন তিনি।
শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় বক্তারা আরও বলেন, তসলিম উদ্দিন চৌধুরী হচ্ছে একটি সংগ্রামের নাম। তার মাঝে কোন ক্লান্তি ছিল না। তিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করেছেন। অসম্ভব মেধাবী একজন মানুষ। বুয়েট থেকে পাশ করা একজন ব্যক্তি সাংবাদিকতায় এলেন। এটা সাংবাদিকদের জন্য বিরাট পাওনা। তিনি শুধু একজন সম্পাদকই ছিলেন না, তিনি সম্পাদক পদকে ছাপিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পেরেছিলেন তার কাজের মধ্য দিয়ে।
শোকসভায় তসলিম উদ্দিন চৌধুরীর ছোটভাই ও দৈনিক পূর্বকোণের নির্বাহী সম্পাদক ডাঃ ম. রমিজ উদ্দীন চৌধুরী এই শোকসভা আয়োজনের জন্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, তসলিম উদ্দিন চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে তানিতা চৌধুরী, পুত্র তৌকির চৌধুরী, জামাতা শাহেদ চৌধুরী, সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুর, মঈন উদ্দিন কাদেরী শওকত, এম নাসিরুল হক, মোস্তাক আহমেদ, ওমর কায়সার, নাজিমুদ্দিন শ্যামল, মহসিন চৌধুরী, দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, মোঃ মোরশেদ আলম, জাহিদুল করিম কচি, ড. সৈয়দ আবদুল ওয়াজেদ, ইস্কান্দার আলী চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে তসলিম উদ্দিন চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।