ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

প্রশান্তির পরশে জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত উৎসবের সমাপ্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রশান্তির পরশে জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত উৎসবের সমাপ্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গোটা বিশ্ব যখন অশান্ত তখন আপন সৃষ্টিতে শান্তির বার্তার হাজির হন রবীন্দ্রনাথ। শুধু তাই নয়, আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে আনন্দ কিংবা বেদনায় প্রশান্তি ও অনুপ্রেরণা সহজাতভাবেই সঙ্গী হয়ে ওঠেন বিশ্বকবি। বাঙালীর এই প্রিয় কবির গারে সুরে সুরে সংস্কৃতির লড়াইকে বেগবান করার প্রত্যয়ে ২৯তম জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা। শনিবার ছিল প্রশান্তির পরশ ছড়ানো চার দিনের এ উৎসবের শেষ দিন। সমাপনী দিনেও ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অর্ধশতাধিক শিল্পী পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসঙ্গীত। বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রাবণী সেনের একক পরিবেশনা। এ ছাড়া ছিলেন কলকাতা থেকে আগত অপর দুই শিল্পী সুদেষ্ণা স্যানাল রুদ্র ও বিশ্বরূপ রুদ্রেরও পরিবেশনা। সমাপনী সন্ধ্যায় স্বদেশের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করে সবাই মিলে গাইলেন কবিগুরুর সেই অমর সঙ্গীত। সমবেত কণ্ঠে শিল্পীরা গেয়েছেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।’ এ সময় শিল্পীদের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে দেশের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করেছেন শ্রোতারাও। জাতীয় সঙ্গীতের পর শিল্পীরা পরপর পরিবেশন করেন ‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া’ ও ‘সবারে করি আহ্বান/এসো উৎসুকচিত্ত, এসো আনন্দিত প্রাণ’। একক কণ্ঠে গোলাম হায়দার গেয়ে শোনান ‘না বলে যায় পাছে’ তপন সরকার ‘চক্ষে আমার তৃষ্ণা’, মাহজাবিন মৈত্রী ‘তোমায় গান শোনাবো’, পূরবী ‘তুমি হঠাৎ হাওয়ায়’, মামুন জাহিদ ‘ওগো আমার চির অচেনা’, অনিন্দিতা রায় ‘যখন এসেছিলে অন্ধকারে’, শাহনাজ রুমানা ‘আজি নাহি নাহি নিদ্রাপাতে’, রাবিতা সারাহ ‘সেই ভালো সেই ভালো’, রিতা মুসা ‘ধায় যেন মোর সকল’, অভীক দেব ‘মুখখানি করো মলিন’। এ ছাড়া আরও গান পরিবেশন করেন অনুপম কুমার, আশিক, নিলুফার সাকী, জিয়া, তনুশ্রী দীপকসহ। সমাপনী বক্তৃতায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান সংস্থার সভাপতি তপন মাহমুদ। এ সময় সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আকবর উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সালমা আকবর ও পীযুষ বড়য়া। উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘তোমার গানের পদ্মবনে আবার ডাকো নিমন্ত্রণে/ তরি গোপন সুধাকণা আবার করাও পান,/ তারি রেণুর তিলক লেখা আমায় করো দান’। চারদিনের এ উৎসব উৎসর্গ করা হয় সদ্যপ্রয়াত মেয়র আনিসুল হক, নায়করাজ রাজ্জাক, সংগীতজ্ঞ সুধীন দাশ, অধ্যাপক-গবেষক করুণাময় গোস্বামী, শিল্পী আবদুল জব্বার, আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফ, কণ্ঠশিল্পী বারী সিদ্দিকী, শিল্পী লাকী আখন্দ, অভিনেতা নাজমুল হুদা বাচ্চু, নৃত্যজন রাহিজা খানম ঝুনুকে। ‘কম চেনা বড় মানুষ’ ॥ কবি আবদুল কাদির সবার কাছে খুব একটা পরিচিত নাম নয়। তাই তো জাতীয় কবির সৃষ্টিকর্ম রক্ষাকারী এই কবিকে নিয়ে নেই তেমন কোন প্রচারণা বা আনুষ্ঠানিকতা। ১৯৪২ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন অসুস্থ, তখন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অস্থির সময়। একদিকে দেশভাগের ব্যস্ততা, অন্যদিকে দূর্ভিক্ষ, জাতিগত দাঙ্গা; এতসব ডামাডোলের মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছিল নজরুলের সৃষ্টিকর্ম। সেগুলোকে এক করে কবি আবদুল কাদির শুরু করেন নজরুল রচনাবলীর সম্পাদনার কাজ। তারও আগে তার কাব্যগ্রন্থ ‘দিলরুবা’ নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা কাব্যে ছন্দের ব্যবহারেও তিনি ছিলেন অনন্য। এতসব কৃতিত্বে পরও কবি আবদুল কাদির অচেনা হয়েই রয়েছে বাংলা সাহিত্যে। আর সেজন্যই তাকে নিয়ে সাহিত্য পত্রিকা ‘কালের ধ্বনি’র বিশেষ সংখ্যার পাঠ উন্মোচন ও মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, বাংলা সাহিত্যে অবদানের কথা পাদপ্রদীপের আলোকে আসেনি। তিনি আসলেই ‘কম চেনা বড় মানুষ’। কবি আবদুল কাদিরের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কালের ধ্বনি শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে আয়োজন করে স্মরণসভা ও ‘কম চেনা বড়ো মানুষ’র পাঠ উন্মোচনের। নজরুল গবেষক এমিরেটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই স্মরণসভায় আলোচনা করেন এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক হাবিব আর রহমান, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান ও প্রাবন্ধিক মামুন সিদ্দিকী। আরও বক্তব্য রাখেন কবির মেয়ে অধ্যাপক রোকসানা কাদির ও কালের ধ্বনি সম্পাদক ইমরান মাহফুজ। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে তার জ্ঞানের কোন সীমা ছিল না। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলী সংগ্রহ ও সম্পাদনা কবি আবদুল কাদিরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরবর্তীকালে নজরুল রচনাবলী ও জীবনী প্রকাশের ক্ষেত্রে আবদুল কাদিরের কাজ মূল তথ্য ভা-ার হিসেবে কাজ করেছে। আবদুল কাদির আধুনিক ও প্রচলিত কাব্যধারার মাঝামাঝি জায়গায় ছিলেন। বাংলা কবিতার ছন্দের বিচারে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। নিজের বক্তব্যে উন্মোচিত সংকলন ‘কম চেনা বড়ো মানুষ’র নানা ত্রুটি নিয়ে আলোকপাত করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, সংকলনটিতে ঔদাসিন্য ও অবহেলাজনিত প্রচুর ভুল রয়েছে। সেটির মাত্রা এতই যে এটি মূল্য হারিয়েছে। তবে আবদুল কাদির সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ ও তার চিঠিপত্রের সংকলন- মূল্যবান কাজ। কিন্তু আবদুল কাদিরকে শুধু কবিতায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে, তার প্রবন্ধ ও সাহিত্য সমালোচনা প্রসঙ্গে কোন প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সলিমুল্লাহ খান বলেন, কবি আবদুল কাদির কোন তোষামোদী লেখক নন। সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে এক চুল পরিমাণ ছাড় দিতেন না। সেক্যুলারিজম ইস্যুতে তিনি কাজী আবদুল ওদুদ ও কাজী নজরুল ইসলামের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করেছিলেন। হাবিব আর রহমান বলেন, কবি আবদুল কাদিরকে যেভাবে স্মরণ করা উচিত, তাকে আসলে সেভাবে করা হয়নি। বাংলা একাডেমিতে তার নামে একটি গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করা হলেও তাকে নিয়ে রচনাবলী প্রকাশ আজও হয়নি। পরে আবদুল কাদিরের মেয়ে রোকসানা কাদিরও তার বাবার রচনাবলীর সংকলনটি দ্রুত প্রকাশ করতে বাংলা একাডেমির প্রতি অনুরোধ জানান। ‘কালের ধ্বনি’র বিশেষ সংকলন ‘কম চেনা বড়ো মানুষ’ সংখ্যাটিতে আবদুল কাদিরের ছন্দ, কবিতা, গবেষণা, সম্পাদনা, নজরুল গবেষণা সাহিত্য, জীবন দর্শন ও সাময়িকী সম্পাদনা (শিখা, জয়তী ও মাহে নাও) বিষয়ে মোট ৭১টি প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে। এছাড়া বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মোজাফফর আহমেদ, কবি কাজী নজরুল ইসলাম, আবুল ফজলসহ বাংলা সাহিত্যের সেরা লেখকদের আবদুল কাদিরকে লেখা দুর্লভ ১১১টি চিঠি, সাক্ষাৎকার এবং স্মৃতিচারণ ও ছবি রয়েছে। বিশেষ সংখ্যাটির প্রচ্ছদ করেছেন মনন মরশেদ। ৫৮০ পৃষ্ঠার এ সংকলনটির দাম ৪০০ টাকা। পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আশিক রেজা ও সম্পাদক ইমরান মাহফুজ। জগদীশ চন্দ্র বসু স্মরণে আলোচনা ॥ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর শনিবার বিকেলে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুকে নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অজয় রায়। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল এবং সরকারী হরগঙ্গা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারী কর্ম-কমিশনের সদস্য সমর চন্দ্র পাল। অজয় রায় বলেন, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর কাজ ছিল মূলত রেডিও মাইক্রোওয়েব অপটিক্সের তাত্ত্বিক দিক নিয়ে। অর্থাৎ তিনি তার গবেষণায় এই তরঙ্গের প্রকৃতি ও প্রণালী ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রেডিও গবেষণায় তার উল্লেখযোগ্য অবদান হচ্ছে, তিনিই সর্বপ্রথম রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করতে সেমিকন্ডাক্টর জাংশন ব্যবহার করেন। এখনকার সময়ে ব্যবহৃত অনেক মাইক্রোওয়েভ যন্ত্রাংশের আবিষ্কর্তাও তিনি। তিনি গবেষণা করে দেখিয়েছিলেন যে, উদ্ভিদের ওপর বিভিন্ন প্রকার বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে ইলেক্ট্রন প্রবাহের ঘটনা ঘটতে পারে। সমর চন্দ্র পাল বলেন, জগদীশ চন্দ্র বসুর গবেষণা কতটা সত্য এবং বাস্তব, প্রত্যেক বাঙালী মাত্রই তা অনুধাবন করতে সক্ষম। বাংলাদেশের পথে-প্রান্তরে, পুকুরের ধারে, নদীর কূলে কূলে প্রায় সর্বত্র দেখা যায় লজ্জাবতী লতা নামে এক গুল্ম। বিজ্ঞানী বসু তার শৈশব ও কৈশোরে লজ্জাবতী গাছের স্পর্শ থেকে প্রথমে অনুভব করেন, বৃক্ষের প্রাণ আছে, তারই গবেষণা করতে গিয়ে প্রমাণ করেছেন একটি বাস্তবতাকে। আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেন, ব্রিটিশ শাসিত ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন আশ্চর্যজনক যন্ত্র আবিষ্কার করে বিশ্বে হইচই ফেলে দেন স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। এই নির্লোভ বিজ্ঞানী তার কাজের জন্য নিজের লাভের কথা চিন্তা না করে জনকল্যাণের নিমিত্তে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখেন। ১৯১৭ সালে উদ্ভিদ-শরীরতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কলকাতায় ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে এখানে উদ্ভিদ ও কৃষি রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান এবং নৃতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণার জন্য উল্লিখিত বিষয়সমূহের বিভাগ খোলা হয়। বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র আমৃত্যু এখানে গবেষণাকার্য পরিচালনা করেন। সফিকুল ইসলাম বলেন, নিরহংকারী এই বাঙালী বিজ্ঞানী রেডিও সিগনাল শনাক্তকরণে সেমিকন্ডাক্টরের ব্যবহার বিষয়ে তার করা গবেষণাপত্র পর্যন্ত উন্মুক্ত করে দেন যেন অন্যান্য বিজ্ঞানীগণ এটি নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। না হলে আজ গোটাকয়েক পেটেন্টের অধিকারী হতে পারতেন এই মহাত্মা। শেরপুরে কোচ সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক উৎসব ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর থেকে জানান, ‘আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের অহঙ্কার’ স্লোগানে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আদিবাসী কোচ সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার কোচ কালচারাল এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের (কেসিডিএ) উদ্যোগে স্থানীয় নয়া রাংটিয়া আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত ওই সমাবেশের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ইউনাইটেড নেশন্স অর্গানাইজেশন জাপান এশিয়া কালচারাল এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (ইউএনজেএসিই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার রায়। প্রবীণ কোচ নেতা কমল কান্তি কোচের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। আরও বক্তব্য রাখেন নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা, নাটুয়া প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইমরান হাসান শিমুল, কবি সুহৃদ জাহাঙ্গীর, কবি জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, জনউদ্যোগ আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। সমাবেশের স্বাগত বক্তবে কেসিডিএ পরিচালক শিক্ষক যুগল কিশোর কোচ বলেন, একটি জাতির পরিচয় হলো তার ভাষা, সংস্কৃতি, খাবার-পোষাক-আশাক, আচার-অনুষ্ঠানাদি। এসবের মাধ্যমে কোন জাতিগোষ্ঠীর নিজস্বতা এবং স্বকীয়তা প্রকাশ পায়। কিন্তু নানামুখী আগ্রাসনের কারণে কোচ জাতিগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। কোচরা আজ নিজ ভূমির ওপর থেকে অধিকার হারিয়ে অস্তিত্ব সঙ্কটে রয়েছে। এজন্য নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষা এবং দাবিগুলো রাষ্ট্র ও সমাজের সামনে তুলে ধরতেই এ কোচ সমাবেশ ও সংস্কৃতি উৎসব করা হচ্ছে। সমাবেশ জেলার সীমান্তবর্তী ৩ উপজেলার কোচ পল্লীগুলোর প্রায় ৫ শতাধিক কোচ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে রাংটিয়া কোচ কালচারাল এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, রঙ্গ দেকা ক্লাব, নালিতাবাড়ীর খলচন্দা কোচ সাংস্কৃতিক দল, ঝিনাইগাতীর নওকুচি সাংস্কৃতিক দল ও শালচুড়া কোচ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর কোচ শিল্পীরা নৃত্যগীত পরিবেশন করেন।
×